মাদারীপুর: জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি এলাকায় জার্মান প্রবাসী মামুন মাতুব্বরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে ডাকাতরা ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ও দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
ভুক্তভোগী মামুনের বাবা দোলোয়ার মাতুব্বর জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে ১৫-২০ জন ডাকাত বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ও দেয়াল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় নারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আলমিরা ও শো-কেস ভেঙে তারা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
মাদারীপুর জেলায় গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। গত তিনদিনে মাদারীপুর সদর ও শিবচর উপজেলায় তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট সবুজবাগ এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল শিকদার ও গোলাম নবী শিকদার নামের দুই ভাইয়ের ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কৌশলে ঘরে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২ লাখ টাকা, মোবাইলফোনসহ ৪২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে পালানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তামিম ঘরামী (২০) নামে এক ডাকাত সদস্যকে আটক করে পুলিশে দেয়। আটক তামিম কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা এলাকার আলিম ঘরামীর ছেলে।
ওই ঘটনার পরদিন বুধবার (১২ অক্টোবর) জেলার শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের ঠাকুরবাজার এলাকার সুতা ব্যবসায়ী কিবরিয়া মাতুব্বরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জানালার গ্রিল কেটে ১০-১৫ জনের ডাকাতরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। সেখান থেকে তারা ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ লক্ষাধিক টাকা এবং সিসিটিভির হার্ডডিস্ক লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা গ্রামে আরও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতরা কৌশলে ঘরের গৃহকর্তা শ্যাম কারিগরকে বাইরে বের করে সবাইকে বেঁধে রেখে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, বিদেশ যাওয়ার জন্য সংগ্রহ করা নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ১০-১২ জন ডাকাত এসব লুট করেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী শ্যাম কারিগর।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত চলছে। ডাকাতদের ধরতে চেষ্টা চলছে। ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া রাতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এফআর/এসআরএস