ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

জনকল্যাণমূলক রাজনীতি ফেরানোর উপায় কি?

সাইফ উদ্দিন আহমেদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৪
জনকল্যাণমূলক রাজনীতি ফেরানোর উপায় কি?

বাংলাদেশের মানুষ সবসময় চায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে। একা একাই রাষ্ট্র চালাতে চায় সরকারি দল।

বিরোধীদল চায় সরকারকে লাগাতার অসহযোগিতা করে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে। আমাদের রাজনীতি দাঁড়িয়ে গেছে ক্ষমতায় থাকা কিংবা ক্ষমতার বাইরে কোনোভাবেই না থাকা। সব সময় ক্ষমতাবৃত্তে থাকা ও ক্ষমতাবৃত্তকে যতটা বাড়ানো যায় সেই চেষ্টায় মত্ত থাকায়।

দেশ পরিচালনায় যারা নেতৃত্ব দেন তাদের ক্রমাগত কলহ বিবাদের সুযোগে দেশে উল্লেখযোগ্যহারে উপদেশদাতার সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই উপদেশ দাতারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, দারিদ্র্য দূরীকরণের গবেষণা ছেড়ে, কাজকর্ম ছেড়ে টেলিভিশন টকশোতে রাজনীতিবিদদের উপদেশ দেয়ায় মত্ত থাকেন বছরের পর বছর। একই কথা নানা চ্যানেলে প্রতিদিন বলতে থাকেন নিরলসভাবে।

আমাদের রাজনীতিবিদরা হয়তো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না বলেই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ক্রমাগত রাজনীতিবিদদের উপদেশ দিচ্ছেন। সংসদের পরিবর্তে টকশোতে যুক্তি-তর্ক দিয়ে যাচ্ছেন সরকারি ও বিরোধীদলীয় নেতারা।

উপস্থাপক দুই রাজনৈতিক দলের দু’জনকে তর্কে লাগিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। সুশীল সমাজের একজন মধ্যস্থতা করেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্পন্সর পায় বলে মহা উৎসাহে টকশো চালিয়ে যাচ্ছে।

বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়-ঝাঁপ চলে গেছে অসহনীয় পর্যায়ে। তাদের দৌড়ঝাঁপ দেখে, ক্রমাগত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখে, মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করছি না-কি পরাধীন দেশে; না-কি ফেঁসে গেছি ক্ষমতানীতির বেড়াজালে?

আমাদের সম্মানীত রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতেই পারেন না। তারা বিদেশিদের ডেকে এনে কিংবা বিদেশে গিয়ে নিজেদের পরিবারের বিষোদগারে আগ্রহী।

আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করি দেশের সমস্যার সমাধান করার জন্য, দেশবাসীকে উৎকণ্ঠায় রাখার জন্য নয়। একটা দল শতকরা ৩৫-৪০ শতাংশ ভোটারের ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। তাদের চেষ্টা থাকা উচিত এই  শতকরা হার বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা। তাদের নির্বাচিত হওয়ার পর মনে রাখতে হবে, তারা ৩৫-৪০ শতাংশের সরকার নন, তারা দেশের সব নাগরিকের সরকার।

সময় এসেছে বিরোধীদলের দায়িত্ব কি, কাজ কি তা সুষ্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার। তাদের ভূমিকা রাস্তায় না-কি সংসদে, বোমাবাজিতে না কি বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ ও বিতর্কে তা স্পষ্ট করা দরকার। নির্বাচনী ইশতেহারে দলগুলোকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে, বিরোধীদলে থাকলে তাদের কি ভূমিকা হবে তা জনগণকে জানানো। জনগণের জন্য কি করবেন তার চাইতে বেশি দরকার জনগণের জন্য কি কি অমঙ্গল করবেন না, তা জানানো।

সম্মানিত রাজনীতিবিদরা সম্ভবত তাদের জায়গাটা ছেড়ে দিয়েছেন। তাই সব পেশার লোক এখন রাজনৈতিক ক্ষমতাবৃত্তে অন্তত একবারের জন্য হলেও যাওয়ার জন্য ব্যাকুল। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাটা বাগিয়ে নিতে কিংবা বাড়িয়ে নিতে জনপ্রতিনিধির ভূমিকা কাজে লাগাতে চান অন্যদিকে। রাজনৈতিক দলও ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে অর্থ-বিত্তশালীদের সংসদে দেখতে চান। তাই জনগণ কাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিক নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্মানিত রাজনীতিবিদরা এ অচলাবস্থার অবসানে দায়িত্ব নিতে হবে। রাজনীতিকে জনসেবায় পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রকৃত রাজনীতিবিদ তারাই যারা জনগণের সেবা করাকেই দায়িত্ব মনে করেন। যারা পেশাজীবীদের দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তিতে উৎসাহিত করার পরিবর্তে তাদের নিজ নিজ কাজে অবদান রাখার জন্য কাজে লাগাতে পারেন। বিচার ব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ রাখতে পারেন।

দেশ প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে পরিচালিত হোক এটা জনগণের চাওয়া। এই চাওয়াটা পূরণের প্রাথমিক শর্ত হলো সৎ, যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর এক্ষেত্রে ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। জনগণের সামনে দলগুলো তাদের প্রার্থী হাজির করে। প্রধান দলগুলো যদি অযোগ্য প্রার্থী জনগণের বিবেচনার জন্য মনোনয়ন দেয়, সে ক্ষেত্রে জনগণের কিছুই করার থাকে না।

