ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

নির্বাচন পর্যবেক্ষক শুধু দরিদ্র দেশেই!

সেলিনা মোমেন, নিউইয়র্ক থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩
নির্বাচন পর্যবেক্ষক শুধু দরিদ্র দেশেই!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর রীতি মূলত কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়।

বিশ্বের যে সমস্ত দেশে ‘গণতন্ত্র পরিপক্বতা’ অর্জন করেনি সে সমস্ত দেশেই পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়।

বিশ্বের বড় বড় দেশ যেমন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এমন কি বাংলাদেশ সরকারও পর্যবেক্ষক নিজ খরচে কখনো আনেনি, পর্যবেক্ষকরা নিজের খরচে আসেন। জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায় না। তবে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় তার জন্য এর প্রফেশনালরা বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। যেমন, স্বচ্ছ ভোটার লিস্ট তৈরি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সরবরাহ, প্রভৃতি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি তাদের ‘কনভেনশন’ অবলোকনের জন্য বিদেশি রাজনীতিবিদ ও প্রচারমাধ্যমকে দাওয়াত দেন। তবে তাদের খরচ নিজদের বহন করতে হয়। কখনো কখনো তাদের দল-মতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন, এনডিআই (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট), র্কাটার সেন্টার বা হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ গরিব দেশের নাগরিকদের এসব সম্মেলনে আসতে যাতায়াত ভাড়া দেয়। সাধারণত নিজ খরচে পর্যবেক্ষকরা যান। তবে তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা ওই দেশের নির্বাচন কমিশন বা সরকার করে।

সম্প্রতি ধনী দেশগুলোর অর্থনীতিতে ধস আসায় এসব পর্যবেক্ষণ দিন দিন কমে এসেছে। ইউরোপীয়রা সাধারণত নির্বাচন পর্যবেক্ষকের ব্যাপারে বেশি তৎপর। তবে বড় বড় দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতামতের কোনো দাম দেয় না বা তাদের প্রচারমাধ্যমে এরা কি বললেন তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। গরিব দেশের প্রচারমাধ্যমে এসব পর্যবেক্ষকদের মতামত প্রচারে বিশেষ ব্যবস্থা করে। যেমন, বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যম। তবে পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন স্বচ্ছ হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারেন না। শুধু মতামত দিয়েই খালাস।

ইসরায়েল, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এমন কি মালয়েশিয়া এসব পর্যবেক্ষক কে কি বললেন বা বলবেন, তারা এলেন বা না এলেন, এনিয়ে কোনো মাথা ঘামায় না। গণতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রচারমাধ্যমের কাছে এদের অবস্থান নিতান্তই গৌণ। বরং, কোথাও কেউ খুন হলো কিনা সেটাই বড় খবর।

নির্বাচন একটি রাজনৈতিক খেলা। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু এখন একটি সম্ভাবনার অর্থনীতি, তাই বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়-ঝাঁপও প্রবল। নির্বাচন আসায় আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে যা কিছু আদায় করা যায় তার জন্যে যথেষ্ট চাপে রাখে, বলে ‘ফ্রি ফেয়ার, ট্রান্সপারেন্ট, ইনক্লুসিভ ক্রেডিবল’ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

একটার পর একটা চাপ সৃষ্টি করেছে তারা। যেমন ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতি’ ‘গার্মেন্টস কারখানায় ধস’ রপ্তানি শিল্পে শ্রমিক ইউনিয়ন, আমিনুল ইসলাম হত্যা, ‘টিকফা’ চুক্তি প্রভৃতি। টিকফা চুক্তি হওয়ার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিই মজীনা ‘অংশগ্রহণমূলক’ (inclusive) টা বাদ দিয়েছেন। এখন বলছেন, বাংলাদেশি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই হবে। আর ড. ইউনূসকে পুর্নবাসন করলেই পদ্মা সেতুটা তখন হবে স্বাভাবিক। আমিনুল ইসলামও বাদ যাবে। গেল দু‘বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধশত বাঙালি মারা গেছেন। এদের অনেকেই আবার বর্ণ ও ধর্ম বৈষম্যের জন্য। কিন্তু এজন্য বাংলাদেশ বা প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বা করেনি।

বাংলাদেশের অনেক সুশীল সমাজের পণ্ডিতরা গলা মিলিয়ে বলতে থাকলেন ‘অংশগ্রহণমূলক’(inclusive)  না হলে বা আগের নির্বাচনে যারা সর্বমোট ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসন পেয়েছেন তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে এমন নির্বাচন জাতিসংঘের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এগুলো সব মনগড়া বানোয়াট তথ্য-বক্তব্য।

