ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ...

ঢাকা: ‘ভালোবাসা ও সেবায় ৫০ বছরের পথচলা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করেছে বেসরকারি সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ।

শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের জাতীয় পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু এবং মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বলেন, একাত্তরের যুদ্ধের পর দেশ গঠনে কারিতাসের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কারিতাস শুধু আর্থ-সামাজিকভাবে কাজ করে নাই, অবকাঠামো উন্নয়নেও কাজ করেছে। আজকে কারিতাসের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি কারিতাসকে অভিনন্দন জানাই।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কারিতাসের নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিয়ান রোজারিও বলেন, শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ হৃদয়ে স্মরণ করছি সেই সকল ব্যক্তিদের যাদের হাত ধরে ৫০ বছর আগে কারিতাসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। যাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে কারিতাসের সেবা বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আরমা দত্ত, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, মন্সিনিয়র মেরিনকো এগুলোভিক, চ্যার্জ দা এফেয়ার্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি মি রিচার্ড স্লোমান, ক্যাফড, মিজ জ্যাকুলিন ডি’ বরগোয়িং, কারিতাস ফ্রান্স, মি. মার্ক ডি’ সিলভা, সিআরএস, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, কারিতাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ব্রাদার লরেন্স ডায়েস, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মি. নির্মল রোজারিও, কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারি প্রমুখ।

কারিতাস বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা অফিস হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের সাহায্যার্থে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশে Chittagong Organization for Relief and Development (CORD) নামে সংস্থাটি গঠিত হয় এবং আরও কিছুদিন পরে সংস্থাটি Christian Organization for Relief and Rehabilitation (CORR) নামে কার্যক্রম শুরু করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।