রাজশাহী: গোদাগাড়ীর বরেন্দ্রভূমির কৃষকদের পরিমিত সুষম সারের ব্যবহার দেখল অস্ট্রেলিয়ার কৃষি গবেষক দল। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি গবেষকরা স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ছয়ঘাটি ঈদগাঁ ময়দানে নিউম্যান প্রকল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা হয়। এতে গোদাগাড়ী উপজেলার তৃণমূল কৃষকরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এ সময় জানানো হয়- বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। তবে নানা কারণে জমিতে রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকদের পরিমিত সুষম সারের ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে নিউম্যান প্রকল্প। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্পটি।
মতবিনিময় সভায় প্রকল্প কারিগরি কর্মকর্তা ড. মো. জহির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অস্ট্রেলিয়ার কৃষি গবেষক ড. জেমস কুইলটি।
অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা ও পরিচালনা করেন নিউম্যান প্রকল্পের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. এনামুল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প প্রধান অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিচার্ড ডাব্লিউ বেল, গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ড. চেং গুরুং চেন, মিস বেলিন্ডা নিলসেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিআরআরআই এর প্রতিনিধি মো. সালেক, কেজিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ড. নাথুরাম, বিএইউ এর জহিরউদ্দীন, ড. এএমআর জাহাঙ্গীর, বিএফএ এর জহিরুল ইসলাম, খান, বিএআরআই এর প্রতিনিধি ড. এম এ মোনায়েম মিয়া, বিডাব্লিউ এমআরআই এর প্রতিনিধি ড. ইলিয়াস আলী, বিএআরআই এর প্রতিনিধি ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মণ, পিএসও এসআরডিআই এর প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম বিএআরআই, এসআরডিআই রাজশাহী ডিভিশনাল অফিসের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, ডাটা ম্যানেজমেন্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রেজিয়া বেগম, অ্যাডমিন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অ্যাসোসিয়েট রুবিনা আক্তার বিনা।
এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সুরক্ষা কৃষি কার্ড উপকারভোগী কৃষকরা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
এসএস/এমজে
