ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

উপন্যাস

ধারাবাহিক উপন্যাস

মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১২)

১২.
নিজেকে পোড়াই রোজ,
পুড়িয়ে ফুরিয়ে হচ্ছি নিখোঁজ।
................................................................................................

সাপে ভয় আমার।


মাহবুবার বাড়ির পাশে স্বর্ণলতা গাছ। রোদে সোনার মতন জ্বলে। মাঝে মাঝে এক টুকরো রোদের ঢিবি মনে হয়।
‘স্বর্ণলতা দিয়ে নেকলেস হয় না? গলায় ঝুলবে?’ আমাকে প্রশ্ন করে মাহবুবা। স্বচ্ছ চোখ তার। সেখানে নীল সাগর আর আকাশ লেপটে যায়।
‘হয়তো। অত কথা বাড়াতে হবে না। আঁকো স্বর্ণলতা। ওয়াটার কালার না। অয়েল পেইন্টিং। ’ আমি বলি। নীল সাগর আর আকাশে মুগ্ধতায় নিখোঁজ হতে হতে।
‘জল রং। আমি ওয়াটার কালারই করবো। এই রং দুষ্ট। পানিতে পড়লেই কথা শোনে না। ওদের নিয়ে থাকতে ভালো লাগে। ’
‘আচ্ছা আচ্ছা করো। কথাই বলবে নাকি আঁকবে কিছু। স্বর্ণলতার ঝোপ, পাশে বাড়ি, বাড়ির জানালায় ধরা পড়া আকাশ। আঁকো না। ’ এই বলে আমি চায়েতে সল্টেজ বিস্কুট ডুবাই। এ সময় রাস্তায় কোনো একটা রিকশার ঘন্টির আওয়াজ শুনি। একটা পাখি ডাকে। নেড়ি কুকুরটা কুঁই কুঁই করে কোনো একদিকে ছুটে যায়।
‘জানেন আমার জানালা লাগোয়া হাস্নাহেনা গাছের তীব্র গন্ধে ঘরে সাপ আসে। ’ বলে মাহবুবা হাসে। আঁকায় মন নেই তার। সে শুধু এক রং এর সাথে তুলি দিয়ে আরেক রং মেলাচ্ছে। খুব একটা কথা বলে না এই মেয়ে। তবে মাঝে মাঝে আগল খোলে। আড়াল হতে বের হয়ে আসে। তখন কারো কথা না শুনে খুব বকে।
মাহবুবার ঘরের পাশে হাস্নাহেনা গাছ নেই। হাস্নাহেনা আর সাপের গল্প সে কেন করছে জানি না। আমি সাপের ভয় পাচ্ছি। হাস্নাহেনা গাছ নেই জেনেও ভয় করছে। সাপে আমার গা রি রি করে। ভয়ের চেয়ে ঘেন্না লাগে বেশি। সোফায় পা উঠিয়ে বসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চুপ থাকি। মাহবুবার সামনে নিজেকে ভীতু প্রমাণিত করা ঠিক হবে না। একদম।
‘আঁকো। ’ ধমকে বলি আমি। চায়ে চুমুক দেই।
‘এঁকেছি। এই যে। ’ বলে মাহবুবা। তারপর জোরে হাসতে থাকে। আমি তার আঁকা ছবির দিকে তাকাই। দেখি সাপ এঁকেছে।
ভয়ংকর এক সাপ। এখনই ফনা তুলবে এমন। জলজ্যান্ত সাপ যেন। আমার ভয় লাগে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে।
ঠিক এই সময়েই আমার ঘুম ভাঙে। এটা স্বপ্ন ছিলো। কেন এমন স্বপ্ন দেখলাম আমি?
স্বপ্নটার কিছু কিছু অংশ সত্যি। মাহবুবার সাথে কথোপকথনের দু-একটা বাক্য একদম ঠিকঠাক। পুরনো ঘটনাই কিছুটা নতুন করে দেখলাম। রিকল করা বলে একে। কিন্তু রিকল করবার সময় কিছু কিছু নতুন বিষয় ঢুকে গেছে স্বপ্নে। যেমন সাপ আঁকার বিষয়টা।
আমার কঠিন করে ভাবতে ইচ্ছে করে না। আমি গোয়েন্দা, বিজ্ঞানী কিংবা মনোবিশারদ নই। সামান্য মানুষ তাই সহজ করে ভাবতে ইচ্ছে করে। লজিকে চলি না। চলতে চাইও না।

