ঢাকা: আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অলিম্পিক মশাল বহনের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইতোমধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ রিও অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্ট মাঠে গড়িয়েছে।
মশাল হাতে নেওয়ার পর বাংলাদেশের কোটি মানুষের গর্ব ড. ইউনূসকে ঘিরে রাস্তায় উৎসুক মানুষের ভিড় লেগে যায়। কেউ কেউ তার সঙ্গে মোবাইলে সেলফি তুলে সময়টা স্মরণীয় করে রাখেন। পরে মশাল হাতে রিওর রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন তিনি।
গত ২১ এপ্রিল রিও অলিম্পিকের মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয় দক্ষিণ গ্রিসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ৩ মে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় এসে পৌঁছায়। দেশটির ৩৩৫টি শহর আর ২০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তা রিও ডি জেনিরোতে আসে। অলিম্পিক মেডেল জয়ী সাবেক অ্যাথলেটরা একটি ইয়ট চালিয়ে সমুদ্রপথে মশালটি নিয়ে রিওতে পা রাখেন। পরে তা তুলে দেওয়া হয় মেয়র এডুয়ার্ডো পায়েজের হাতে।
এদিকে, অলিম্পিক মশাল নিয়ে বিশৃঙ্ক্ষলার ঘটনাও ঘটেছে। শহরটিতে শত-শত মানুষ সহিংস বিক্ষোভ করেন এবং মশাল প্রদক্ষিণের রাস্তা বন্ধ করে দেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাজনৈতিক অস্থিতীশীলতা ও দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার মাঝে এতো বড় আয়োজন করাই বিক্ষোভের মূল কারণ।
ক্রীড়াক্ষেত্রে ড. ইউনূসের ভালোবাসা আগেও দেখেছে বিশ্ব। এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার আমন্ত্রণে ন্যু ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এবার রিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করলেন ৭৬ বছর বয়সী এ সামাজিক উদ্যোক্তা।
রিওর রাস্তায় অলিম্পিক মশাল হাতে ড. ইউনূস:
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৬
এমআরএম