বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ৮৩% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে, মুসলমানদের ধর্মানুভুতিকে পুজি করে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে জামায়াত শিবির দেশটাকে এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এবার আসি ব্লগার প্রসংগে, এটা সত্যি বাংলাদেশের ৫০% মানুষ এখনো জানেনা ব্লগ কাকে বলে, কি জিনিস। কিন্তু এই ধরনের মানুষকে প্রধানত টার্গেট করে তাদের মধ্যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, “ব্লগাররা নবীজিকে গালি দেয়”। সম্প্রতি, ১৮ জন ব্লগারকে হত্যার অনুরোধ করে এবং হুমকি দিয়ে ফেসবুকে যে পোস্ট করা হয়েছে সেই তালিকার মধ্যে দুই জন ছাড়া কেউই কখনো ইসলাম বিরোধী কিছু লিখেননি, বাকি ১৬ জনের কোন প্রমান শিবির দেখাতে পারবে না কিন্তু তারা সামাজিক মিডিয়া এবং স্বাধীনতা বিরোধী কতিপয় দালাল পত্রিকাতে ক্রমাগত নির্লজ্জ মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আর তারা যে ইসলাম বিরোধী পোস্ট করেছে সে গুলো ২০১২ সালের দিকে করা। ইসলামকে নিয়ে কটুক্তির শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে, এটা জঘন্যতম অন্যায় কারন আমাদের নবীজি, অন্য ধর্মের দেবতাকে পর্যন্ত গালি দিতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু শিবিরদের প্রতি প্রশ্ন হলো, এই ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন টি ২০১২ সালে কেন হলো না? তখন কোথায় ছিল এরা। আজ যখন রাজকারদের বিচার হচ্ছে, তরুণ প্রজন্ম এক হয়েছে, দেশপ্রেম জাগ্রত হয়েছে তখন কেন এই তথাকথিত ধর্মান্ধতা? কেন ধর্মের দোহাই দিয়ে শান্তি প্রিয় মুসলিমদের বিভক্ত করা হচ্ছে, আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, প্রান দিতে হচ্ছে নিরীহ মানুষকে?
যারা প্রকৃত মুসলিম, যারা কোরআনে বিশ্বাস করেন, বিশ্বাস করেন ইসলামকে তাদেরকে বলছি, ব্লগার মানেই নাস্তিক না, প্রকৃত সত্য না জেনে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য পাপ। কতিপয় লাইনচ্যুত ব্লগারদের জন্য সমগ্র ব্লগারদের ঘৃনার চোখে দেখবেন না। ব্লগারদের ঘৃন্য করে তোলার জন্য তারা বিভিন্ন ভুয়া আইডি খুলে সেখানে ধর্ম অবমাননা কারী লেখা লেখছে শাহবাগের তরুণ নেতাদের নাম দিয়ে। এদের মিথ্যাচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না।
আমরাও মুসলিম, ইসলাম কোন দলের নিজস্ব সম্পত্তি না। এটা আল্লাহর দান। তাই প্রকৃত ইসলামকে ভালোবাসুন, বিকৃত ইসলামকে না। আর ইসলামকে যারা নিজেদের সার্থে ব্যাবহার করছে, পবিত্র মসজিদকে রাজনৈতিক কাজে ব্যাবহার করছে, এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। সরকারের উচিত এই মিথ্যাচার ও হুমকিমুলক কাজে জড়িত পত্রিকা, ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, বন্ধ করে দেওয়া। আর এটা না পারলে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখিন হবে। তখন পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। দেশে আজ তরুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই ঐক্যবদ্ধ, আসুন তাদের সহায়তা করি, দেশকে ভালবাসি। গড়ে তুলি রাজাকার মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ। বাংলার মাটিতে ৭১ এর ঘৃন্যগোষ্ঠীর কোন স্থান হতে পারে না। জয় বাংলা, জয় ইসলামের।
লেখক : একজন তরুন ব্লগার([email protected])