বুনো ঘুম ভাঙায় আমার। সারা শরীর ঘামে ভেজা। আমি বুনোর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, কথা বলা মানুষটা যে বুনো সেটা বুঝতে একটু সময় লাগে।
‘দুঃস্বপ্ন?’ বলে বুনো।
‘হ্যা। ’ আমি ঢোক গিলে বলি। পিপাসায় বুক ফেটে যাচ্ছে।
‘চা খাও। ভালো লাগবে। ’ এই বলে বিছানার পাশে চা রেখে সে চলে যায়।
আমি চা খাই। চুপচাপ। তারপর খাওয়া শেষে শূন্য চায়ের কাপ হাতে নিয়েই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই। আজ মানুষ মেরে ফেলা রোদ।
পুড়ে যাবার মতন অবস্থা। শরীরের যেখানেই রোদ এসে ছোঁয় সেখানেই ছ্যাৎ করে লাগে।
‘হাসপাতালে যাবে না?’ বুনোর গলা শুনে পেছনে ফিরে তাকাই।
‘যাবো তো। তোমার কী হয়েছে বলবে?’ বলি আমি। বুনো আমার কাছ থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে নেয়।
‘না। বলবো না। ’ বলে বুনো। চোখ শূন্য চায়ের কাপে। সে ভালো নেই দেখেই বোঝা যায়।
বুনো কিছু বলতে না চাইলে জোরাজুরি করা ঠিক হবে না। অন্য কথা বলি।
‘জানো তো চলে যেতে বলা হয়েছে। তোমার মা বলেছে। চলে যাবো আমরা। মামা বাড়ি খুঁজছে। কিছু ম্যানেজ করা না গেলে হোটেলেই উঠে যাবো। ’
‘যাও। ওটাই ভালো হবে মনে হয়। সবার জন্য ভালো। ’ বলে বুনো।
আমি অবাক হই। ভেবেছিলাম বুনো প্রতিবাদ করবে। অন্য কোথাও যেতে চাচ্ছিলাম না। একটা ক্ষীণ আশা ছিলো যে বুনো তার মায়ের সাথে কথা বলে সব ঠিক করে ফেলবে।
‘আমার ওপর রাগ করে আছো?’ আমি বলি।
‘তা কেন? আচ্ছা থাকো। কাজ আছে আমার। শোনো, তোমার পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলাটা মেটানো দরকার। গতকাল কথা হয়েছে মামার সাথে। আমি আর উনি মিলে সন্দীপ মুখার্জির সাথে দেখা করবো। বিষয়টার সুরাহা না হলে দেশে যাওয়া নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে পারো। ’ বলে বুনো। রোবটের মতন। বলার জন্য বলা যেন।
‘আচ্ছা। ’ আমি বলি। অভিমান হয়। এই এত কিছু যে হয়েছে, হচ্ছে সেটার কিছুই আমাকে বলেনি মামা। আর বুনোও মাত্র বলল। জরুরি মনে হচ্ছে না। কোন কিছুর সমাধান আমার কাছে নেই কিংবা আমাকে দিয়ে কোন সমাধান হবে না বলেই হয়ত এভাবে বলা।
‘আর ভালো খবর আছে একটা। আকাশ লোকটাকে পাওয়া গেছে। সন্দীপ মুখার্জির ওখান থেকে জানালো। এই লোক ঘাঘু অনেক। এমন ধাপ্পাবাজি আরও দিয়েছে। তাকে খুঁজে পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি সন্দীপ মুখার্জির জন্য। ’
‘টাকাটা পাওয়া যাবে?’
‘না মনে হয়। মামা তো তাই বললো। তার সাথেই কথা হয়েছে। ’ বলে বুনো।
‘ও। ’ টাকাটা পাওয়া যাবে না শুনে আমি আর আকাশ নামের লোকটার প্রতি আর কোনো আগ্রহ বোধ করি না। শুরুতে ছিলো। মনে হয়েছিল সামনে পেলে খুন করে ফেলবো। চাচ্ছিলাম কোনো একদিন দেখা হয়ে যাক অথবা আমি নিজেই ঠিক খুঁজে বের করে জিজ্ঞেস করবো যে কেন আমাদের সাথে এমন করলো? সে আগ্রহ এখন আর নেই। কোনো একটা ব্যাপারে দীর্ঘসময় নিয়ে বসতে ইচ্ছে করে না এখন আর। মনে হয় যেতে দেই চারপাশটাকে। নিজের জীবনকে। আমি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে জট পাকাবে সব। তার চেয়ে চলুক প্রকৃতির নিয়মে। ইচ্ছেমতন ভাঙুক, গড়ুক, কাঁদুক, হাসুক যা ইচ্ছে তাই। সেভাবেই ভালো।
বুনো চলে যায়। আমি বারান্দায় থাকি। পাশের ঘর থেকে বুনো আর রুবির কথা শুনি। এই দুইজনের জমেছে খুব।

