ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

উপন্যাস

ধারাবাহিক উপন্যাস

মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১৩)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১৩)

১৩.
তারকাটায় জড়ানো পাখি,
দিচ্ছে ফাঁকি, দিচ্ছে ফঁকি।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ডুবে গেছে কলকাতা।


বৃষ্টি হয়েছে সারারাত। টুপটাপ, ঝুমঝুম বৃষ্টি।
ডুবে গিয়েছিলাম আমিও। বাড়ির সামনের পুকুরটায়। খেলতে খেলতে। বাটার নতুন জুতোটা কাদার মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল আর ভেসে উঠল না। সে’কি কান্না। আমি ভেসে উঠেছিলাম। পেট ভর্তি পানি। বমি টমি করে একশেষ।
শোক আমার জুতোর জন্য। মা বলেছিল কিনে দেবে একটা। ঝা চকচকে বাটার নতুন বেল্টের জুতো। আমি জানতাম দেবে না। দিলেও শর্ত জুড়ে দেবে সাথে। ক্লাসে প্রথম পাঁচ জনের ভেতর থাকতে হবে, অঙ্কে নব্বইয়ের উপর পেতে হবে এসব।

অনেক আগের কথা। সে যাত্রায় ডুবে যাওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া আমি কলকাতার রাস্তায় ভিজতে ভিজতে ভাবছি এসব।
সন্দীপ মুখার্জির গাড়ি আসে। আমি গাড়িতে উঠি। তিনি আমার হাতে তার পায়ের নতুন জুতোটা ধরিয়ে দেন।
তিনি ধনী মানুষ। বাটার জুতো তার পড়ার কথা না। বাটা মধ্যবিত্তের জুতো। এই জুতোর প্রতি মধ্যবিত্তের এক ধরনের মোহ কাজ করে। ডিজাইন যাই হোক না কেন টেকে বেশিদিন। লং লাস্টিং বিষয়টাই মধ্যবিত্তের জন্য সবচেয়ে জরুরি।

‘মার ডালো। শালে...। ’ বলে সন্দীপ মুখার্জি।
আকাশ নামের লোকটা সামনে বসা। হাত, পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। ইতোমধ্যেই মারধর তাকে করা হয়েছে এটা বোঝা যায়। শরীরে রক্তে ভেজা। আমার দেখে ঘেন্না লাগে। বমি আসে। ভেতর থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসতে চায়।
হাতে ধরা বাটার জুতো। সন্দীপ মুখার্জি এই জুতো দিয়ে আকাশকে মারতে বলছেন। আমি পারছি না। এই লোকের প্রতি আমার এখন আর কোনো আগ্রহ নেই। সে টাকা পয়সা সব নিয়ে মায়ের চিকিৎসা প্রায় থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু থেমে থাকেনি। মায়ের অপারেশন আজ। রাতে হবে। বারো ঘণ্টার মেজর অপারেশন। বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম। চিকিৎসক নিজেই সাহস দিতে পারছে না। তাদের মুখ শুকনো।

মায়ের জন্যই এসেছি এই দূরদেশে। মা বাঁচবে এই আশায়। সে না বাঁচলে আর রাগ, ক্ষোভ পুষে লাভ কি। আমার আর আকাশ লোকটার ওপর কোনো রাগ নেই। আমি বাটার জুতো সন্দীপ মুখার্জির দিকে এগিয়ে দেই। বলি, ‘পরে নিন। ’ তারপর আকাশ লোকটার হাতের বাঁধন খুলি। সন্দীপ মুখার্জির লোকজন আমাকে থামানোর চেষ্টা করতেই সন্দীপ মুখার্জি চোখের ইশারায় তাদের থামতে বলেন। আমি কি করি সেটা হয়তো তিনি দেখতে চান। বাটার জুতো আবার পায়ে গলিয়ে তিনি আমাকে দেখতে থাকেন। আমি আকাশ লোকটার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে গাড়ি থামাতে বলি। গাড়ি থামে। তাকে বলি চলে যেতে আর বলা হয়, ‘পারলে আমার মায়ের জন্য একটু দোয়া করবেন। প্লিজ। তার দোয়া খুবই দরকার। ’ আকাশ লোকটা মাথা ওপর নিচ করে জানায় দোয়া করবে। সে নড়ে না। দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার উপর। পায়ে শিকড় গজিয়েছে যেন।

