ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সমঝোতার প্রতিচ্ছবি

প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৩
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সমঝোতার প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশের গণতন্ত্রচর্চার ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী রাষ্ট্রনায়কোচিত অবদান রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে এতে নাম দেয়ার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করার কথাও বলেছেন।

আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলের কাছে আমার প্রস্তাব, আমরা সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাই আমি বিরোধী দলের কাছে প্রস্তাব করছি যে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকেও আপনারা নাম দিতে পারেন যাদেরকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মন্ত্রিসভায় সদস্য করে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে পারি।

বিরোধী দলের নেতা তার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক ও গণতান্ত্রিক বক্তব্যে বাংলাদেশে সাংবিধানিক রাজনীতির পথ মসৃণ হলো এবং বিদ্যমান সঙ্কট সমাধানের পথ উন্মুক্ত হলো।

গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতারে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার হয়। ২০ মিনিটের নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা ও সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দলকে সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।

ভাষণে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাব তুলে ধরে বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিরোধী দলের নেতাকে অনুরোধ করছি যে, তিনি আমার এই ডাকে সাড়া দেবেন। আমার এ অনুরোধ তিনি রক্ষা করবেন এবং আমাদের যে সদিচ্ছা সেই সদিচ্ছার মূল্য তিনি  দেবেন। সমগ্র জাতিও প্রধানমন্ত্রী মতোই এক আশাবাদ পোষণ করে।

প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গণতন্ত্রকে একটি সুদৃঢ় এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র তখনই শক্তিশালী হবে যখন তা সাংবিধানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।

তিনি বলেন, ২০০৭-এর ১/১১-এর মতো কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের বুকের উপর চেপে বসে তখন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-ছাত্র-পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ সবার উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। এ ধরনের অসাংবিধানিক শাসনের পুনরাবৃত্তি আর কখনোই হবে না- এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে যে আস্থা এবং বিশ্বাস আমাদের উপর  রেখেছেন আমরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের সেই আস্থা এবং বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কৃষি, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। নিম্নবিত্ত মানুষ দারিদ্র্যের শৃঙ্খল  থেকে বের হয়ে মধ্যবিত্তের কাতারে উঠে আসছে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিক- মেহনতি মানুষ ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

একজন দিনমজুর সারাদিনের পরিশ্রম শেষে দুই কেজি চাল  কেনার মতো মজুরি পেতো না। আজ তার মজুরির টাকায় সে ৮  থেকে ১০ কেজি চাল কিনতে পারছে। সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রও কিনতে পারছে। এই কৃতিত্বের দাবিদার আপনারাই। আমি বিশ্বাস করি, যে জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা আনতে পারে সেই জাতির উন্নয়ন কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।

তিনি তাঁর বক্তব্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের প্রসঙ্গসহ নাগরিক সুবিধা, আইন-শৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে অবদানের উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে যে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কারণে নিন্দিত ও সমালোচিত হতো, লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে  যেতো, সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। কঠোর হাতে জঙ্গিবাদ দমন করেছি। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি।

দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিরা এখন মাথা উঁচু করে মর্যাদার সঙ্গে চলতে পারেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দেশজুড়ে হত্যা-সন্ত্রাস-ধর্ষণ-লুটপাট-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দেশকে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিয়েছিল। সেই দুঃসহ দহন-জ্বালার আতংক মানুষকে এখনো তাড়া করে ফেরে। হাওয়া ভবন নামে সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকারের কথা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপির এই অপকর্মের কারণেই দেশে নেমে এসেছিল ১/১১-এর আরেক যন্ত্রণাময় অধ্যায়। এদেশের মানুষ সেই আতংকের শাসন থেকেও সাহসের সঙ্গে বের হয়ে এসেছে।   দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উজ্জ্বল সম্ভাবনার পথ বেয়ে।

দেশের মানুষ খেয়ে-পরে শান্তিতে আছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। এ অবস্থায় বিরোধী দলের কাছে আমার আহ্বান- বোমা মেরে, আগুন জ্বালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন না। কোরআন শরিফ পুড়িয়ে, মসজিদে আগুন দিয়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা বন্ধ করুন। মাদরাসায় বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করতে এতিম বাচ্চাদের লাশ বানানো বন্ধ করুন। নিরীহ পথচারী আর গরীব বাস ড্রাইভারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা বন্ধ করুন। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অনুমোদন দেয় না।