রোদ একটু একটু কমে। ছায়া হয়ে গলে পড়তে চায়। হাওয়া আসে। গরম হাওয়া। ভ্যাপসা।
স্যান্ডো গেঞ্জির ওপর পাতলা হাফ হাতা শার্টটা পরে বের হই। বাইরে কোথাও থেকে খেয়ে নেব পরোটা আর চাটনির সাথে দু-টুকরো কাঠবাদাম। কোঠারি হাসপাতালের নিচেও খাওয়া যায়। ফ্রুট স্যান্ডউইচ। দাম বেশি পড়বে না। হাতের টাকা-পয়সা শেষ হয়ে আসছে। বাবা মামার কাছে যা পাঠায় সেখান থেকে চাইতে খারাপ। মায়ের চিকিৎসার টাকায় আমি বিলাসিতা করে বেড়াবো সে হয় না।
বাবার সাথে কথা হয় ফোনে। হাসপাতালে মায়ের কেবিনের দিকে যাবার খুব আগেই। অনেকদিন পর বাবার সাথে কথা। আজকাল সে আমার সাথে আলাদা করে কথা বলেন না। প্রয়োজনীয় যা কথা মামার সাথেই। টাকা পয়সার ব্যাপারে। দায়িত্ব পালন যেন।

বাবা জানায় সে ব্যবসা শুরু করেছে। এর মধ্যে ঢাকা গিয়েছিল। স্টক লটের বিজনেস। একজন কিছু টাকা দিয়েছে। ওটা দিয়েই ব্যবসা হচ্ছে। কিছু একটা করতে হবে তো। বাবাকে অনেক উৎফুল্ল মনে হয়। নতুন জীবন শুরু করেছে এমন।
সে তার বান্ধবীর কথা জিজ্ঞেস করে। কেমন আছে এই মহিলা, রুবি তাকে পছন্দ করে কিনা, আমার কেমন লাগে এইসব। মায়ের কথা তার মুখে শুনি না। মাকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভুগতে দেখি না। কথা শেষ হয় তাড়াতাড়ি। বাবা ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেয়।

