ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ই-টিকেটিং: যাত্রীদের শিক্ষা দিতে বাস কমানো হয়েছে!

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
ই-টিকেটিং: যাত্রীদের শিক্ষা দিতে বাস কমানো হয়েছে! ফাইল ছবি

ঢাকা: বাসের ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসের হেল্পার-কন্ডাক্টরের তর্ক-বিতর্ক রাজধানীর নিত্যদিনের ঘটনা। এসব তর্ক-বিতর্কের জেরে চলন্ত বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজধানীতে চালু করা হয়েছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা। ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে কমে গিয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। বাসের ভাড়া নিয়ে নিত্যদিনের তর্কাতর্কিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু বাস মালিকদের আয় কমে গিয়েছে দাবি করে মিরপুর-মালিবাগ রুটে চলাচলকারী নূর-এ-মক্কা পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। এই রুটের আরও দুই পরিবহন রাজধানী ও অছিমের বাসও চলাচল করছে সীমিত আকারে।

গত এক সপ্তাহ যাবত মিরপুর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক, নতুন বাজার ও রামপুরা রুটের যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) মিরপুর থেকে রামপুরা রুটে একই চিত্র দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে সাগর হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিকল্প পথ ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে সময় ও ভাড়া বেশি লাগছে।

মাহবুব হোসেন নামের অপর এক যাত্রী বলেন, আগে ওয়েবিলের নামে বেশি অর্থ আদায় করতো। এখন ই-টিকেটিং আসার পরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারছে না। এজন্য বাস মালিকরা যাত্রীদের শিক্ষা দিতে রাস্তায় বাস কমিয়ে ফেলেছে!

শাহরিয়ার ফেরদৌস নামে এক যাত্রী তার ভোগান্তি তুলে ধরে বলেন, মিরপুর থেকে বাড্ডা যেতে কোনো বাস পাইনি। পরে পাঠাওতে করে যেতে লেগেছে ২৫০ টাকা। অথচ বাসে এ রুটের ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত কয়েকদিন অফিসে যেতে হচ্ছে এভাবে। এত টাকা দিয়ে কি যাওয়া সম্ভব? বেতনের অর্ধেকটাই তো চলে যাবে যাতায়াত খরচে।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ
যাত্রীদের শিক্ষা দিতে নয় বরং আয় হচ্ছে না বলে বাস বন্ধ করে দিয়েছে নূর-এ-মক্কা; এমন দাবি করেছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

অন্যদিকে রাজধানী পরিবহনের বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে বলে এই নেতা দাবি করলেও রাস্তায় পরিবহনটির স্বল্পসংখ্যক বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। আর আছিম পরিবহন ঝড়-বৃষ্টির জন্যে কম চলছে বলে জানান ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা।

তিনি বলেন, যাত্রীরা অনেকেই টিকিট না কেটে ভ্রমণ করছেন। অনেকে আবার কম পথের টিকিট কেটে বেশি দূরত্বে যাচ্ছেন। এজন্য অনেক মালিক বাস কমিয়ে দিয়েছেন। এসব কারণে বাসের ভেতরে চালকের সহকারীদের নতুন ডিভাইস দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা টিকিট দিতে পারে।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই সমস্যা কেটে যাবে বলে দাবি করেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এছাড়া রুট পারমিট বিহীন ১৬০০ গাড়ি রাস্তায় না নামায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।