পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে মোকাবিলায় কাজ করছেন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জেলায় সব ধরনের নৌ চলাচল ও বিদুৎ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টার যাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি। এছাড়া স্থানীয় সংগঠনের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ও ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোকেও প্রস্তুত করা হবে। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দূর্যোগের সময় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা এবং ৩০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। আর সরকারের কাছ থেকে ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাটেক শুকনো খাবারের চাহিদা পত্র দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এফআর