ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

অপ-সংস্কৃতির আগ্রাসন

ইকতেদার আহমেদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৩
অপ-সংস্কৃতির আগ্রাসন

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে সংবাদ ও বিনোদন মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা শীর্ষে। এমন অনেক টেলিভিশন চ্যানেল আছে যা দিবা-রাত্রি এক ঘণ্টা অন্তর সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সংলাপ ও প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে।

কিছু কিছু চ্যানেল শুধুমাত্র চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক বা একঘণ্টার নাটক, নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। আবার এমন চ্যানেলও আছে যা শুধুই ক্রীড়া অনুষ্ঠান প্রচার করে। ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে কিছু চ্যানেল শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। আবার এমন কিছু চ্যানেল আছে যা প্রাণীজগৎ ও সৌরজগৎ বিষয়ক বিভিন্ন প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে।

চ্যানেল ভেদে বিভিন্ন চ্যানেলের সম্প্রচারের ব্যাপ্তি দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত। যে কোন চ্যানেলে সম্প্রচারিত সংবাদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গুণগতমান, বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা প্রভৃতির ভিত্তি নিরূপণ করা হয় গণমাধ্যম হিসেবে দর্শক ও শ্রোতাদের নিকট চ্যানেলটির গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে।

গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু ১৯৬৪ সালে। তখন আজকের বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পাকিস্তানের অংশ ছিল। শুরু থেকে অদ্যাবধি এ চ্যানেলটি এককভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত। সূচনালগ্ন থেকে প্রায় দু’যুগ অবধি এ চ্যানেলটির অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যাপ্তি ছিল দিবসের এক-চতুর্ভাগ। ক্রমান্বয়ে অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি বাড়তে বাড়তে নব্বই এর দশকের প্রথমার্ধে এর সম্প্রচার দিবা-রাত্রি করা হয়। নব্বই এর দশকের শেষ দিকে আমাদের দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু এবং হাঁটি হাঁটি পা পা করে এক-দু’টি চ্যানেল থেকে বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ত্রিশের কোঠা ছুঁই ছুঁই। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি উভয় চ্যানেলসমূহের অনুষ্ঠানের সম্প্রচার ব্যাপ্তি নিশিদিন।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচারজাল সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তৃত। ক্যাবল অপারেটরদের বদৌলতে বেসরকারি টেলিভিশনসমূহের সম্প্রচারজাল জেলা ও থানা সদর দফতরের সীমারেখা ছাড়িয়ে ছোট ছোট শহর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করলেও গ্রামীণ ব্যাপক জনগোষ্ঠীর  দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এদিক দিয়ে সৌর বিদ্যুতের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানসমূহ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সুবাদে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ যেমন- উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সমগ্র দেশব্যাপী কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে অভূতপূর্ব অবদান রাখছে। অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত সংবাদ, ধারাবাহিক নাটক ও এক ঘণ্টার নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, টক শো প্রভৃতি ব্যাপকহারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের সচেতন জনগোষ্ঠী অবাক বিস্ময়ের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে যে কিছু কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো টেলিভিশনে প্রচারিত অপর সকল অনুষ্ঠানের চেয়েও অধিক গ্রহণযোগ্য। এ ক্ষেত্রে বিষয় নির্বাচন, উপস্থাপক  ও আলোচকদের পারদর্শিতা ও গ্রহণযোগ্যতা মুখ্য হিসেবে বিবেচিত। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের বিষয়ভিত্তিক দেশ জুড়ে সেরা প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত, বঞ্চিত ও সুপ্ত প্রতিভার অধিকারীদের সামনে এগিয়ে আসার এবং জাতীয়ভাবে পরিচিতি  ও স্বীকৃতি পাওয়ার পথকে প্রশস্ত করে দিচ্ছে।

নিঃসন্দেহে বলা যায় আমাদের অধিকাংশ চ্যানেলে সম্প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক, সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানসহ বিভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত প্রামাণ্য অনুষ্ঠান দর্শকদের চাহিদার নিরিখে প্রস্তুত হচ্ছে। এ সকল অনুষ্ঠান দর্শকদের দ্বারা সমাদৃত হওয়ার পিছনের গূঢ়রহস্য এটিই।

প্রবাসে বিশেষত, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের বেশ কিছু চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পেলেও অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিপুল দর্শক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী আমাদের দেশ হতে সম্প্রচারিত টেলিভিশনের অনুষ্ঠানসমূহ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না।

আমাদের দেশে বর্তমানে ত্রিশোর্ধ ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা চ্যানেল এবং ভারত কর্তৃক সম্প্রচার স্বত্বাধিকার প্রাপ্ত কিছু ক্রীড়া, প্রাণিজগৎ, সৌরজগৎ ও ধর্ম বিষয়ক চ্যানেলের অনুষ্ঠান সার্বক্ষণিক সম্প্রচারিত হচ্ছে। এ সকল চ্যানেল হতে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার জন্য বাংলাদেশের জনগণ বার্ষিক যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে তা থেকে ভারতের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকার অধিক। কিন্তু এর বিনিময়ে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানসমূহ ভারতে সম্প্রচারের সুযোগ না পাওয়ায় এ খাতে ভারত হতে আমাদের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ শূন্য। এ বিষয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য তাদের পক্ষ থেকে ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচারে কোন বাধা নেই কিন্তু ভারতের ক্যাবল অপারেটরদের অনীহার কারণে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের অনুষ্ঠান ভারতে সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি ভারত সরকারের এ যু্ক্তিটি খোঁড়া এবং প্রকৃতই তাদের ক্যাবল অপারেটরদের অনীহা আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচারে বাধা হয়ে থাকলে, আমাদের ক্যাবল অপারেটরদেরও দেশপ্রেম দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে দাবি করা উচিৎ, ভারতের চ্যানেলসমূহকে বাংলাদেশে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে যে সুযোগ দেয়া হচ্ছে অনুরূপ সুযোগ ভারতে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চ্যানেলসমূহকে দেয়া না হলে তারা ভারতীয় চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার বন্ধ করে দেবেন।

আমাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানসমূহ ক্যাবল নেটওয়ার্কের অতিরিক্ত রিলে স্টেশন ভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জনসাধারণ এবং ডিস অ্যান্টেনার সুবাদে ভারতের কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি আমাদের কিছু বেসরকারি টেলিভিশনের সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতের অনেক রুচিশীল, সংস্কৃতিমনা এবং নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন ব্যক্তির অভিমত আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের কারিগরি নির্মাণশৈলী ও গুণগত মান তুলনামূলক বিচারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতের যে সকল চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হয় তার চেয়ে উৎকৃষ্টতর।

আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সভ্যতা, কৃষ্টি, চাল-চলন, আচার-আচরণ ও সংস্কৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকলাপ আমাদের যে কোন আদর্শ ও নীতিবান ব্যক্তির নিকট অপ-সংস্কৃতিসম। অপ-সংস্কৃতির আগ্রাসন যে কোন দেশের সংস্কৃতির ধারাকে সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবে অগ্রসর হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকস্বরূপ। ভারত হতে সম্প্রচারিত বিভিন্ন হিন্দি চ্যানেল ও ক্ষেত্র বিশেষে কতিপয় বাংলা চ্যানেলে আমরা যে সকল চলচ্চিত্র, সিরিয়াল বা ধারাবাহিক নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, রিয়ালিটি শো প্রভৃতি প্রত্যক্ষ করি তার কয়টি পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে একসাথে উপভোগ্য?

আর যে সকল অনুষ্ঠান পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে উপভোগ্য নয় সেসব অনুষ্ঠান কেনইবা আমাদের দেশে সম্প্রচারের সুযোগের মাধ্যমে আমাদের নীতি-নৈতিকতার ভিত্তিমূলে আঘাত করা হচ্ছে?

অনুসন্ধানলব্ধ  তথ্য হতে জানা যায়, বাংলাদেশে সম্প্রচারিত ভারতের টেলিভিশন চ্যানেলের উপরোল্লিখিত অনুষ্ঠানসমূহ আমাদের নিম্নবিত্ত বস্তিবাসী ও শ্রমিকশ্রেণী, পোশাক শ্রমিক, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন যুবসমাজ এবং একই মানসিকতার কিছু উচ্চবিত্তের নিকট বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করলেও মননশীল ব্যাপক মধ্যবিত্তের উপর কোনরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। আর এ কারণেই হয়তো আমাদের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকে বিভিন্ন আগ্রাসীকাণ্ড সত্ত্বেও থমকে দেয়া যায়নি।

আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের আয়ের বৃহদাংশই আসে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন হতে। বহুজাতিক কোম্পানি এবং আমাদের দু’একটি কোম্পানির বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রথমোক্তটিতে বলিউডের মহাতারকা (সুপার স্টার) এবং শেষোক্তটিতে টালিউডের তারকাদের (স্টার) প্রাধান্য। আমাদের  মডেলরা সুশ্রী ও সুন্দর হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সংস্কৃতির সাথে অসংগতিপূর্ণ পোশাক ও দৃশ্যে অভিনয়ে অপরাগ বিধায় তাদের এ অবমূল্যায়ন করা হয়। এ অবমূল্যায়ন দেশীয় মডেল শিল্পের বিকাশের অন্তরায় নয় কি?

দেশের মডেল, শিল্পী, কলাকৌশলী ও বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে তথ্য মন্ত্রণালয়কে।

আমাদের কতিপয় টেলিভিশন চ্যানেলের নিজস্ব সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান এবং কো-স্পন্সর হিসেবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখা যায় অনুষ্ঠানসমূহ ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা উভয় ভাষাভাষী শিল্পীদের নাচ-গান ও অভিনয় দ্বারা পরিপূর্ণ। তাছাড়া আমাদের কিছু অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে প্রায়শই ভারতীয় শিল্পীদের নাচ ও গানের বিভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর প্রশ্ন ভারতীয় শিল্পীরা আমাদের দেশে যেভাবে সম্মানিত হচ্ছেন এবং বিপুল পারিশ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন,  আমাদের শিল্পীরা ভারতে কি এর এক-দশমাংশ সুযোগ ও পারিশ্রমিক পাচ্ছেন? আর না পেয়ে থাকলে আমাদের সংস্কৃতির সাথে অসংগতিপূর্ণ বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের কেনইবা আয়োজন?

জাতি ও দেশ হিসেবে আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধার আসনে ঠাঁই পেতে হলে অপ-সংস্কৃতি রোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতির লালন ব্যতীত অপর কোন বিকল্প নেই। তাই অপ-সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে চাই দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ঐকান্তিক সমর্থন ও সহযোগিতা এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।

ইকতেদার আহমেদ
(সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্ট্রার, সুপ্রীম কোর্ট)
E-mail: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৩
কেএইচকিউ/সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।