ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সশ্রস্ত্র বাহিনী দিবসে চাঁদপুরে উন্মুক্ত ছিল বানৌজা পদ্মা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
সশ্রস্ত্র বাহিনী দিবসে চাঁদপুরে উন্মুক্ত ছিল বানৌজা পদ্মা জাহাজ বনৌজা পদ্মা।

চাঁদপুর: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মেঘনা মোহনার ডাকাতিয়া নদীর রকেট ঘাটে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ পদ্মা।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চাঁদপুর শহর ও আশপাশের লোকজন জাহাজটিতে প্রবেশ করে যান্ত্রিক কাঠামো পরিদর্শন করেন।

জাহাজে থাকা কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের যান্ত্রিক কাঠামো, বিমান বিধ্বংসী কামান ও জাহাজের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেন।

শহরের বাসিন্দা ওমর ফারুক ও রাকিব হোসেন জানান, জাহাজটি ঘুরে দেখে খুবই ভাল লেগেছে। এটি সম্পর্কে এর আগে কোনো ধারণাই ছিল না।

শহরের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাহাজটি দেখার জন্য আসেন। তাদের মধ্যে আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খুবই চমৎকার একটি জাহাজ দেখার সুযোগ হয়েছে। এই দিবসটি সম্পর্কেও আমার আগে জানা ছিল না।

জাহাজের অধিনায়ক জহরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কম-বেশি অনেকেরই জানা আছে। তবে ২১ নভেম্বর যে সশস্ত্র দিবস পালিত হয়, এটির গুরুত্ব এবং তাৎপর্য কতটুকু অনেকেই জানেন। অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যের সমতুল্য হচ্ছে এই দিবস।

তিনি বলেন, যুদ্ধ জাহাজ আজকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে-বাংলাদেশের জনগণ নৌবাহিনীর জাহাজ সম্পর্কে জানতে পারে। আমরা জাহাজে কিভাবে অভিযান পরিচালনা করি এবং কি ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি এসব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

জাহাজের সাব লেফটেন্যান্ট সিফতা জানান, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম আরআরবি থেকে চাঁদপুর রকেট ঘাটে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। ২২ নভেম্বর সকালে এটি আবার পুনরায় একই স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ত্যাগ করবে। মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চাঁদপুর ও ঢাকা সদরঘাটে যুদ্ধ জাহাজ সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই যুদ্ধ জাহাজে একজন কমান্ডার, নেভিগেটিং, এক্সিকিউটিভ, প্রকৌশলী ও ইলেকট্রিকসহ চারজন অফিসার এবং ৫৫জন নাবিক রয়েছে।

জানা গেছে, জাহাজ পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদ্মা শ্রেণির প্রথম ব্যাচের প্যাট্রোল ক্রাফট। এটি গণচীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। জাহাজটি উপকূলীয় অঞ্চলে টহল দেওয়া, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ২০১০ সালের ২ মে খুলনা শিপইয়ার্ডে এটি নির্মিত হয়। ২০১২ সালে ৮ অক্টোবর জাহাজটিকে প্রথমবারের মত পানিতে ভাসানো হয়। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বানৌজা পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।