আমি এরপর মায়ের ঘরে যাই। বাবার ফোনের কথাগুলো ভুলে যাবার চেষ্টা করি। সে ভালো আছেন এটাই তো বড় কথা। কোনো একটা উপলক্ষ হলেও তাকে ভালো রাখতে পারছে এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে! ছোট নই। বুঝি। টের পাই। যা হচ্ছে এটাই মনে হয় স্বাভাবিক। তবুও মন সায় দেয় না।  
মায়ের ঘরে যাই। শরীর ভালো নেই একদম তার। আহারে মা আমার। আহারে মা।
‘রুবি কেমন আছে?’ বলে মা। কথা স্পষ্ট না। ঘরঘর আওয়াজ। নাক দিয়ে কি সব টিউব দেওয়া। রাইস টিউব দিয়েও খেতে হয়েছে কয়েক দিন। মায়ের রোগটা আসলে কি ডাক্তার কি আদৌ জানে? মনে হয় না।
‘ভালো আছে। কথা বলার দরকার নাই। ঘুমাও। ’ আমি বলি।
‘সারাদিন তো ঘুমাই। তোর বাবা কেমন আছে রে। লোকটা আমার জন্য নিজের জীবনটা শেষ করলো। ’ বলে মা। তার কথা বলতে কষ্ট হয়। তবুও বলে। মানুষ কথা না বলে থাকতেই পারে না।
‘ভালো আছে। সবাই ভালো আছে মা। ’ কথা বলতে গিয়ে আমার গলা কেন জানি ভারী হয়ে আসে। মায়ের পাশে ছোট্ট একটা বাচ্চার মতন শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। মাকে বলতে ইচ্ছে করে, ‘মা আর ভালো লাগে না। তোমার ছেলে পারছে না। ক্লান্ত। ক্লান্ত। ’ বলা হয় না। নার্স তাড়া দেয়। যেতে হবে। পাশে আরো রোগী আছে। কথায় তাদের সমস্যা হয়।
‘অপারেশনটা হবে?’ মা বলে। চোখে ভয়। অপারেশনের জন্য ভয়।
‘হবে। টাইম আর ডেট আজ জানাবে ডাক্তার। ’
‘রুবিকে দেখে রাখিস। আমার পুতুল মেয়ে। আমি তো দেখে রাখতে পারলাম না। ’ কথা বলার সময় মায়ের চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে।
‘কি শুরু করছো। সুস্থ হয়ে যাবা। থাকো। গেলাম আমি। ’
‘মাহবুবা ভালো আছে? ছবি আঁকা শিখতো যে। ’ মা বলে। মাহবুবার কথা কেন বলে? এখনই কেন বলে? মায়েরা কি সব বুঝতে পারে?
‘হুম। সবাই ভালো আছে। ঘুমাও তো। যাই। ’ কথাটা বলে বের হই। নার্স আমার ওপর বিরক্ত বোঝা যায়।
আমি মায়ের ডাক্তারের সাথে দেখা করতে যাই। আজ জানানো হবে কখন, কবে অপারেশন হবে মায়ের। মামা সকালেই গিয়েছে ডাক্তার বিশ্বজিৎ এর ওখানে। এই লোকের দেখা পাওয়া মুশকিল।
যেতে যেতে মায়ের কথাটা মাথায় ঘোরে। বাবা তার জন্য জীবনটা শেষ করেছে। কোনো একজনের জন্য কি জীবন শেষ করে দেওয়া যায়? কাছের একজনের জন্য? আমাকে যদি কারো জন্য জীবন শেষ করতে হয় সেটা কে হবে? মাহবুবা নাকি বুনো? বুনো নাকি মাহবুবা? ঘুরপাক খায় এ দুটো নাম। বারবার।

চেম্বারের বাইরে যেতেই মামার সাথে দেখা হয়। সে নো স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে। কী ভয়ানক ব্যাপার। বিশ্রী ব্যাপার। কেউ কি টের পায়নি বিষয়টা? দেখে ফেললে কেলেংকারী হয়ে যাবে। শাস্তি, জরিমানা।
‘তোর মায়ের অপারেশন কাল। দুপুরে। শরীর ভালো না। রিস্ক নিতে হবে। কালকেই অপারেশন। ’ সিগারেট টানতে টানতে আমার সামনেই বলে মামা। তারপর বুড়ো খোকার মতন ফ্যাচ করে কেঁদে দেয়। বোনের জন্য। আমি মামাকে জড়িয়ে ধরি।
আমি কাঁদি বা কেঁদেছি কিনা সেটা আজ জানাতে ইচ্ছে করছে না।
ছেলেদের কান্না দুর্বলতার পরিচয়। নিজের সে পরিচয় সবার সামনে আনতে ভালো লাগে না।
শুধু চাই মা ভালো থাকুক। বেঁচে থাকুক। মাকে আমার সুস্থ দেখতে ইচ্ছে করে।
ও মা। মা আমার।
শুনতে পাও তোমার ছেলের ডাক। শুনতে পাও?
(চলবে)

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এমজেএফ/
আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-
**মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৩)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৪)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৫)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৬)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৭)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৮)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৯)

** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১০)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১১)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

উপন্যাস এর সর্বশেষ