ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

বাঙালি যুদ্ধে না গেলে বিদেশিরা সাহায্যে এগিয়ে আসতো না

শিহাবউদ্দিন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪
বাঙালি যুদ্ধে না গেলে বিদেশিরা সাহায্যে এগিয়ে আসতো না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিউইয়র্ক: বাঙালি নিজেরা যুদ্ধে না গেলে বিদেশিরা কেউই সাহায্য করতে এগিয়ে আসতো না বলে মন্তব্য করেছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমাজউদ্দীন প্রামাণিক।

বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।



বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তার ডাকেই বাঙালি উজ্জীবিত হয়েছে।

জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ইমাজউদ্দীন প্রামাণিক প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

‘আদর্শের মৃত্যু নেই’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শই বড় আমাদের কাছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২১ বছর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্ন তোলেনি কোনো সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কথাও কেউ  চিন্তা করেনি।

প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো কাজ করতে যেন ৩০ লাখ শহীদানের কথা স্মরণ করেন। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ উত্তরীয় পরিয়ে দেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আজ দ্বিতীয় বিপ্লবে অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি, অসততা দূর করে  সততা ও ন্যায়ের সমাজ গড়ে তুলতে হবে। মানবতার জন্য কাজ করতে হবে।  
লেখক ও কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশকে আজ আর কেউ তলাবিহীন ঝুড়ি বলে না। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নের মডেল।

মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী তাজুল ইমাম রং-তুলিতে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি দূতাবাসকে উপহার দেন।

অনুষ্ঠানে ৫ বছর বয়সী শিশু জোবায়দা বাতেনের মুখে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় গাথা’র উপস্থাপনা এবং জয়বাংলা স্লোগান ছিল অভাবনীয় ও হৃদয়গ্রাহী।   

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে আরো আবেগঘন করে তোলেন প্রবাসী শিল্পী তাজুল ইমাম।

বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন সচিব নজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ফোরামে বিজয়ী হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধেও বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ, গ্রীন ক্লাইমেট তহবিলের নির্বাহী বোর্ডেও বাংলাদশ নির্বাচিত হয়েছে।  

বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ওআইসি মহাসচিবসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে এই জয়যাত্রাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।  

দূতাবাসের প্রথম সচিব ও প্রেস সেক্রেটারি মামুন অর রশীদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মেরাজ, ডা. আব্দুল বাতেন, খোরশেদ অনোয়ার বাবলু, মুকিত চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