জনগণের প্রত্যাশা থাকে শিক্ষিত, আইন বিষয়ে ধারণা আছে, দেশ-বিদেশের খবরাখবর রাখেন, অর্থনীতি, কূটনীতি বোঝেন এমন সদস্য নির্বাচন করে সংসদে পাঠাতে যাতে তারা সরকারে থাকুক আর বিরোধীদলে থাকুক, তারা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবদান রাখতে পারেন।

আমাদের ৩০০ আসনে কেমন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীন্দ্বিতা করেন তা জানার আগ্রহ কমবেশি সবাই থাকে। ২ জানুয়ারি ২০১৪ ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতারা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ১৫৩ জন প্রার্থী। অবশিষ্ট ১৪৭টি আসনে সর্বমোট ৩৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সে অনুযায়ী, ৩০০ নির্বাচনী এলাকার সর্বমোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫৪৩ জন।

প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে ৫৪০ জন (৫৪৩ জনের মধ্যে তিন জন প্রার্থীর হলফনামা পাওয়া যায়নি) প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই (৩৮২ জন বা ৭০.৭৪ শতাংশ) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৮২.৩৫ শতাংশ (১২৬ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৬.১৪ শতাংশ (২৫৬ জন)। ৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বল্প শিক্ষিত অর্থাৎ এসএসসি বা তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর হার ১৭.২২ শতাংশ (৯৩ জন)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৫.২২ শতাংশ (৮ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১.৯৬ শতাংশ (৮৫ জন)।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশের পেশা (৫২.২২ শতাংশ বা ২৮২ জন) ব্যবসা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৫২.৯৪ শতাংশ (৮১ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫১.৯৪ শতাংশ (২০১ জন)।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৯ জনের (১০.৯২ শতাংশ) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে, অতীতে মামলা ছিল ১৯৪ জনের (৩৫.৯২ শতাংশ) বিরুদ্ধে, অতীত ও বর্তমানে উভয় সময়ে মামলা ছিল বা রয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২৯ জন (৫.৩৭ শতাংশ)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২ জনের (১৪.৩৭ শতাংশ) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে, অতীতে মামলা ছিল ৮১ জনের (৫২.৯৪ শতাংশ) বিরুদ্ধে। ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জনের (৯.৫৬ শতাংশ) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে, অতীতে মামলা ছিল ১১৩ জনের (২৯.২০ শতাংশ) বিরুদ্ধে।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে বাৎসরিক ২ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় করেন ৫৮ জন (১০.৭৪ শতাংশ) প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ১.৩০ শতাংশ (২ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে  ১৪.৪৭ শতাংশ (৫৬ জন)। ৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে বাৎসরিক ১ কোটি টাকার বেশি আয় করেন ৬০ জন (১১.১১ শতাংশ) প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ২৮ জন (১৮.৩০ শতাংশ) এবং ১৪৭টি আসনে

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জন (৮.২৭ শতাংশ)। বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, সর্বোচ্চ ৩১.৬৭ শতাংশ (১৭১ জন) প্রার্থীর বাৎসরিক আয়সীমা ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশরই (২৭৭ জন বা ৫১.২৯ শতাংশ) সম্পদ কোটি টাকার উপরে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৭৫.১৬ শতাংশ (১১৫ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১.৮৬ শতাংশ (১৬২ জন)। ৫৪০ জন জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ কোটি টাকার বেশি সম্পদের অধিকারী ১০৩ জন (১৯.০৭ শতাংশ) প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ৫৫ জন (৩৫.৯৪ শতাংশ) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৮ জন (১২.৪০ শতাংশ)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২৬ জন (৪১.৮৫ শতাংশ) ঋণ গ্রহীতা। ৫ কোটি টাকার অধিক ঋণ গ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন (৭.২২ শতাংশ)।

৫৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে আয়কর প্রদানকারীর হার ৫০.১৮ শতাংশ (২৭১ জন)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান ১৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৬৪.৭০ শতাংশ (৯৯ জন) এবং ১৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে  ৪৪.৪৪ শতাংশ (১৭২ জন)। ৮৬ জন প্রার্থীর আয়কর সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র পাওয়া গেলেও আয়কর প্রদান সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। ১০ লাখ টাকার অধিক আয়কর প্রদানকারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮ জন (৮.৮৯ শতাংশ)।

প্রার্থী বিশ্লেষণে এটা পরিষ্কার যে, বিত্তশালী না হলে সংসদ সদস্য হওয়া অসম্ভব। এবং সংসদ সদস্য হওয়াটা ব্যবসায়ীদের জন্য তুলনামূলকভাবে সহজ। বিত্তশালী, ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা এগিয়ে নেবেন ভালো কথা। জনদুর্ভোগ কমানো, জনগণের পাশে দাঁড়ানো, জনগণের এগিয়ে যাওয়ার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা কতটা পারদর্শী তা রাজনৈতিক দলগুলোর ভেবে দেখা দরকার।

এদিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাইপলাইন শূন্য হয়ে যাচ্ছে সে খেয়াল কি আমাদের আছে? ছাত্র রাজনীতি বন্ধই বলা চলে। যে তরুণ সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হচ্ছেন তারা সংসদ বর্জনের সংস্কৃতিতে এ অভিজ্ঞতাটা অর্জন করতেই পারছেন না। তৃণমূল নেতারা হারিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্ব সুবিধাবাদীদের বৃত্তে যে হারে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে তাতে জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা রাজনীতি ফিরিয়ে আনার উপায় কি?

সাইফ উদ্দিন আহমেদ: সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (গভর্ন্যান্স), দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।