ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১৫ দিন ধরে নিখোঁজ কুমিল্লার ৭ কলেজছাত্র!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
১৫ দিন ধরে নিখোঁজ কুমিল্লার ৭ কলেজছাত্র! প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা: গত ২৩ আগস্ট কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান কুমিল্লার সাতজন কলেজছাত্র। যাওয়ার সময় তেমন টাকা পয়সা, মোবাইলফোন কিংবা পোশাক নেননি তারা।

নিখোঁজ হওয়া প্রত্যেকেই পরস্পরের পরিচিত। তাদের সবার বয়সই ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজে পড়েন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিভাবকরা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।  

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি কখনও তারা সন্তানদের আগ্রহ দেখেনি। কলেজ, কোচিংয়ের বাইরে যে সময়টি পেত বাসায় বসে তারা বইপুস্তক কিংবা মোবাইলফোনে সময় কাটাতেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজ নিজ সন্তানদের কোনো শত্রুও নেই বলে অভিভাবকরা জানান।  

নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান (১৭), একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সামি (১৮), কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম (১৮), একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহাল (১৭), ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), একই কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম আলামিন (২৩) ও ঢাকা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স সম্পন্ন করা নিলয় (২৫)।

এদের একজন কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান। বাবা মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনা, কলেজ, কোচিং সেন্টার আর মসজিদ ছাড়া কোথায়ও যায় না। গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ইমরান আমাকে বলে- ‘আব্বু, আমি আজ কোচিং থেকে রেলস্টেশন মসজিদে তাবলিগের বয়ান শুনতে যাব। ফিরতে দেরি হবে, আম্মুকে বলো না। ’ ওইদিন রাতে বাসায় না ফেরার কারণে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করি। পরদিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি।  এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ কুমিল্লাকে বিষয়টি অবহিত করি।  

নিহালের বাবা সাইফুল ইসলামসহ নিখোঁজ হওয়া অন্য অভিভাবকরাও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন।  

এ ব্যাপারে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিসিংয়ের জিডি হাতে পেয়েছি। গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা দলবদ্ধভাবে কোথাও গিয়েছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় তা তদন্তের পর বলতে পারব।  

অন্যদিকে, র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আশা করি দ্রুতই আপনাদের অগ্রগতি জানাতে পারব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।