এরা কি অন্ধ? ইরাকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ‘বাথ পাটি’। নূরে আল্ মালিকী এ পার্টির কোনো লোকজনকে নির্বাচন করতে দেননি। কিংবা আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ‘তালেবান’ দল। এদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এরফলে তাদের নির্বাচন অর্থাৎ, মালিকী বা কারজাইয়ের নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য নয়? সুতরাং, এগুলো ফাঁকাবুলি। আসল বিষয় ‘স্বার্থ’। নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে রেখে যদি নিজের দাবি বা স্বার্থ আদায় করা যায়, সে উদ্দেশ্যে বহু দূতাবাস সংলাপের নেশায় মহাব্যস্ত।

বাংলাদেশের  নির্বাচনে ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এও চীন দৌড়-ঝাঁপ দিচ্ছে। রাশিয়া থেকে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট ও বিলিয়ন ডলারের সামরিক অস্ত্র কেনায় যুক্তরাষ্ট্র তা সহজভাবে নেয় নি। বাংলাদেশ চীন থেকেও অনেক অস্ত্র কেনে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের দ্রব্যে বাজার সয়লাব। কারণ ওদের জিনিসপত্র সস্তা। মার্কিন অস্ত্র কেনার মূল সমস্যা তাদের অস্ত্র কিছুদিনের মধ্যেই অকেজো হয়ে যায়। নতুন স্পেয়ার স্পার্শ কিনতে হয়। স্পেয়ার স্পার্শের মূল্য আসল মূল্য থেকেও বেশি। এর সঙ্গে একটার পর একটা কনডিশন যোগ দেয়। দ্বিতীয়ত, এরা কথা রাখে না। যেমন, বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১৮০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিমানের জন্যে ৯টি জাহাজ বা এয়ারবাস দিতে চুক্তি করা হলো। ৫ বছর পার হলো। এরা মাত্র দু’টি জাহাজ ডেলিভারি দিয়েছে। ফলে ঢাকা-নিইউয়র্ক ফ্লাইট চালু সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে জে-এফকে বিমানবন্দরে ল্যানডিং রাইট জিইয়ে রাখার জন্য প্রতি বছর বিমানকে লাখ লাখ ডলার ফি দিতে হচ্ছে।

তবে নির্বাচনে বিদেশিদের দৌড়-ঝাঁপ বন্ধ করার বড় উপায় এদের পাত্তা না দেওয়া। যেমনটি ভারত বা মালয়েশিয়া করে। এসমস্ত দেশের রাজনীতিবিদরা সরকার, বিরোধীদলের নেত‍া কিংবা প্রচারমাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এসব নিয়ে আলাপ করে না। বাংলাদেশ এক আশ্চর্য দেশ। এদেশের মিডিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ব্রিটিশ যুগের ‘বাংলাদেশের গভর্নর জেনারেল’ মনে করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতকে মনে করে ‘ছোট লাট’। হায়রে অভাগা দেশের গণমাধ্যম। ওরা যুক্তি দেখায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এরা অসন্তুষ্ট হলে দেশের ব্যবসা ভেস্তে যাবে, দেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক সাফল্য যা বিশ্বের মধ্যে ‘তাক লাগানো’ তা ভেস্তে যাবে।

তবে জেনে রাখা ভালো, ওদের সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির উপর দেশের ব্যবসা নির্ভরশীল নয়। ওদের দেশের লোক সস্তায় পণ্য পায় বলে বাংলাদেশ থেকে কেনে, দাম প্রতিযোগিতামূলক না হলে ওরা তা কিনবে না। চীনের সঙ্গে এদের সম্পর্ক বৈরীসম। হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি করে পণ্যের দাম বাড়ালে ওরা আর এখান থেকে কিনতে পারবে না। সন্ত‍ুষ্টি-অসন্তুষ্টি যাই থাকুক না কেন।

সুতরাং, দেশ বাঁচাতে হলে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে হবে। কে বা কারা নির্বাচনে যোগদান করলো আর না করলো এটা মুখ্য নয়। গণচীন বা রাশিয়াতে সরকারি দল ছাড়া অন্য কোনো দল নেই। মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে সরকারি দল ছাড়া অন্য কেউ কোনো দিন জিততে পারে না। তাই বলে কি ওইসব দেশের সরকার অগ্রহণযোগ্য? মোটেই না। বরং তারা নমস্বঃ।

বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেক অনেক বড় বড় নেতারা এক লাখ, দুই লাখ ডলার করে অনুদান পেয়েছেন। এই বাড়তি আয়ের জন্য তারা হরহামেশা গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে সোচ্চার। টকশো ও পত্র-পত্রিকায় তাদের বাক্যবাণে সবাই জর্জরিত। তাদের সোচ্চার হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে পাকিস্তান নিয়ে তারা কথা-বার্তা বলছেন না। তবে মিডিয়া কি ওনাদের মতো টাকা পেয়েছে? এত সোচ্চার হওয়ার কারণ কি?

