ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আবেদন

ঢাকা: গ্রাহক বা ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আবেদন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পাইকারি পর্যায়ের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার তিন দিনের মাথায় আবেদনটি করল সংস্থাটি।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে গ্রাহক পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির লিখিত আবেদন করে পিডিবি। যদিও এর আগে বিইআরসি বলেছিল, পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির সময় গ্রাহক পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে না।

পিডিবি ছাড়াও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিপণন ও বিক্রি করে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বিদ্যুতের খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে লিখিত আবেদন করে। আরও তিনটি কোম্পানি বিকেলের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আবেদন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। তবে, দুয়েকটি কোম্পানি এর বেশি মূল্য বৃদ্ধির আবেদন করতে পারে। সূত্র মারফত জানা গেছে, এর হার হতে পারে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এ দফায় যে আবেদন করা হচ্ছে, তাতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে সেটি অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, পাইকারিতে বেশি দামে কিনে বিদ্যুৎ কম দামে বিক্রি করার সাধ্য কোম্পানিগুলোর নেই।

২০২০ সালে পাইকারি পর্যায়ে পিডিবির কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা থেকে ছয় টাকা ৪৫ পয়সা করে কিনতে হতো। এ দফায় ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দর বৃদ্ধির কারণে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ কিনতে হবে ১ টাকা তিন পয়সা থেকে ১ টাকা ২৭ পয়সা বেশি দরে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বাংলানিউজ কথা বলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) পরিচালক বিকাশ দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে বিদ্যুতের দর বৃদ্ধির প্রভাব গ্রাহক পর্যায়ে পড়বে, সেটি প্রতীয়মান। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। যে কারণে দাম বাড়ানো আবেদন করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সবদিক বিবেচনা করা হবে।

এদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এম শামসুল আলম পাইকারি পর্যায়ে বিইআরসি’র মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো ঘোষণা খুচরা পর্যায়েও বাড়ানোর নামান্তর, যা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

গত সোমবার (২১ নভেম্বর) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। এরপরই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসে। একই দিন গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না বলে ‍জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ভর করছে বিইআরসি’র ওপর। গ্রাহক পর্যায়ে স্বস্তি দিতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কিন্তু এর কিছু সময় পরই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানায় বিপিডিবি, বিআরইবি ও ডিপিডিসর একাধিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এসআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।