ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রলার মেরামত-জাল বুননে ব্যস্ত উপকূলের জেলেরা

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
ট্রলার মেরামত-জাল বুননে ব্যস্ত উপকূলের জেলেরা

বিশখালী নদীর জিনতলা থেকে: দীর্ঘদিন সাগরে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন উপকূলের জেলেরা। তবে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ২২ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

তাই এ অলস সময়ে ট্রলার ধুয়ে পরিষ্কার আর ছেড়া জাল বুননে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন উপকূলের জেলেরা।

এদিকে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৮ অক্টোবর।  

সরজমিনে বিষখালী ও‌ বলেশ্বর নদ পাড়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে কেউ জাল ধুয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন জেলেরা। এছাড়া কেউ কেউ ট্রলার ধোয়ার কাজে ব্যস্ত।

নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের দিন দুপুর থেকেই সাগর ও নদী থেকে সারিবদ্ধভাবে জেলেরা তীরে ফিরতে শুরু করে। রাত ১২ টার আগেই বেশিরভাগ ট্রলার ঘাটে ফিরে। ঘাটে এসে রাত কাটিয়ে ভোররাত থেকেই ট্রলার থেকে জাল‌ নামিয়ে ধোয়া শুরু করে এবং ট্রলারগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করতে শুরু করে।

জিনতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খালি গায়ে প্রখর রোদে জাল ও ট্রলার ধোয়ার কাজ করছেন অনেকে। কেউ ধোয়া জাল শুকাতে ব্যস্ত, কেউ খালের পাড়ে ফেলে রাখা জাল পরিষ্কার করছে।

সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে ইসমাইল হোসেন, বেলায়েত হোসেন বলেন- নিষেধাজ্ঞার এ সময়েও আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। এসময় জাল আর ট্রলার ধুয়ে পরিষ্কার করতে হয়। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই ট্রলার মেরামত ও ছেড়া জালগুলো বুনতে হবে।

একাধিক জেলে জানায়, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার যে চাল দেয় তা একেবারেই অপ্রতুল। চালের পরিমাণ বাড়ানোর দরকার।

এছাড়া ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) বরিশালের সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় যে পরিমাণ চাল দেয়া হয় তা একেবারেই অপ্রতুল। আমরা বিলসের পক্ষ থেকে জেলের চাল বাড়িয়ে দেওয়াসহ সাগরে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চালের পাশাপাশি জেলেদের নগদ অর্থ দেওয়া দাবি করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের চাল বাড়ানো আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। ‌ এ সময় আমাদের জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও ভারতীয়রা নির্বিঘ্নে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।