আকাশ লোকটা যাচ্ছে না দেখে সন্দীপ মুখার্জি ধমক দিয়ে বলে, ‘ভাগ শালা নইলে এত্ত গুলি করবো যে গুলির খোসা বেঁচে বড়লোক হয়ে যাবি। ’ ধমক শুনে আকাশ লোকটা দৌড়ায়। অনিচ্ছার দৌড়।

গাড়ি চলতে থাকে। চলতে চলতে পৌঁছায় পাসপোর্ট অফিসে। সন্দীপ মুখার্জি আমাকে নিয়ে যান এক বড় কর্মকর্তার ঘরে। আমাদের নিয়ে কথা হয় তার সাথে। মায়ের অসুস্থতার কথা বলা হয়। আমি তখন দুখী দুখী মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। যদি করুণা হয় এই আশায়। সমস্যাটা থেকে বের হওয়া দরকার।

বড় কর্মকর্তা আমার উপস্থিতি পছন্দ করেন না। সন্দীপ মুখার্জি এটা বুঝে আমাকে চোখের ইশারায় বাইরে যেতে বলেন। আমি এতেই খুশি হই। একটানা দুখী মুখ বানানোর অভিনয় আমাকে দিয়ে হয় না।

রুমের বাইরে চুপ করে বসে থাকি। কানে কথা আসে স্পষ্ট। বড় কর্তা বেশিরভাগই অন্য আলাপ করেন। সন্দীপ মুখার্জির ব্যবসা নিয়ে কথা। টাকা পয়সা নিয়ে কথা। আমাদের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখান না। সন্দীপ মুখার্জিকে বলেন, অযথা জড়াচ্ছেন কেন? কি স্বার্থ? সবশেষে সল্যুশন। সীমান্তে লোকের অভাব নেই সন্দীপ মুখার্জির। বলেন বেআইনিভাবে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে যেতে। পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়। দেশে যাওয়ার একমাত্র উপায় বনগাঁ পার হয়ে ওপারে যাওয়া। মুরগির মতন গাদাগাদি করে মাল নেবার ট্রাকে উঠতে হবে। তারপর একটা পথ টানা রিকশা কিংবা অ্যাম্বাসেডর গাড়িতে। কিছু উঁচু নিচু টিলা আছে। সেখানে দালালরা থাকে। সীমান্ত রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হতে হয়। ঘুষ লাগে কিছু। সেটা তেমন কিছু না।
 
আমি বাইরে বসে সব শুনি। সব। আফসোস হয়। নিজেকে নিয়ে আর নিজেদের সমস্যা নিয়ে আফসোস। কোনো সমাধান হলো না। অসুস্থ মাকে নিয়ে কিভাবে অই বাজে পথ দিয়ে দেশে ঢুকবো?

সন্দীপ মুখার্জি আর বড় কর্তা কথা বলতে থাকেন। বাইরে বসে আমার শরীরটা ভালো লাগে না। পিঠের দিকটায় কেমন একটা অচেনা চিনচিনে ব্যথা। চোখের দৃষ্টি ঘোলাটে লাগে। শীত। কাঁপুনি ধরে। জানালার বাইরে অল্প একটু আকাশ। তার ঠিক নিচেই চৌকো দালান সব। সিমেন্ট, ইট, রঙ, তারপিন আর রডের স্ত‍ূপ। সবুজ কই? আছে দুই একটা গাছ। শো-পিসের মতন সাজানো। রাস্তার মোড়ে, বারান্দায়, ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। ঠিক মানানসই না। মানুষের পৃথিবীতে মানিয়ে নিতে গাছগুলো হিমশিম খাচ্ছে বোঝা যায়। গরম বাতাস। জ্বর শরীরে নিঃশ্বাসের উত্তাপ যেন। সমস্ত পৃথিবীটাকে থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখা দরকার। তারপর মায়ের জলপট্টি। ওতে জ্বর নামবে। দিনভর পানি দেওয়া। তাপ পালাবেই। চিন্তারা এমন হয়। কই থেকে কই যায়। আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না। নবীজির জীবন কাহিনী পড়তে দেখি মাকে। বিষাদ সিন্ধু পড়তে পড়তে চোখের পানি ফেলেন। মা ফাতিমার জন্য সে’কি কষ্ট। মধ্যবিত্ত মা আমার। সব ভাবনা আজ ঘুরে ফিরে মায়ের কাছে এসে শেষ হয়। ইলিশ মাছের ডিম, ডাটা, কলমি শাক, জলপাই আচারের তেল, ঘন ডাল-আমার মায়ের রান্না। ঘ্রাণ পাই। বন্ধ চোখে অনেক কিছু দেখা যায়। এগুলো আর কখনও পাবো না। আমার মাকে পাবো না নাকি পাবো? আজ অপারেশনের পর তিনি কি সুস্থ হবেন? ছেলের কপালে হাত রেখে বলবেন, ‘শরীর তো পুড়ে যাচ্ছে তোর। দাঁড়া মাথায় পানি দিতে হবে। খালি অনিয়ম করিস। আমি আর পারি না। তোরা আমাকে শান্তি দিবি না?’ আমি মুচকি মুচকি হাসবো। এর মানে হলো মাকে শান্তি দিতে রাজি নই। সুবোধ ছেলে হবার মজা কই?

