আল্লামা শফির ভিডিওটা নিয়ে ক’দিন ধরেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। খণ্ড খণ্ড অংশ পাচ্ছিলাম বিভিন্ন জায়গায়।
শফী সাহেব চান নারী ঘরে বসে থাকুক, অশিক্ষিত থাক, চাকরি না করুক। নারীর কাজ কেবল পুরুষের সম্পদ তথা আসবাবপত্রের যত্ন নেওয়া, সন্তান লালন-পালন করা, ঘরের মধ্যে থাকা।
এই ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই তীব্র সমালোচনা করেছেন, ছি ছি করেছেন। দিয়েছেন দুয়োধ্বণিও।
চট্টগ্রামভিত্তিক হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ৯৩ বছর বয়সী শফীর অনুসারী সংখ্যা কত আমার জানা নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত, যারা এতোদিন আল্লামা শফীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, তাদের সবাই হয়তো শফী সাহেবের এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন। কারণ তারা জানেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক যে কোনো ইস্যুতে নারীদের অংশগ্রহণের বিকল্প নেই, থাকবেও না।
যারা সরাসরি অনুসারী নয়, কিন্তু শফীর অন্ধভক্ত, এই ভিডিওটি তাদের জন্য খুব জরুরি।
একই সঙ্গে বলতে চাই, নারীদের নিয়ে কথা বলায় ক্ষতি নারীদের নয়, হয়েছে মানুষের, সভ্যতার, সংস্কৃতির, আধুনিকতার, সাম্যের, বিশ্বায়নের। প্রশ্নটা যেহেতু একজন পুরুষের, সুতরাং এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দায়িত্ব বর্তায় পুরুষদের ওপরেই।
সাজেদা হক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, বৈশাখী টেলিভিশন, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩
জেডএম/