ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

বইয়ের চরিত্র পায়নি ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’

শিহাবউদ্দীন কিসলু, নিউইয়র্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৩
বইয়ের চরিত্র পায়নি ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’

সাংবাদিকতায় কাজ করছি তিরিশ বছর ধরে। সাংবাদিক হতে পেরেছি কি না জানি না।

তবে খুবে ইচ্ছে সাংবাদিকতার নানা ঘটনাবলী নিয়ে জীবনের গদ্য লিখব। বারবারই শুরু করে থমকে গেছি। মনে একটাই প্রশ্ন-পাঠকের কাছে আমার দায়বদ্ধতা। পাঠকহৃদয়ের আকুতিকে সম্মান জানাতে পারব তো? বই লেখার সেই অদম্য বাসনা থেকেই এ প্রজন্মের কোনো নতুন বই বের হলে উচ্ছাসে কৌতূহলে, আগ্রহে ‘পাখির পালক’ হয়ে পড়ি। ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ আমার আগ্রহের তালিকায় গুরুত্ব পেয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই। প্রকাশনাটি হাতে নিয়ে তাই প্রথমবার চোখ বুলানো, তারপর পড়ে শেষ করা ।

প্রকাশনাটির তথ্য ও বক্তব্য নিয়ে আমার অভিব্যক্তি প্রকাশের আগে প্রকাশনা সম্পর্কে সাধারণ যেকথাটি বলা জরুরি তা হলো, ডায়েরি লেখা খুবই ভালো অভ্যাস। লেখালেখির ক্ষেত্রে বিশেষ করে বই লেখার জন্য ডায়েরি সংরক্ষণ অতি গুরুত্বপুর্ণ কাজ। বই বিবেচনায় অপরিহার্যও বটে। কিন্তু ডায়েরির সব তথ্য যে বইয়ের পাতায় ছাপা যায় না এবং যতটুকু ছাপা যায়, সেক্ষেত্রেও যে ভাষার ব্যবহারে, উপস্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা জরুরি- সে বিষয়ে লেখকের সম্যক  জ্ঞান থাকা  পূর্বশর্ত। যতœবান না হলে ’ভালুকের হাতের খোন্তা’ হয়ে সর্বনাশ অনিবার্য।

‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ প্রকাশনাটির মুখবন্ধটি চমৎকার হলেও প্রকাশনাটির সামগ্রিক উপস্থাপনায় এটিকে আমার নেহাত ‘কাঁচা হাতের ডায়েরি’ মনে হয়েছে। ‘সাহিত্যমান’ বিবেচনা ছাড়াই  বিষয় বিবেচনায় বক্তব্যের বিবর্ণ ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় ভাষা উপাদানগুলোর অনুপস্থিতিতেই  ‘বই চরিত্র’ হনন হয়েছে এই লেখনিতে।

প্রকাশনাটির প্রথম ৮১ পাতা পড়ে তথ্য-উপাত্তের মোটামুটি একটা ধারাবাহিকতা পেলেও পরে সব হ-য-ব-র-ল ই মনে হলো। প্রকাশনাটির কথামালা উপস্থাপনায় সাধারণ নিয়মরীতি খুঁজে পাওয়া যায় নি। চিকিৎসার শুরু থেকে হাসপাতালে হুমায়ূন আহমেদের ইহলোক ত্যাগের ঘটনা পর্যন্ত সব বিবরণ দেওয়ার পরেও শুধু ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও অভিযোগে সমর্থন আদায়ে আলাদা আলাদা  শিরোনামে আবারও একই বিষয়সমূহের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে । লেখকের  ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও অভিযোগই প্রকাশনাটিকে পাঠকদের কাছে ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ হিসেবেই তুলে ধরেছে। এমনকি হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী চিকিৎসার জন্য মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং হাসপাতালে জমা রাখা অর্থ তুলে নিয়েছেন এমন অভিযোগও করতে ছাড়েননি লেখক। মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং হাসপাতাল ছেড়ে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সিদ্ধান্তে স্লোন ক্যাটারিং হাসপাতালে জমা রাখা অর্থ তুলে নেয়াও কি অপরাধ? তাহলে এ অর্থ কার পাওয়ার কথা? এও অভিযোগ করা হয়েছে, শাওন জমাকৃত টাকা উত্তোলন করেন ৩ জুলাই ২০১২ তারিখে এবং স্লোন ক্যাটারিং হাসপাতালে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় ৪০,১৬৯.৪৫ ইউএস ডলার। অথচ হাসপাতালে জমাকৃত অর্থের সাথে খরচ সমন্বয় করে উদ্বৃত্ত টাকার চেকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭ মার্চ স্বাক্ষর করে ফানসু ম-ল বরাবর পাঠিয়েছে। তিনি হাতে পেয়েছেন গত মার্চ (২০১৩) মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আর এপ্রিল (২০১৩)-এর প্রথম সপ্তাহে তা হাতে পেয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন। আর হাসপাতালে খরচের যাবতীয় হিসাবের নথিতে অনুযায়ী মোট খরচের পরিমাণ ৯৫,৯৬২ ইউএস ডলার। (সুত্র: নিউইয়র্কে বসবাসরত হুমায়ূন আহমেদের বাল্যবন্ধু ফানসু ম-ল) দায়িত্বজ্ঞানহীন এমন তথ্যই বা কেন, তা  বোধগম্য নয়।

