প্রিয় সালাহউদ্দিন ডলার ভাই
আপনি জানেন কিনা জানি না, ডয়েচে ভেলে বাংলা রেডিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার উপহার স্বরূপ। এটাই একমাত্র কারণ, আমি দেশের স্বার্থে আমাদের দেশের সম্পদ ডয়চে ভেলের বাংলা রেডিওকে ভারতীয় দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে কথা বলে যাবোই।
ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগে আমার কোন বন্ধু নেই। এমনকি সেখানকার কোন কর্মীর সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগও নেই। আপনার মতো আমারও একটাই দাবি, সেটি হলো- বাংলা বিভাগের প্রধান পদটি কোন যোগ্য, অভিজ্ঞ বাংলাদেশি সাংবাদিককে দিতে হবে। এছাড়া ডয়েচে ভেলের কাছে আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। যা লিখছি তা দেশের স্বার্থেই লিখে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে কোন যোগ্য সাংবাদিক নেই- এ কারণ দেখিয়ে ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধানের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এক ভারতীয় বাঙালি ও বিতর্কিত নারী সাংবাদিককে।
ডয়েচে ভেলের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট লেখা আছে, এই পদটিতে অবশ্যই একজন বাংলাদেশি সাংবাদিককে নিয়োগ দিতে হবে। গত বছর এ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর আমার জানা মতে, বাংলাদেশ থেকে ৩০ জনেরও বেশি যোগ্য ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক আবেদন করেছিলেন। তাদের সবাইকে অযোগ্য ঘোষণা করে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে ভারতীয় এই ‘ভদ্রমহিলা’কে চাকরিতে নিয়োগ দেন দক্ষিণ এশীয় বিভাগের প্রধান।
তার আগ পর্যন্ত বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদটিতে সব সময়ই নিয়োজিত ছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিক।
তবে, এই পদটিতে ভারতীয় সেই নারীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য শুধু দক্ষিণ এশীয় বিভাগের প্রধানকে দায়ী করা যাবে না। এ ব্যাপারে তাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও প্রলুব্ধ করেছেন এবং নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান। তিনি বর্তমান বিভাগীয় প্রধানকে কন্যা সমতুল্য হিসেবেই দেখেন।
বর্তমান বিভাগীয় প্রধানও প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানকে ``বাবা/ বাপী`` বলে সম্বোধন করেন। তাদের ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের ব্যাপারটি পুরো জার্মানির বাংলাদেশি অভিবাসীরা অবগত।
প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বাবা হিসেবে তার কন্যা বা উত্তরসূরিকে পদটি উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন। প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, দক্ষিণ এশীয় বিভাগের প্রধানকে বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের যোগ্যতা অতিরঞ্জিত ও বাড়িয়ে দেখিয়ে তাকে এই পদে অধিষ্ঠিত করান।
ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা: ডয়চে ভেলে পাঠক, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৩
জেডএম/