একটু বেয়ারা, দুষ্ট হলেই মায়ের আদর পাবো। মা সারারাত জাগবেন। নিজের খাওয়া দাওয়া ঠিক নেই কিন্তু খাওয়া নিয়ে আমাকে বকবেন। ওষুধ খেতে ভুলে যাবেন। এর মধ্যে রুবি কিছু একটা ভাঙবেই। কাচের জিনিস। এই মেয়ের হাতে কিছু থাকে না। মা কতবার মেজাজ খারাপ করে বলেছেন সব স্টিলের হবে। জগ থেকে প্লেট, গ্লাস সব। রুবির প্লেটটা অবশ্য মেলামাইনের। কাচ টিকবেই না তার কাছে। বাবা কয়েকবার বকা খাবেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বকা খাওয়া লোক একটা। মায়ের বকা খেলে কেন জানি মনে হয় খুশিই হন। বকা খেতে হয় এমন কাজই করেন। বাবা বকা খেলে আমি আর রুবি খুশি হই। মা’ই সর্বেসর্বা। তার জন্যই তো আমাদের বেঁচে থাকাটা এত আনন্দের!

মায়ের আজ অপারেশন। রাতে। মামা আছেন সেখানে। অপু ভাই রক্তের জন্য ছোটাছুটি করছে। সব নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। কোথাও এক চুল ছাড় দেওয়া যাবে না। মাকে হারানোর প্রশ্নই ওঠে না। বরিশালে আজ মসজিদে বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আত্মীয় স্বজন সব আমাদের বাড়িতে। সকালে মামাকে কল দিয়েছিল বাবা। তিনি বলেছেন। জায়নামাজ ছেড়ে আজ আর উঠবেন না। অপারেশন শেষে মামাকে জানাতে বলেছেন।

আমি এক অকর্মার ঢেঁকি। আমাকে দিয়ে ইবাদতও হয় না ঠিকমতন। পাসপোর্ট অফিসের বাইরে জ্বর শরীর নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে আমি কি’ই বা করতে পারি। আয়াতুল কুরসি পড়া যায়। মুখস্ত আমার। এদিক ওদিক পানি খুঁজি। জিজ্ঞেস করে পেয়েও যাই। অজু করি। ফিরে এসে আগের জায়গায় বসে পড়ি, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম...। ’ পড়তে পড়তে চোখে পানি আসে। ‘আল্লাহ গো, আমার মাকে খুব দরকার, রুবিরও দরকার। আমাদের সবার দরকার। তার হায়াত বাড়ায়ে দিতে আপনিই পারবেন। আল্লাহ...। ’

‘যেতে হবে। সংবাদ ভালো না। দেখি তবু কি করা যায়। চল। ’ বলে সন্দীপ মুখার্জি। ঘর থেকে বের হয়েছেন তিনি। কখন টের পাইনি। থমথমে মুখ লোকটার।
‘আচ্ছা। আচ্ছা। ’ আমি টলোমলো পায়ে জ্বর শরীর নিয়ে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করি।
‘কি হলো? শরীর ঠিক। ’ আমাকে দেখে বলেন তিনি।
‘হুম। হুম। একদম ঠিক। ’ আমি জ্বর, ক্লান্তি থোড়াই কেয়ার করে সটান হয়ে দাঁড়াই। সৈনিকের মতন টানটান। শরীর খারাপ এটা কাউকে বোঝানো যাবে না। এখন এইসবের সময় না।
‘হাসপাতালে নামাবো?’
‘জ্বি। ’
‘চলো। গাড়িতে কথা হবে। ’ বলে তিনি হাটা শুরু করেন। তার হাঁটার সাথে তাল মেলাতে কষ্ট হয়।
গাড়িতে উঠি আবার। গাড়ি চলতে শুরু করতেই তেলের গন্ধ নাকে ধাক্কা মারে। এই গন্ধ জ্বর শরীরে সহ্য হয় না। আমি বমি করি। বমি করে ভাসিয়ে দেই চারপাশ।
সন্দীপ মুখার্জি আমার প্রতি বিরক্ত হন। সেটাই স্বাভাবিক।
তবে বিরক্ত হয়ে তিনি আমাকে রাস্তার মাঝখানে ফেলে যান না। তার লোকজন গাড়ি পরিস্কার করে। আমাকে লেবুর শরবত এনে খাওয়ায়। একটু সুস্থ হলে পরে নামিয়ে দেয় হাসপাতালের সামনে।
বিদায় নেবার সময় সন্দীপ মুখার্জি কিছু বলেন না। বলবেন এটাও আশা করি না। আমি তাকে বলেই কোটারি হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ি।

