ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিত্রাংয়ে বরিশাল বিভাগে ১৪ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
সিত্রাংয়ে বরিশাল বিভাগে ১৪ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গোটা বরিশাল বিভাগে ১৪ হাজার ১৩টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১১ হাজার ২টি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৩ হাজার ১১টি বাড়িঘর।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়েছে, বিভাগের ২৯৭টি ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভা দুর্যোগ কবলিত হয়। যেখানে দুর্গত মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৮ জন। সবচেয়ে বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলা জেলায়, সবচেয়ে কম পটুয়াখালী জেলায়।

ভোলায় আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৯টি বাড়িঘর এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ২৮৩টি বাড়িঘর। এরপর বরিশাল জেলায় আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ বাড়িঘর এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৩৩টি বাড়িঘর। পিরোজপুর জেলায় আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি বাড়িঘর এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭টি বাড়িঘর। বরগুনা জেলায় আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৯৭২টি বাড়িঘর এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৮টি বাড়িঘর। ঝালকাঠি জেলায় কোনো বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত না হলেও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ২২৪টি বাড়িঘর। একইভাবে পটুয়াখালী জেলায় আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১৭৯টি বাড়িঘর।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান বলেন,  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব আমাদের ওপর কম ছিল। বিভাগের ৬ জেলার চরাঞ্চলের মানুষদের আমরা যথা সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। ফলে জনগণের জানমালের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। যেহেতু এখন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে তাই জেলেরা কেউ সমুদ্রে ছিল না। শুধু ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আর কোনো মৃত্যুর খবর নেই।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বরিশাল অঞ্চলের কোনো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া শীতকালীন কিছু আগাম সবজির ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা বেশি না। বড় ধরনের কোনো ফসলের ক্ষতি হয়নি। এছাড়া নিম্নাঞ্চলে কিছু পানি উঠেছে। আশা করছি, এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও কিছু পুকুর ও ঘের অতি জোয়ারের কারণে ভেসে গেছে। তাদের ক্ষতির বিষয়টি মৎস্য বিভাগ তদারকি করছে। স্বাভাবিক যে ক্ষতিপূরণ আছে সেই অনুযায়ী তাদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। আমরা এখনও কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, সেই পরিমাণটা পাইনি। তবে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।