বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মহিউদ্দীন হাওলাদারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মহিউদ্দীন ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামি করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনান্থল পরিদর্শন এবং তদন্ত কাজ শুরু করেছে। রাতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহিউদ্দীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কচুয়ার উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর এক ব্যক্তির কিশোরী মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি সখী বেগম। পরে তার সহযোগিতায় স্বামী মহিউদ্দিন হাওলাদার তাকে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারন করেন। পরে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়।
এর পর সেখান থেকে ফুসলিয়ে ওই কিশোরীকে অন্য একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে আরও তিনজন ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের কোনো সহায়তা পায়নি নির্যাতিত ওই পরিবার। বিষয়টির দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
এফআর