ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

এটাই কি স্বাধীনতা!

আমিনুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
এটাই কি স্বাধীনতা!

পড়াশুনা, ভ্রমণ কিংবা অন্য যে কোন কারণে যদি আপনি দেশের বাইরে যান, আর সেদেশের কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে বসে, আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন, নিশ্চয়ই আপনি উত্তর দেন বাংলাদেশ থেকে।

প্রশ্নকর্তা অবশ্য আপনার প্রিয় এই দেশকে নাও চিনতে পারেন।

উল্টো প্রশ্ন করে বসতে পারেন, দেশটি ঠিক কোথায় যেন? তখন শুরু হয় আপনার আপ্রাণ চেষ্টা প্রিয় এই স্বদেশ ভূমিকে চিনিয়ে দেওয়ার। কখনো ভারতের পাশে তো কখনো মায়ানমারের পাশে কিংবা পৃথিবীর ম্যাপে দেখিয়ে দিয়ে বলেন এই হচ্ছে আমার প্রিয় স্বদেশ।

বেশ কিছু দিন ধরে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের কথা মনে হচ্ছে। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জ ব্রিটিশ ওভারসিজ টেরিটরি কিংবা এটি একটি ব্রিটিশ উপনিবেসিক এলাকা। এই দিপপুঞ্জটি নিয়ে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ ছিলো। এই শতাব্দীতে যেহেতু আঞ্চলিক ঔপনিবেশিকতা সেই অর্থে নেই তাই এটি নিয়ে ইংল্যান্ডের সুশীল সমাজ সব সময়েই প্রশ্ন তুলে আসছিলো।

শেষমেশ ইংল্যান্ডের সরকার ফকল্যান্ড দ্বীপে গণভোট আয়োজন করে কিছু দিন আগে। ওই ভোটে তাঁরা স্বাধীন হতে চায় নাকি ইংল্যান্ডের সঙ্গে থাকতে চায় সেটি দেখতে চাওয়া হয়েছিলো। তাঁদের ভোটের উপরই নির্ভর করছিলো স্বাধীনতা। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মানুষ ইংল্যান্ডের সঙ্গে থাকার জন্য রায় দিয়েছে। বেশীর ভাগ মানুষ মনে করে ইংল্যান্ডের সঙ্গে থাকতে পেরেই তাঁরা সুখী। অর্থাৎ তাঁরা স্বাধীন হতে চায়নি।

এটি অবশ্য একটি বিরল ঘটনা। এছাড়া অত্যন্ত কম জনসংখ্যার এই দ্বীপপুঞ্জটির অধিবাসীরা সেই অর্থে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে এবং ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে পরিগনিত হয়। নিজস্ব সরকার ব্যবস্থাও রয়েছে। নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি শুধু ব্রিটিশ সরকার দেখে থাকে।

কিছুদিন ধরে ফকল্যান্ড দ্বীপের কথা মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে আমরা স্বাধীন হবার পর ৪২ বছর পেরিয়ে গেছে। সময়টি নেহাত কম নয়। এই সময়টিতে আমরা কি আসলেই স্বাধীন হতে পেরেছি? আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক মুক্তি কি আসলেই হয়েছে?
আমাদের মাথাপিচু আয় বেড়েছে, অনেক নতুন দালানকোঠা হচ্ছে, জীবনযাত্রার মানও হয়তো কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশও তো এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি তাঁদের সঙ্গে সমানতালে এগুচ্ছি? বিশ্বব্যাংকের ২০১২ সালের হিসেব অনুযায়ী, আমাদের জিডিপি (পারচেজিং পাওয়ার) পৃথিবীর ১৯৫ টি দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬০। অর্থাৎ বাংলাদেশের নিচে মাত্র ৩৫টি দেশ রয়েছে, আর বাংলাদেশের উপরে রয়েছে ১৫৯টি দেশ।

এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে তালিকাতে বাংলাদেশের নিচে যে দেশগুলো রয়েছে সেগুলোতে যুদ্ধ চলছে, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত চলছে কিংবা সামরিক শাসন জারি রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে কি যুদ্ধ, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সঙ্ঘাত চলছে? সামরিক শাসনও এ দেশে বর্তমানে নেই। এ সত্ত্বেও তালিকার প্রায় তলানিতে আমাদের অবস্থান। তাহলে কেন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সেই তলাতিনেই রয়ে যাচ্ছে? মাঝে মাঝে মনে হয়, যে দেশগুলো তালিকাতে আমাদের নিচে অবস্থান করছে তাঁদের যদি যুদ্ধবিগ্রহ, ছোট ছোট গোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত কিংবা সামরিক শাসন না থাকতো তাহলে বোধকরি তালিকাতে আমাদের অবস্থান একদম শেষেই থাকতো। অর্থনৈতিক এই অবস্থান দেখার পর সামাজিক অবস্থান দেখে নেওয়া যাক।

