ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুরে এ্যাসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে ৬ লক্ষাধিক মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
মেহেরপুরে এ্যাসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে ৬ লক্ষাধিক মানুষ

মেহেরপুর: মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদটি দীর্ঘদিন ধরে শুন্য থাকায় খারিজ, নামজারিসহ নানা কাজে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার ছয় লক্ষাধিক মানুষ।

জেলার তিনটি উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার প্রায় ছয় লাখ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে এখন অনেকটাই বঞ্চিত।

নামজারি জমা খারিজের অভাবে অনেকেরই জমি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।

গাংনী এসিল্যান্ড অফিসের সহকারি জালাল উদ্দীন জানান, কর্মকর্তা না থানায় খারিজ, নামজারি জমা খারিজের জন্য আবেদনের ফাইল স্তূপ হয়ে জমে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।

সূত্র মতে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু সাঈদ বদলি হয়েছেন চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে। সদর উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড পদটি ১ জুলাই থেকে শুন্য রয়েছে।


এছাড়া মুজিবনগর উপজেলার তৎকালিন এ্সিল্যান্ড নাজমুল আলম বদলি হয়েছেন ২০২১ সালের ১ জুলাই মাসে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর উপজেলায় ভূমি অফিসে এ্সিল্যান্ডের পদটি ফাঁকা রয়েছে প্রায় দুই বছর ফাঁকা রয়েছে।

সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড) শুন্য থাকায় এসব অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

মুজিবনগরের সোনাপুর গ্রামের হোসেন আলী, জয়পুর তারানগর গ্রামের জামিরুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ৫-৬ মাস আগে নামজারি জমা খারিজের আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমির নামজারি জমা খারিজ হয়নি। কবে নাগাদ জমা খারিজ হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওই অফিসের কেউ।

গাংনীর সহড়তলা গ্রামের আবু বক্কর বলেন, ভূমি অফিসার না থাকায় আমার জমির নামজারি করতে পারছি না। সেবা নিতে এসে আমার মতো অনেকেই এখন বেকায়দায় পড়েছেন।

দীর্ঘদিন থেকে এসিল্যান্ড না থাকায় অনেক ফাইল আটকে থাকাসহ ভূমি সংক্রান্ত বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর না পাওয়ায় আবেদনকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, এসিল্যান্ডে পদটি পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটা আমার এখতিয়ারভূক্ত নয়। বিভাগীয় কমিশনার বদলি করে থাকেন। এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন। তিনি বলেন শুধু এসিল্যান্ড নয়, কানুনগো ও সার্ভেয়ার পদ শুন্য থাকায় সেবাগ্রহীতাদের কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।