যারা নির্দোষ মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করে তাদের চূড়ান্ত ঠিকানা হবে দোজখ। কাজেই, ছুরি, দা,  খোন্তা, কুড়াল নিয়ে মানুষ মারার নির্দেশ প্রত্যাহার করার জন্য আমি বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তি ও ঐক্যের পথই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। জনতার উপর আস্থা রাখুন, সন্ত্রাসের পথ পরিহার করুন। আপনারা কি চান তা সংসদে এসে বলুন। আলোচনা করুন। আলোচনার দরজা সব সময় আমাদের পক্ষ থেকে উন্মুক্ত আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করেছে।   সংবিধান অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৭২-এর ১ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে; ‘সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ষাট দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকিবে না’। এখানে আরও উল্লেখ আছে যে, ‘তবে শর্ত থাকে যে ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফার ক উপধারায় উল্লিখিত নব্বই দিন সময় ব্যতীত অন্য সময়ে’। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় উল্লেখ আছে। ৩ এর (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য  কোন কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের  নেতৃত্বে মহাজোট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ২৫ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর থেকে নব্বই দিনের হিসাব শুরু হবে। সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ১ দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করবেন।   নব্বই দিনের মধ্যে যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী  সব দলের সঙ্গে, বিশেষ করে মহাজোটের সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতিকে যথাসময়ে লিখিত পরামর্শ  দেবেন এবং  এক্ষেত্রে তিনি বিরোধী দলের কাছেও পরামর্শ আশা করেন। এই গণতান্ত্রিক ও উদার মানসিকতা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে  বিরোধী দল।   এর ফলে নিরসন হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতার। অবসান হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থানের।

প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আহ্বানে বহুল আলোচিত সংলাপের সুড়ঙ্গপথে নতুন করে দেখা দিয়েছে সমঝোতার সম্ভাবনা। সর্বস্তরের মানুষের মনে জেগেছে নতুন আশার আলো। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বল ঠেলে দিয়েছেন বিরোধী দলের কোর্টে। সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলে তিনি একদিকে যেমন একদলীয় সরকার গঠনে বিরোধী দলের অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন, অন্যদিকে অসাংবিধানিক সরকারের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কাকেও দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবার আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে উল্লেখ করে সংঘাতের রাজনীতির পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসার জন্য দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়েছেন। এখন আলোচনার পথ ধরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্রেও ধারাবাহিকতা ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে। সব দলকে সঙ্গে নিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চাই-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সংলাপ ও সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বানে গলতে পারে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বরফ।

উল্লেখ্য,  প্রতিটি নির্বাচনের সময় সংবিধান সংশোধন করা হলে গণতন্ত্র থাকে না। যারা সংসদে যান না, দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তত থাকার আহ্বান জানান, তারা এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন কিনা তা সন্দেহের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর চমৎকার আহ্বানে যদি তারা ইতিবাচক সাড়া না দেন তাহলে এর দায়ভার বিএনপিকেই বহন করতে হবে। আর সরকারকে অত্যন্ত কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করতে হবে। প্রয়োজনে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে। লক্ষ্য করা দরকার যে,  প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল বক্তব্য সর্বদলীয় সরকার গঠন করা। এটি অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিবাচক দিক। তবে বিরোধী দল কী করবে জানি না। কারণ বলটা এখন আংশিকভাবে তাদের কোর্টে। তাদের ঠিক করতে হবে তারা এই সুযোগটাকে কাজে লাগাবে কিনা?

সবাই মনে করেন, বিরোধী দলের উচিত গণতন্ত্রের সুযোগ কাজে লাগানো। কারণ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকটের ৯৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচনকালীন সরকারের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা ইতিবাচক। এখন বিএনপির উচিত তাদের কথা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা। প্রধানমন্ত্রী  অনেকখানি ছাড় দিয়েছেন। এর ফলে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন দুই প্রধান নেত্রী বসে যেসব ক্ষেত্রে নিজেদের নিশ্চয়তা প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কথা বলতে পারবেন। অসাংবিধানিক শাসনের পুনারাবৃত্তি হবে না বলে যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেটিকেও সাধুবাদ জানিয়ে আমরা কখনই চাই না গণতন্ত্রের মাঝে ছেদ পড়ুক। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক।

প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ: ভাইস চ্যান্সেলর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসক

 


বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৩
জেডএম/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।