ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবি বাকবিশিস’র

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবি বাকবিশিস’র

শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ, বিজ্ঞানমনস্ক-অসাম্প্রদায়িক-সর্বজনীন-বৈষম্যহীন শিক্ষা এবং সব ননএমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।  

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংগঠনটির দশম জাতীয় সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ব শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম এবং কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার। তিনি বলেন, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এমপিওভুক্ত। এমপিওভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম না। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হন। ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শতভাগ বেতন ভাতা পান। কিন্তু ননএমপিও শিক্ষকরা কিছুই পান না। ননএমপিওরা শিক্ষক খাতায় নাম লিখিয়ে টিউশনি আর কোচিং সেন্টারে যোগ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, যা লজ্জাস্কর। একই যোগ্যতা ও একই দায়িত্ব পালন করেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিন্নতার কারণে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের চরম বৈষম্যের শিকার হতে হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করা সম্ভব না। আমরা এ বৈষম্য দূর করা দাবি জানাচ্ছি।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, শিক্ষা শুধু জ্ঞানের জায়গা নয়, এটি সামাজিক মূল্যবোধেরও বড় জায়গা, যে মূল্যবোধের দ্বারা আমরা মানবিক দর্শনকে আমরা প্রবলভাবে অনুভব করতে পারি। আমরা মানুষ, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই স্লোগান নিয়ে আমরা যদি বাস না করি, তাহলে আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িকতা খুবই জঘন্য দিক। আমি মনে করি, এই জঘন্য দিক আমাদের বাংলাদেশের চেতনাকে নষ্ট করবে, এটা যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মর্যাদার আসনে উঠে যায়।  

অনুষ্ঠানে বাকবিশিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. মুয়াজ্জাম হুসেইন, অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ জিনাত আলী, অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ, অধ্যাপক বদিউর রহমান, অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, নিরঞ্জন অধিকারী, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শফি আহমেদ, অধ্যাপক এম এ বারী, অধ্যাপক নাজির হোসেন এবং অধ্যক্ষ আজহারুল ইসলাম আরজুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমিতির কেন্দ্রীয় নেতারা ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা কমিটির নেতারা অংশ নেন।  

সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদারকে সভাপতি, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহেদ মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি নির্বাচিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।