ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সব সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল ও ৩৪তম বিসিএসের ফলাফল বাতিল করে পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে নামা আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের ধর-পাকড় শুরু করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
শহীদ মিনার এলাকা, টিএসসি চত্বর, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ, শাহবাগ এলাকা ও বুয়েট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টিতে একমত নই আমরা। পুলিশের অধিকার আছে, যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। এখানে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আটক চলছে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃত ৩৬ জনের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রমনা জোনের এসি শিবলি নোমান বলেন, আন্দোলনের শুরুর দিন তারা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রাখেন। আমরা অনুরোধ করেছিলাম, মূল রাস্তা থেকে পাবলিক লাইব্রেরি ও রাজু ভাস্কর্যের দিকে চলে যেতে। কিন্তু তারা কথা না শুনে ব্যারিকেড ভেঙ্গে ঢুকে পড়েন । তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ পরিস্থিতি যাতে আর ঘটতে না পারে সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে জমায়েত হওয়ার কথা থাকলে পুলিশি বাধার কারণে জমায়েত হতে পারছেন না আন্দোলনকারীরা।
পাবলিক লাইব্রেরি, টিএসসি চত্বর, শাহবাগ মোড় ঘিরে রেখেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
শাহবাগে ভিড়তে না পারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শহীদ মিনার ও শাহবাগের আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাঘুরি করছেন আন্দোলনকারীরা।
অনিক নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, সরকার মামলা, পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। পাবলিক লাইব্রেরি সামনে আমাদের জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এ জন্য আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি করতে পারছি না। আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৩
এনএ/ সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]