ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেল চালানোয় ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেল চালানোয় ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

যশোর: উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেল চালানোয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের এলাকা মণিরামপুরের হরিদাসকাঠি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিটিয়েছেন সেখানকার চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু (২৪) নামে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান ইউপি চেয়ারম্যান। পরিষদের ঘরে নিয়ে দরজা আটকে স্লাইরেঞ্জ দিয়েও বাবুকে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ওয়াজেদ আলী ও রমেশ বিশ্বাস ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের আমজাদ হোসেন মোল্যার ছেলে ও ছাত্রলীগ কর্মী বাবুকে পরিষদে ধরে আনেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর লিটন বাঁশের লাঠি দিয়ে বাবুকে মারতে শুরু করেন। এতে আহত হন বাবু। ছেলেকে বাঁচাতে বাবুর মা মেহেরুন্নেছা পরিষদে গেলে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় হরিদাসকাঠি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সবুজ বিশ্বাস বলেন, বাবু ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী। মোটরসাইকেলে জোরে শব্দ হওয়ার কারণে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করেছেন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছিল বাবু। নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন সেই ক্ষোভে বাবুকে মেরেছেন বলে দাবি তার।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি মাঠে মেয়েদের ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় বাবু সাইলেন্সর খুলে বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে খেলার মাঠে গোলপোস্টের মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেলে দেয়। এতে মেয়েরা ভয় পেয়ে হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে। আমি যদি দুয়েকটি বাড়ি না দিতাম তাহলে জনগণ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলত।

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হাসান বলেন, মোটরসাইকেল চালোনোর সময় পড়ে গিয়ে শব্দ হয়। শুধু এই অপরাধে বাবুকে পরিষদে ধরে নিয়ে পেটান চেয়ারম্যান লিটন। তিনি পরিষদে গিয়ে দেখেন ঘরে আটকিয়ে স্লাইরেঞ্জ দিয়ে মারধর করছেন চেয়ারম্যান লিটন। চেয়ারম্যানকে নিবৃত করতে গিয়ে তিনিও লাঞ্ছনার শিকার হন।

আহত বাবুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন লিটন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও  জয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় আলমগীর হোসেন লিটন দল থেকে বহিষ্কৃত।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
ইউজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।