বিভিন্ন তথ্যে জানা যায় যে, ২০১২ সালে গণচীনে ১০০০ এর বেশি, ইরানে ৩১৪ জনের বেশি, ইরাকে ১২৯ জন, সৌদিতে ৭৯ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ জন, ইয়েমেনে ২৮ জন, আফগানিস্তানে ১৪ জন এবং জাপানে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লো, যিনি মানুষ নামের কলঙ্ক, যিনি প্রায় ৩৫০ জনকে হত্যা করেছেন, ধর্ষণ করেছেন, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়েছেন- তাকে ফাঁসি দেওয়ায় বিশ্বের মাতব্বরদের হৈচৈ কেন?

সাদ্দামকে ফাঁসি দেওয়া হলো, বিন লাদেনকে বিচারের সম্মুখে না এনে তার লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো- তখন ইউএন হিউম্যান রাইটসের হাইকমিশনার বা এশিয়ার হিউম্যান রাইটস কোথায় ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলেই আপনাদের গলাবাজি। এই দ্বিমুখী নীতি পরিহার করুন। নতুবা আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। যে সব বাঙালি ভাইবোনেরা ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস’ সংস্থাটি হংকং থেকে বিদেশি নামে পরিচালনা করেন, তাদের জেনে রাখা ভালো- এক মাঘে শীত যায় না। আপনারা আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা ইতোমধ্যেই হারিয়েছেন। একপেশে বিতর্কিত তথ্য বিবর্জিত রিপোর্ট পরিবেশনের মাধ্যমে এবং সেই সঙ্গে নিজের দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন।

এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অফিস আদালত সবার কাছে উমুক্ত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেখানে হচ্ছে সবাই সেখানে যেতে পারেন, গণমাধ্যমও তার খবরাখবর দিতে পারে। কিন্তু কানাডায় ‘পদ্মা সেতু মামলা’ এবং আমেরিকায় ‘নাফিসের সন্ত্রাসী’ মামলায় কাউকেই আদালত পরিদর্শন করতে যেতে দেওয়া হয়নি, মামলার বিষয়াদি, দলিল-দস্তাবেজ, প্রমাণাদি, সাক্ষী, বিচারক ইত্যাদি বিষয়ে কারও কাছে তথ্য সংগ্রহ করতে যেতে দেওয়া হয়নি বা তা কীভাবে হয়েছে তা জানতে দেওয়া হয়নি। ধনী দেশের আইনব্যবস্থা এমনই অস্বচ্ছ ও গোপনীয়। তবে গরিব দেশের মামলা মোকদ্দমা স্বচ্ছ হওয়ার জন্য এদের কতই না,  দৌড়ঝাঁপ। স্বচ্ছ হলেও অস্বচ্ছের বাজনা বাজানো হয়।

মোদ্দা কথা, বাংলাদেশ সরকার, বিরোধ দল এবং প্রচার মাধ্যমকে এই বিদেশি প্রভ‍ুদের শলা-পরামর্শ থেকে সরে আসতে হবে। এদের শলাড়-পরামর্শে চললে দারিদ্র্য দূর হবে না, অর্থনীতি যেভাবে হাল ধরেছে তা ধরে রাখা  যাবে না। দেশ সোনার বাংলা হবে না। দেশকে যদি গণচীন, মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেখতে চান, তাহলে বিদেশিদের শলা-পরামর্শ ত্যাগ করুন। তারা তাদের নিজের দেশের অবস্থার উন্নতি করতে পারছে না, সারা ইউরোপের অর্থনীতি ধসে পড়েছে, ০.৫ শতাংশের বেশি জিডিপি বড়াতে পারছে না। আমেরিকা অনেক দেশকে জোর জবরদস্তি করেও এখানো ১.৬ শতাংশ জিডিপি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে ৬ শতাংশ উন্নয়নকে হিংসার চোখে দেখাই তো স্বাভাবিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রতিবছর এর ৪৩৫টি কনগ্রেশনাল সিটের স্থানে মাত্র এক পঞ্চমাংশ বা কয়েকটি সিটে নির্বাচন হয়। সুতারং, বাংলাদেশে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হওয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বহাল থাকবে।

এখানে উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০টি সিনেট সিটের অধিকাংশই যিনি ‘ইনকামবেন্ট সিনেটর’ তিনি তাতে জয়লাভ করেন। এরফলে ওইসব সিনেট সিটে ওনাদের মৃত্যু না হলে বা স্বেচ্ছায় তিনি তা থেকে বিরত না হলে নতুন কোনো মুখ সেখানে নির্বাচিত হয় না। বাংলাদেশ আমেরিকার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এরফলে বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের প্রয়োজনও আমেরিকার মতো গৌণ হয়ে এসেছে। সুখের কথা, বিদেশি প্রভুদের দৌড়-ঝাঁপ কমার দিন এসেছে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সময় এসেছে। কোনো জাতিই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান না হলে নিজদের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারে না।

Selina-momen

সেলিনা মোমেন: জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিদের স্পাউস কমিটির অন্যতম নেতা

 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।