১০ জুলাই ২০১৩। বাংলানিউজে মোহনা টেলিভিশনের যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক আব্দুর রউফ ভাইয়ের ‘কলুষিত হচ্ছে ভাষা ও সাংবাদিকতা’ শিরোনামে লেখাটি পড়েই এ লেখার তাগিদ অনুভূব করি।
একই দিন অনলাইন দৈনিকটিতে সঞ্জীব রায়’র লেখা ‘নির্বাচনী ফলাফল প্রচারে ঐকমত্যে আসুন’, অনুপম দেব কানুনজ্ঞ’র ‘ইঁদুর কারা, আয়না কাদের?’ একাত্তর টেলিভিশনের যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান’র ‘আয়নায় নিজের চেহারাও দেখুন’ লেখাগুলো পড়ি।
এর আগে ৮ জুলাই সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ’র লেখা ‘ভোটের ফলাফল প্রচারে ইদুঁরদৌড়’, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান’র ‘নির্বাচনী ফল এবং টেলিভিশনের ফলাহার’ শিরোনামে লেখাগুলোও পড়ি।
সর্বশেষ ১২ জুলাই ‘সাংবাদিকদের বাকযুদ্ধ ও কিছুকথা’ শীর্ষক নিবন্ধে আহমেদ আরিফ নামে এক পাঠক লিখেছেন, “টিভি সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বাড়লেও সাংবাদিকতার মান বাড়েনি। বরং নিম্নমুখী হয়েছে বলা যায়।
টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত বেশীরভাগ সাংবাদিকেরই লাইভ সাংবাদিকতা করার যোগ্যতা আছে বলে মনে হয় না। ”
যে কথা বলতে চেয়েছিলাম, সহকর্মী আব্দুর রউফ ভাই বিভিন্ন টেলিভিশন নিয়ে `কলুষিত হচ্ছে ভাষা ও সাংবাদিকতা` শিরোনামে সময়পোযোগী যে লেখাটি লিখেছেন, সেটি রীতিমতো সব চ্যানেলের জন্যই বেশ বিব্রতকর।
তথ্যের বিভ্রান্তি,ভুল বানান, খিচুড়ি মার্কা বাক্য ব্যবহারে সব চ্যানেলেরই যে প্রায় একই অবস্থা সাংবাদিকদের ধারাবাহিক বাকযুদ্ধে তা স্পষ্ট প্রমাণিত।
শহীদুল আলম ইমরান
ইনচার্জ, ন্যাশনাল ডেস্ক, মোহনা টেলিভিশন লিমিটেড, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৩
জেডএম/