ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

নতুন লেখক গড়ার প্ল্যাটফর্ম বাংলানিউজ

জিনিয়া জাহিদ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৩
নতুন লেখক গড়ার প্ল্যাটফর্ম বাংলানিউজ

মেলবোর্ন: লেখালেখির প্রতি দুর্বলতা তেমন একটা না থাকলেও আমি বরাবরই মনোযোগী পাঠক। দেশ-বিদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি স-ব কিছু নিয়েই তুমুল আগ্রহ আমার।



অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডি করতে আসার পর দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় যেহেতু কম্পিউটার-ইন্টারনেটের সামনেই চলে যেত, তাই মনোযোগ দিয়ে পড়া হতো দেশের প্রায় প্রতিটি অনলাইন পত্রিকাই। একটা সময় নিজের মতামতকে লেখনীর মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছে দেবার তাগিদ অনুভব করতে থাকি। নিজের ভাবনাগুলো শব্দমালায় গেঁথে প্রকাশ করার আগ্রহ বোধ করি।
 
কোথায় মতামত প্রকাশ করা যায়, এই ভাবনা চিন্তায় প্রথমেই দু’টি অনলাইন পত্রিকার কথাই মাথায় আসে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম। বাংলাদেশে নিঃসন্দেহে এই দুটি অনলাইন পত্রিকাই এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পত্রিকা দুটির সুস্থ প্রতিযোগিতার দৌড়ে আমরা পাঠকেরা তাদের উন্নতমানের সংবাদ পরিবেশন দ্বারা লাভবান হচ্ছি প্রতিনিয়ত ।
 
লেখা পাঠাতে ইচ্ছুক এবং কিভাবে লেখা পাঠাতে হয় জানতে চেয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের "মুক্তমত" ও বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কমের "মতামত-বিশ্লেষণ" এর সংশ্লিষ্ট বিভাগে মেইল করেছিলাম। বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম অখ্যাত কোনো লেখকের মেইলের উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করে নি, লেখা পাঠানোর নিয়ম-কানুন জানানো তো বহু দূরের কথা। অথচ ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের ক্ষেত্রে।
 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর’এ লিখতে আগ্রহী জানানোর পরপরই এডিটর-ইন-চিফ আলমগীর সাহেব এত দ্রুত ফিরতি জবাব দিয়েছিলেন যে আমি ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে কি আমার কাছে এটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। প্রাসঙ্গিক জন্যই বলছি, গবেষণার কাজে ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেক মন্ত্রনালয়ে তথ্য চেয়ে মেইল করেছিলাম, কেউ জবাব দেবার প্রয়োজনবোধ করেনি। অদৌ আমাদের আমলারা মেইল বক্স ওপেন করেন কি না সে ব্যাপারেও যথেষ্ট সন্দেহ হয় বৈকি!
 
সেক্ষেত্রে বাংলানিউজের এডিটর-ইন-চিফ সাহেবের দ্রুতগতির রিপ্লাই তার সম্বন্ধে অবশ্যই ভিন্ন ধারণার জন্ম দেয়। বুঝে গিয়েছিলাম পত্রিকার মাথায় যিনি আছেন তিনি যখন এত তত্পর, তাহলে তো পুরো টিমই হবে সুপার তত্পর! তার কর্ম তত্পরতার নজির অবশ্য পরবর্তী সময়েও পেয়েছি অনেকবার। এত দ্রুত সময়ে একটি নতুন পত্রিকা কিভাবে তরতর করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়, তা আলমগীর সাহেবের দক্ষতারই যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে।
 
অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দারুণ জনপ্রিয় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরে তাই নিয়মিত বিরতিতে লিখে যাচ্ছি। বাংলানিউজে যেকোনো বিষয়ের উপরে মন খুলে লিখে যাই। ব্যক্তিগতভাবে কোনো পক্ষপাতমূলক বা দলকানা আচরণ বাংলানিউজে আমি পাইনি।
 
তাইতো নিজেকে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর টিমের একজন গর্বিত সদস্য মনে করি। আমার মতো নবীন ও অখ্যাত লেখকদের জন্য অবশ্যই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা নির্ভয়ে, স্বাধীনভাবে আমাদের মুক্তমত প্রকাশ করতে পারি। zinia-zahidzinia-zahid

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যে তারা নতুন লেখকদের জন্য মুক্তচিন্তা প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে। তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর;জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।