মানব উন্নয়ন সূচক ২০১২ অনুযায়ী, পৃথিবীর ১৮৫ দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬। মূলত মানব উন্নয়ন সূচক করা হয়ে থাকে গড় আয়ু, শিক্ষা ও আয়ের সমন্বয়ে। এই মানব উন্নয়ন সূচকের উদ্ভাবক হচ্ছেন ভারতের অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ মাহবুবুল হক।

দক্ষিণ এশীয় দুই দেশের অর্থনীতিবিদ এই সূচকের সূচনা করলেও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে- দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই সূচকে একদম তলানিতেই অবস্থান করছে। এই সূচকের চারটি ধাপ রয়েছে। অতি উচ্চ, উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন। অর্থাৎ যাদের অবস্থান সবচেয়ে ভালো তারা ‘অতি উচ্চ’, আর ঠিক তেমনি যাদের অবস্থান সবচেয়ে নিচে তাঁরা ‘নিম্ন’ সূচকে অবস্থান করে। বাংলাদেশের অবস্থান এই ‘নিম্ন’ সূচকে। অর্থাৎ আমাদের গড় আয়ু, শিক্ষা ও আয় মিলিয়ে আমাদের যে অবস্থান সেটি ওই তলানিতেই রয়েছে। আর বাংলাদেশের নিচে যে ক’টি দেশের অবস্থান তাদের মাঝে বেশীর ভাগ দেশে ওই যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে রয়েছে কিংবা সামরিক শাসন রয়েছে। তাহলে আমাদের সমস্যাটা কোথায়? বোধহয় রাজনৈতিক বিষয়টি দেখে নেওয়া দরকার।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৪২ বছর পেরিয়ে গেছে। এর মাঝে একটা সময় হয়তো আমাদের দেশে সামরিক শাসনও ছিল। কিন্তু ৯০ পরবর্তী সময়ে এদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এর পরও আমাদের অবস্থানের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। অনেকটা সেই আগের অবস্থানেই রয়ে গেছি।

দেশে এখনো অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাঁদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না কিংবা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। অশিক্ষিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তাঁদের অবস্থানের ঠিক কতোটা হেরফের হোল সেটি যেমন দেখা দরকার ঠিক একইভাবে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী যারা চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে তাঁদের অবস্থান নির্ণয় করাটাও জরুরি। এই অশিক্ষিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কাছে যদি প্রশ্ন রাখা হয় তাঁরা কি খুব সহজেই কিংবা আদৌ তাঁদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে কিনা? নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন প্রায় সবাই বলবে খুব সহজে তো দূরে থাক অনেক সময় মেটাতেই পারছে না।

অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল জনগোষ্ঠী যে এই জনপদে নেই তা কিন্তু নয়। বরং একটা জনগোষ্ঠী রয়েছে যাদের অর্থ ও সম্পদের পরিমাণ অঢেল। আর এর ফলেই সৃষ্টি হয় অসমতা। তাঁরা কি করে এই সচ্ছলতা অর্জন করেছে বা করছে সেটি অবশ্য দেখার বিষয়। বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে পৃথিবীতে প্রথম হয়েছে। এখনো দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মাঝে আমাদের অবস্থান একদম প্রথম দিকেই। আর এই দুর্নীতি মূলত প্রায় সব সেক্টরেই বিদ্যমান। দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায় বোধয় দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদেরই নিতে হবে।  

বর্তমান (আবার ধরে নেবেন না শুধু বর্তমান সরকার, এটি আগের সরকার গুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) সময়ে যারা রাজনীতি করেন তাঁদের প্রায় সবাই বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। একটা কথা বর্তমানে প্রচলিত আছে, রাজনীতি নাকি ভালো একটি ব্যবসা। এছাড়া অদ্ভূত আরেকটি কথা বর্তমানে শুনতে পাওয়া যায়। কথাটির সারমর্ম অনেকটা এ রকম, ‘যতো উন্নয়ন, ততো টাকা’। ধরুন একটি এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, আর ওই সব কর্মকাণ্ডে জড়িত সব কাজ রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়তো করা হয়ে থাকে, আর উন্নয়নের ফাঁকে উন্নতি হতে থাকে তাদেরও।

এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে টানাপড়েন, বিশ্বাসহীনতা, এ সব কিছু তো রয়েছেই। সঙ্গে রয়েছে ‘হরতাল’ নামক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। আজকাল হরতালের দিন তো রয়েছেই, এছাড়া হরতালের আগের দিন কিংবা যেকোনো সভা সমাবেশের দিন থাকতে হয় চরম আতঙ্কে। কখন আবার কোথায় গাড়িতে আগুন লাগিয়ে, বোম ফাটিয়ে আপনার জীবন প্রদীপ নিভে যাবে তা কেউ বলেতে পারে না।

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে যেমন ভয় ঠিক তেমনি ভয় গাড়িতে চড়ে বসতে, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রেনে আগুন দেওয়া। অর্থাৎ দেশের রাজনীতিবিদ, রাজনীতিকে এমন এক জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন যেখানে সাধারণ মানুষ যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। মনে হয় না পৃথিবীর কোন স্বাধীন দেশে দিনের পর দিন সে দেশের নাগরিকদের এ ধরনের অনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয় রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে। রাজনীতিবিদরা নাগরিকদের জন্য রাজনীতি কররেন না নিজেদের জন্য সেটি নিয়েও বোধয় ভাবার দরকার আছে।
রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত কিংবা আমাদের সংসদ সদস্যসের আর্থিক অবস্থা যদি বিবেচনায় নেওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে আমাদের দেশকে যেই দুই শ্রেণি(নিম্ন ও মধ্য বিত্ত) প্রতিনিধিত্ব করে তাঁরা আসলে এ শ্রেণিতে পড়ে না। এরা সবাই উচ্চ বিত্ত। আর যারাওবা রাজনীতিতে জড়িত কিন্তু ওই উচ্চ বিত্ত শ্রেণিতে পড়েন না, তাঁদের বেশীর ভাগ একটা সময়ে ওই উচ্চ বিত্ত শ্রেণিতে প্রবেশ করবেন। চিন্তা করলে অবাক হতে হয় একটি দেশের জনপ্রতিনিধিদের প্রায় সবাই সেই দেশের সাধারণ মানুষের যে অর্থনৈতিক অবস্থান তার ধারের কাছেও নেই । তাঁদের অবস্থান অনেক উঁচুতে। অর্থাৎ আমাদের রাজনীতি বা রাজনীতিকরা তাঁদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে ব্যস্ত।

আমাদের স্বাধীন হওয়ার একটা মূল প্রেরণার জায়গা ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসমতা দূর করা। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এসে পৃথিবীর দরিদ্র দেশগুলোর তালিকার প্রথম সারিতে কিংবা মানব উন্নয়ন সূচকের তলানিতে নিজের দেশকে দেখে অনেক সময় মনে হয় আমরা কি আসলেই স্বাধীন হতে পেরেছি?

বৈষম্যহীন, মুক্ত এবং ন্যায় বিচারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করার যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি আমরা কি আসলেই সেই স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি কিনা- এ প্রশ্ন যদি আমাদের  ঘরের কাছের মিরপুর চিড়িয়াখানা ঘেষে নোংরা, ময়লা, স্যাঁতসেঁতে, ঘিঞ্জি, ভাঙ্গা দেয়াল ঘেরা যে এলাকাকে আমরা `মুক্তিযোদ্ধা কলোনি` বলে গৌরবান্বিত করে রেখেছি, সেখানে যাই; গিয়ে ওখানকার ছাপড়ায় মানবেতরভাবে বেঁচে থাকা লোকগুলাকে এই প্রশ্ন করি; তারাও তখন আপনাকে একটা প্রশ্ন করবে; ‘কেন মুক্তিযোদ্ধা কলোনি’ আর বিহারী কলোনির মানুষদের জীবন একই রকম?

আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু ৪২ বছর পরে এসে যদি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসমতা থেকেই যায় তাহলে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো যেতেই পারে। কোন রকম যুদ্ধ, জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত না থাকা সত্ত্বেও আমরা পিছিয়ে আছি। স্বাধীনতার পর আমরা জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে এমন কিছু অর্জন করতে পারিনি যার কারণে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ দেশটিকে চিনবে। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা আমাদের পরে স্বাধীন হয়েও এক নামে এখন সবাই চেনে। আর আমাদের কিনা এখনো দেশের বাইরে গেলে প্রশ্ন শুনতে হয় “বাংলাদেশ”, এটি যেন কোথায়? কার কেমন লাগে বলতে পারবো না, তবে আমি নিজে যখন অন্য দেশের পাশের দেশ বা অন্য কোন উপায়ে নিজের প্রিয় মাতৃভূমিকে পরিচয় করিয়ে দেই তখন মাঝে মাঝে আমার প্রবল আবেগ আমাকে প্রশ্ন করে, এটিই কি স্বাধীনতা?
Aminul-1


আমিনুল ইসলাম: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, <[email protected]>

 

 বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
জেডএম/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।