বেলভিউ হাসপাতালের বিল নিয়ে বিতর্ক তুলেও হুমায়ূন আহমেদের মত একজন ক্ষণজন্মা লেখককে প্রকান্তরে ছোট করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কথাটি একারণেই বলছি, দেশের অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি, ধনী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্রে এসে বিনা খরচে চিকিৎসা করিয়েছেন এমন তথ্যপ্রমাণ নিউইয়র্কের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ বিনা খরচে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আসেননি। দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে আনার নানা বিড়ম্বনাতেও পড়েছেন। ‘দখিন হাওয়া’ তাঁর নিজের ফ্ল্যাটটি বিক্রয়েরও চেষ্টা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এছাড়া লেখক তো পকেট থেকে বেলভিউ হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেননি। তিনিও এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল নিয়েছেন যৌক্তিক কারণেই। হুমায়ূনভক্ত যেকেনো আমেরিকা প্রবাসী এই কাজটুকুতে সহযোগিতা করতেন নিজ আনন্দে। আজ হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে কি এসব কথা কেউ লিখতে পারতেন? বলা প্রয়োজন, হুমায়ূন আহমেদের সাথে পরিচয় সম্পর্কতেও কাউকে কাউকে দেখেছি, মানুষকে মানুষ বলে ঠাহর করেন নি। নেহাত ব্যক্তিগত বন্ধুর বড় ভাই হুমায়ূন আহমদের চিকিৎসার খবর নিতে গিয়েও ঐসব ব্যক্তির অহমিকা ও অসৌজন্য আচরণে ঘৃণায় কষ্টে আমার মনে হয়েছে ‘ধরনী দ্বিধা হও...। ’

প্রকাশনাটিতে এক পর্যায়ে লেখা হয়েছে, ”হুমায়ূন আহমেদের চেয়ার থেকে পড়ে যাবার ঘটনা আমার কাছে ইচ্ছে করে গোপন করা হয়েছে, কারণ আমি সহজভাবে গ্রহণ করতাম না। ” এ বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, যিনি এ কথা লিখছেন তিনি কি হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী? মা নাকি তার সন্তান? বা অভিভাবক? বাইরের কেউ কি অপরাধ করে তা গোপন করছেন? বলা বাহুল্য, হাসপাতালে ‘হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার যাবতীয় তথ্যগুলিকে নিজের ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে প্রকাশনায়। যোগ করা হয়েছে চিকিৎসায় সেবায় লেখকের নিজের সম্পৃক্ততার দৈনন্দিন কাজের কিছু বর্ণনা। কিন্তুু অনাকাঙ্খিতভাবেই এবং চরম হীনমন্যতায় হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত, এক যুগের সহযোগী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করা হয়েছে ন্যুনতম সৌজন্যতার বাইরে। প্রশ্ন হলো কেন? এই কেন’র আংশিক উত্তর হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন পত্রিকান্তরে দিয়েছেন নিজেই। তিনি এ অভিযোগ ও করেছেন, অনেক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নতুন-পুরাতন অপ্রাসঙ্গিক ছবি বিনা অনুমতিতে ছাপানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যে বিষয়টি যোগ করার প্রয়োজন, প্রকাশনাটিতে সমালোচনা থেকে রেহাই পেতে ”উদ্দেশ্য (পিঠ চুলকানো) প্রণোদিত কিছু ছবির ব্যবহার হয়েছে” বলেও  মনে হয়েছে ।

যে কথাটি না বললেই নয়, হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসায় সম্পৃক্ত থাকতে লেখক নিজেই স্ত্রীর সহায়তা নিয়েছেন। অনেক করেছেন, আজকের সমাজে আপন জনেরাও অনেক সময় যা করেন না। প্রবাসের বাস্তবতায় তারপরও তারা দুজনের কেউই সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারেননি, পারার কথাও নয়। অথচ অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম প্রিয় সন্তানদেরকে, স্ত্রী ও ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দীর্ঘ প্রায় ৭টি মাস হুমায়ূন আহমেদের আমৃত্যু সহযোগী হিসেবে সার্বক্ষণিক পাশে থেকেছেন। অপারেশনের পর সারারাত হাসপাতালে থেকেছেন। খবর নিতে রাত দুইটা-তিনটায় ফোন করে বিনিদ্র মাজহারকে হাসপাতালেই পাওয়া গেছ্। ে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর সবার অলক্ষে অসহায় শিশুর মতো বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়া মাজহারুল ইসলামকে যারা দেখেননি তাদের পক্ষে অনেক কিছুই বলা সম্ভব।

