ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যবসায়ী বাবার মুক্তি চেয়ে স্কুলছাত্রের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
ব্যবসায়ী বাবার মুক্তি চেয়ে স্কুলছাত্রের সংবাদ সম্মেলন

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামের মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার ছেলে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম রাফি।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

 

লিখিত বক্তব্যে শরিফুল ইসলাম রাফি জানায়, তার বাবা শহীদুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের আইবিপি রোডের একজন ব্যবসায়ী। যেখানে তার বাবা ছাড়াও আরও ৪ জন ব্যবাসায়ী দোকান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে গোপনে দায়ের করা একটি মামলায় কারাগারে আছেন তার বাবা। একই মামলায়
কারাগারে রয়েছেন তার চাচাতো ভাই ও একই স্থানের ব্যবসায়ী মোস্তফা মহসীন।

রাফি বলে, তার বাবা শহীদুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই মোস্তফা মহসীন ছাড়াও আইবিপি রোডের ওই স্থানে আবছার, কামাল ও সাধন বড়ুয়া নামের ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। দোকানগুলো কক্সবাজারের ডা. নুরুল আজিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দীর্ঘ ৫০ বছর আগে ভাড়া নেওয়া। চাচার মৃত্যুর পর একটি তার বাবা শহীদুল ইসলাম, অপর চাচার মৃত্যুর পর চাচাতো ভাই মোস্তফা মহসীন ধারাবাহিকভাবে দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। একই সঙ্গে ডা. নুরুল আজিমের মৃত্যুর পরতাঁর সন্তান মাহবুল আজিম খুলু দোকানের ভাড়া নিয়ে আসছেন। এরপর কিছুদিন মাহবুল আজিম খুলুর ভাই আনোয়ারুল আজিমও দোকানের ভাড়া আদায় করেছেন। কিন্তু মধ্যখানে তারা ভাড়া নেওয়ায় অনীহা প্রকাশ করায় ব্যবসায়ীরা আদালতে ভাড়া দিয়ে আসছেন। কারণ এ দোকানের জমি নিয়ে বর্তমানে মাহবুল আজিম খুলু আদালতে মামলা করেছেন। পিতৃ সম্পদ পাওয়ার জন্য মামলাটি করেন তিনি। একই সঙ্গে দখল-বেদখল রোধে আদালতে এ দোকানের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।  

রাফি অভিযোগ করে, জনৈক মোর্শেদ ফরাজী নামের এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দোকান উচ্ছেদ করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে। মামলায় নোটিশ গোপন করে পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিবেদন দাখিলও করে। অজান্তে দায়ের করা মামলায় পুলিশ তার বাবা ও চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদের জামিনের জন্য আইনগত প্রচেষ্টা চলছে। এর মধ্যে আদালতে ১৪৪ ধারা অমান্য করে দোকান উচ্ছেদ করার জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন মোর্শেদ ফরাজী।

একই সঙ্গে আরও মামলা করে হয়রানীসহ নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতংকিত রয়েছে উল্লেখ করে ন্যায় বিচার চেয়েছে এ শিক্ষার্থী।  

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও
উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জমির মালিকদের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এসবি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।