মা আজকে কেবিনে। এর মধ্যেই তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মায়ের সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে। অপারেশনের আগে কথা বলা সম্ভব হবে কিনা জানি না। তার জ্ঞান আছে কিনা এটাও জানা নেই।
মামা আর রুবিকে দেখি। মামা আর বাসায় যাননি। হাসপাতালেই আছেন। আজ সবাই এখানে থাকবো রাতে। সবাই বলতে আমি আর মামা। রুবি ছোট মানুষ। তাকে হাসপাতালে রাখা ঠিক না।
‘কোন খবর আছে?’ মামা বলে।
‘না। পাসপোর্টের কোনো সল্যুশন নাই আর আকাশ মামাকে পেয়ে ছেড়ে দিছি। ’
‘আমার বোনটার কপাল এত খারাপ কেন রে?’ মামা বলে। তাকে খুব শান্ত মনে হয়। পাথর পাথর মনে হয়। পাসপোর্টের ব্যাপারে কোনো সমাধান আসলো না এটা নিয়ে তাকে চিন্তিত হতে দেখি না। কিভাবে দেশে যাবো এখন? আকাশ লোকটার কাছ থেকে তো কিছু উদ্ধার হলো না। বড় বিপদের ঝাঁপটায় উড়ে যায় ছোটখাট বিপদ সব। এখন অপারেশনের সময়। মা ছাড়া আর কিছু ভাবনায় আসা উচিত না।
‘মায়ের জ্ঞান আছে?’
‘না। নার্স তো তাই বলে। আজকে কারো সাথে আর দেখা করতে দেবে না মনে হয়। ডাক্তারও পাচ্ছি না সকাল থেকে। ’
‘কী বলো?’
‘চেষ্টা করছি কয়েকবার দেখা করার। উনি সময় দিতে পারে নাই। বলছে, সময় হলে কথা বলবে। ’
‘রুবিরে তো দিয়ে আসতে হবে। ’ আমি বলি।
‘না। রুবি এখানেই থাকবে। ’
‘হাসপাতালে? কিভাবে মামা? ছোট মানুষ?’
‘যার মা এমন অসুস্থ তার ছোট থাকা চলে না আর বুনোরা আমাদের বের করে দিছে। তুই তো সন্দীপ মুখার্জির সাথে ছিলি। জানাতে পারি নাই। দুইটা মাত্র লাগেজ। আমি আর রুবি লাগেজ নিয়ে সোজা চলে আসছি হাসপাতালে। লাগেজ রাখা আছে হাসপাতালের এক স্টাফের কাছে। কিছু রুপিও দিছি খেয়াল রাখার জন্য। ’ মামা কথাগুলো বলে।
‘কোনো ভালো খবর আছে মামা?’ আমি হাসি। শুকনো হাসি হেসে কথাগুলো বলি।
‘আছে তো। রুবির খাওয়া শেষ। সে বলছে লক্ষ্মী হয়ে থাকবে। মায়ের অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো আবদার করবে না। ’ মামা হাসে। এই হাসিতে প্রাণ নেই। রুবিও হাসে। তারপর আমরা বসি চেয়ারে।
মা আমার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে। আর আমরা তিনজন এই মুহূর্তে অপেক্ষা করছি হাসপাতালের ওয়েটিং চেয়ারে।
বুনো কেন বের করে দিল সেটা নিয়ে ভাবার সময় নেই। সময় নেই বের করে দেবার পর কই গিয়ে উঠবো সেই হিসেব করার।
এখন শুধু অপেক্ষা।
এই অপেক্ষা দীর্ঘ না হোক। দীর্ঘ না হোক।
(চলবে)

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমজেএফ/
আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-
**মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৩)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৪)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৫)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৬)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৭)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৮)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৯)

** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১০)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব-১২)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

উপন্যাস এর সর্বশেষ