ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্মঘটের ২য় দিনেও ভোগান্তি, ভরসা অটোভ্যান-রিকশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
ধর্মঘটের ২য় দিনেও ভোগান্তি, ভরসা অটোভ্যান-রিকশা ধর্মঘটের ২য় দিনেও ভোগান্তি, ভরসা অটোভ্যান-রিকশা

বরিশাল: দাবি আদায়ের ধর্মঘটের কারণে বরিশালে খেয়া পারাপারের ট্রলার, লঞ্চ, বাস, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা টেম্পু, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো বিএনপির সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

শনিবার (৫ নভেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে।

বাধ্য হয়ে অটোভ্যান, অটোরিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সড়ক-মহাসড়ক হয়ে সাধারণ মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। অপরদিকে খেয়া পারাপারের নৌকা-ট্রলার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদী পথেও মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকেই বাধ্য হয়ে জেলেদের নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছেন। আর নদীবেষ্টিত বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আসা মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বিশাল বিশাল নদী পাড়ি দিচ্ছেন ট্রলার, বাল্কহেডে।

যদিও নিয়মিত গণপরিবহনগুলো বন্ধ থাকায় এসব যানবাহনের চালকদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। তারপরও গন্তব্যে পৌঁছানের জন্য এ যানবাহনই এখন ভরসা।

ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক মানিক বলেন, বাস চলাচল বন্ধ, সেইসঙ্গে মহাসড়কে মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা টেম্পুও চলছে না। এ অবস্থায় স্বল্প দূরত্বে যাওয়া মানুষরা ভ্যানেও যেতে চাচ্ছেন। তবে নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী থেকে বিএনপির সমাবেশস্থলে মানুষ বেশি যাচ্ছে ভ্যানে। কারণ এক ভ্যানে ৭-৮ জন যাওয়া যায় কিন্তু রিকশায় তিন জনের বেশি সম্ভব হয় না। রিজার্ভ নিলে যাত্রীদের লাভই বেশি হচ্ছে।

কালাম নামে এক ভ্যানের যাত্রী বলেন, কর্মস্থলে যেতে হবে তাই বাসা থেকে বের হয়ে গড়িয়ার পার এলাকায় আসি কিন্তু বাস-মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা কিছুই পাইনি। মোটরসাইকেলে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত অনেক ভাড়া চাচ্ছিলো, তাই ভ্যানে চেপেই চলে আসলাম।

অপর এক যাত্রী মরিয়ম বলেন, বাসা থেকে সমাবেশস্থলে পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই গড়িয়ার পার থেকে বেশি ভাড়া দেওয়ার শর্তে ভ্যানেই চেপে বসেছি। নগরীর বান্দরোড হয়ে যেতে চাইলেও সেখানে পুলিশের চেক পোস্টের কারণে যাওয়া যাবে না। বেশি লোক দেখলে আটকে দেবে। তাই বাংলাবাজার সড়ক হয়ে যাচ্ছি।

অপরদিকে বরিশাল নগরের ব্যাটারি চালিত রিকশার চালক সোহাগ বলেন, বাস ধর্মঘটের কারণে আজ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা। কিছু পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করলেও বেশিরভাগ সড়কে প্যাডেল রিকশা, অটোরিকশা, ও ভ্যান চলাচল করছে। রিকশাগুলো শহরের মধ্যে চলাচল করলেও বেশিরভাগ ভ্যান মহাসড়ক ধরে সল্প দূরত্বে যাত্রী আনা নেওয়া করছে।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে মহাসড়কগুলোতে প্রভাব পড়লেও বরিশাল শহরের মধ্যে তেমন প্রভাব পড়েনি। আজ সকাল থেকে শহরের রাস্তায় প্রচুর খালি রিকশা দেখা গেছে। তবে নগরের চৌমাথা, রুপাতলী, আমানতগঞ্জ, নাজিরের পুল থেকে শহরতলীতে যেতে রিকশাসহ সব যানবাহনেই বেশি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

এদিকে মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষরা পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করছেন বলে জানিয়েছেন অটোরিকশা চালক কালাম। তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে বিএনপির সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যাচ্ছেন। হাতে গোনা অল্প কিছু লোক রিকশা-অটোরিকশায় চড়ছেন। আর নৌ-পথে আসা যাত্রীরা নগরীর কেডিসি কলোনী ও চাঁদমারী এলাকায় নেমে পায়ে হেঁটেই সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।