দেশ, প্রজন্ম, সাহিত্যের কথা বাদ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের  চেয়ে অন্য আর কার বেশী ক্ষতি হয়েছে? শাওনের চেয়ে আর কারো বেশি দরদ ‘মায়ের চেয়ে আপন যে- সে ডাইনি’ প্রবাদটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয় মাত্র। হুমায়ূন আহমেদের অনাকাক্সিক্ষত, অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর কারণ অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তুু তাঁকে মেহের আফরোজ শাওন উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেনÑএমন কথা দাবি করার মতো চারিত্রিক গুণাবলীর  মতলব আলীদের আসল চেহারা কাউকেই উন্মোচন করার প্রয়োজন হয় না।

‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’তে ডেথ সার্টিফিকেটে বলা দাফনের জায়গার কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্ক ও ঢাকায়  মেহের আফরোজ শাওন-এর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন লেখক। বিষয় বিবেচনায় লেখক সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন। নিজের ক্ষোভ, অভিযোগ নেহাতই অযাচিত কাজ। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার ডেথ সার্টিফিকেটে কোথায় দাফনের কথা বলেছেন, কে বলেছেন, কেন বলেছেন, সেটা হুমায়ূন আহমেদের ইচ্ছা কিনা- এসব  কেবল তার জীবনসঙ্গী স্ত্রীই বলতে পারেন। একই সাথে স্ত্রী তার মত বদলাতেও পারেন। ডেথ সার্টিফিকেট তুলতে ফরম পূরণে দাফনের স্থান লেখা একটি নিয়ম মাত্র। আইন নয়। বিষয়টি নিতান্তই পারিবারিকও। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তান প্রথমে, তারপর মা এবং ভাইবোনদের মতামতই এক্ষেত্রে বিচার্য। কিন্তু নেহাত পারিবারিক এ বিষয়ে লেখকের আক্রমণাত্মক, সমালোচনামূলক মন্তব্য লেখক সত্ত্বাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

আলোচ্য বিষয়ে সবচে’ বড়  নীতিবিবর্জিত  কাজ  মৃত হুমায়ূন আহমেদের ছবি প্রকাশ। একাধিক জায়গায় বেশ বড় করে মৃত হুমায়ূন আহমেদের মুখচ্ছবি ছাপা হয়েছে। কাজটি খুবই গর্হিত। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে তার এ বিষয়টি  জানা জরুরি ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত মানুষের মুখচ্ছবি ছাপা নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী। একাজটি হুমায়ূন ভক্তদেরকে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।

হুমায়ূন আহমেদের নিজের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে বক্তব্যে অসচ্ছতা ও চাতুর্যের আশ্রয় ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ সম্পর্কে পাঠক মনে মারাত্মক বিরূপ ধারণারই জন্ম দিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে যেখানে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধিকার ও অভিভাবক হিসেবে মেনে নিয়েছেন, সেখানে ছবিগুলো ফেরৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধিকার মানছেন না! কেন ? ছবিগুলো তো হুমায়ূন আহমেদ ও তার  স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুজনেই তাকে দিয়েছিলেন। অথচ নিখাদ ভদ্রলোক ডঃ জাফর ইকবাল ও বৃদ্ধা মাকে অহেতুক জড়িয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টির চেষ্টায় কোন উদ্দেশ্য  রয়েছে বলেই দৃশ্যমান । ছবিগুলো ফেরৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসির পেছনে পাঠকমনে ‘উদ্দেশ্য ও স্বার্থের গন্ধ’ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি মোটেও অযৌক্তিক নয়।

‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনায় দেশে প্রবাসে ঝড় উঠেছে। প্রকাশনাটিতে লেখকের নিজস্ব ক্ষোভ, অভিযোগ, বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিউইিয়র্কের স্থানীয় পত্রিকান্তরের কিছু প্রতিবেদন এবং  প্রকাশনাটির পক্ষে প্রশংসাসুচক কিছু বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিকভাবে  সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি যে আদৌ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, তা লেখক প্রমাণ করবেন কীভাবে? তাছাড়া লেখকের বক্তব্যকে সমর্থনে এত কিছুর প্রয়োজনই বা হলো কেন ? লেখকের এই দুর্বলতা, আত্মবিশ্বাসের এই অভাব পাঠকদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রকাশনাটিতে ঢাকা বিমানবন্দরের বর্ণনাসহ দেশে  জানাজা, দাফন নিয়ে যে বর্ণনা প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে তা কি লেখক স্বত্তার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না?

বিতর্ক তৈরি করে ’ব্যবসা’ উদ্দেশ্য হলেও হুমায়ূন আহমেদের মতো দেশবরেণ্য লেখক সম্পর্কে লেখার আগে দ্বিতীয়বার ভাববার প্রয়োজন আছে। হুমায়ূন আহমেদের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকলে কেউ তাঁর মৃত্যুর পর কোনো বিতর্কের জন্ম দিতে পারেন না। কারণ, বাংলাদেশে আরেকজন হুমায়ূন আহমেদের জন্ম আদৌ হবে কিনা সে ভাবনাটুকু যেমন জরুরি, তেমনি আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের কয়েক প্রজন্মকে সুরক্ষায় যে অবদান হুমায়ূন আহমেদ রেখেছেনÑসে বিবেচনাতেও বাঙালি হিসেবে তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রাখা উচিত।

বাংলাদেশ সময় ০২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৩
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।