নিউইয়র্ক: রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী কী নির্মমভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিলো, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তা নতুন করে জেনেছে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রতিবারের মত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে প্রবাসীরা।
দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্বলন, বিশেষ পথ নাটক পরিবেশন এবং প্রদীপ হাতে শোকৠালি অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন,শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজউদ্দীন হোসেনের পুত্র ফাহিম রেজা নূর, শহীদ পরিবারের সন্তান ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যশিল্পী জামালউদ্দীন হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আরা হোসেন। এছাড়া সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, ড.প্রদীপ কর, বেলাল বেগ, ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন অঙ্গনের প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
![](files/December_2014/December_15/kk1_inner_693695303.jpg)
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা নিশ্চিত জেনেই পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর আলশামস বাহিনী বাঙালি জাতিকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার উদ্দেশে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরের এ কর্মসূচি শেষ হয় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে। এছাড়া ডাইভারসিটি প্লাজা থেকে একটি শোক ৠালি ৭৪ সড়ক হয়ে ৩৭ এভিনিউ ঘুরে আবার ডাইভারসিটি প্লাজাতে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পথ নাটকে নিহত বুদ্ধিজীবীদের নিজেদের বর্ণনায় জীবনী সহ তাদেরকে কে, কারা এবং কিভাবে হত্যা করেছে, তার মর্মস্পর্শী বর্ণনা উপস্থাপন উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে। হাতে আঁকা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবির প্রসঙ্গও পথ নাটকে নতুন মাত্রা যোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