উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান বাংলাদেশের মানুষ সব সময় উপভোগ করেন। নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা না পেলেও নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্রে ভোট প্রদান করতে পারলেই খুশি হন তারা।
ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মতামত জানাতে চান, সমর্থন ব্যক্ত করতে চান। বিরোধীদলবিহীন (বিএনপিসহ ১৮ দল) জাতীয় নির্বাচনের ৪৪ দিনের মাথায় স্থানীয় নির্বাচন তথা চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগকে তাই গ্রামগঞ্জের মানুষ মোটামুটি উৎসব মুখর বানিয়ে দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৬২.৪৪ শতাংশ মানুষ এবারের স্থানীয় নির্বাচনের প্রথম পর্বে ভোট দিয়েছেন।
চারশ ৮৭টি উপজেলার তিনটি পদের নির্বাচন ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৯৭ উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্বের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে।
দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় ধাপে ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৯২টি উপজেলায় ২৩ মার্চ, পঞ্চম ধাপে ৭৪ উপজেলায় ৩১ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
সব পর্বের নির্বাচন শেষ হলে দুটি প্রধান দলের জনপ্রিয়তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি কী হবে তা জানার জন্য হয়ত আমাদের জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল, ভোটের হার এবং প্রার্থী সংখ্যার বিচারে এ নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ নিয়ে আসতে পারে।
কাগজে-কলমে নির্দলীয় চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন কার্যত দেশের দুটি প্রধান দল কিংবা জোটের কাছে তাদের অবস্থান এবং জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়- এটা প্রমাণের একটা চেষ্টাও আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের।
অতীতে সব সামরিক শাসকেরা ‘বিরাজনীতিকরণ’-এর একটি অন্যতম কৌশল হিসেবে স্থানীয় নির্বাচনকে ব্যবহার করলেও স্থানীয় নির্বাচন তৃণমূলের নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
‘রাজনীতি এবং নির্বাচন’-এর সম্পর্ক ‘চিঠি এবং খাম’ এর মতো। একটিকে আরেকটি থেকে আলাদা করা দুষ্কর। তাই, যতই দিন যাচ্ছে, ততই স্থানীয় নির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক দলগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমগুলো দলীয়ভিত্তিতে নির্দলীয় এ নির্বাচনের ফলাফল প্রচার করছে, বিশ্লেষণ করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোও স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করা যায় কিনা তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছে।
দলীয় নেতৃত্বকে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সুশৃঙ্খল করতেও স্থানীয় নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন। দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহিতার ক্ষেত্রও ব্যাপক এবং বিস্তৃত হবে। দলগুলোও তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ইউনিয়ন কমিটি, থানা কমিটি, জেলা কমিটিকে শক্তিশালী করার তাগিদ অনুভব করবে। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও জিততে চাইবে।
দলগুলোও তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে শক্তিশালী সাংগঠনিক শক্তির ওপর নির্ভর করতে চাইবে। সফল হতে চাইবে। তাদের ভোটব্যাংক বাড়াতে মনোযোগী হবে।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তৃণমূলে শক্তিশালী ভিত্তি না থাকলে দলগুলোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করা দুরূহ হয়ে যায়।
তবে আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেকটি উপজেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও একক প্রার্থী নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য কোনো কোনো প্রার্থীকে চাপ দেওয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
বিষয়টি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার শামিল, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
স্থানীয় নির্বাচন হওয়া জরুরি। তবে নির্বাচন হলেই স্থানীয় সরকারের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে না। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এবারের স্থানীয় নির্বাচন মাইলফলক হতে পারে। তৃণমূল থেকে জনকল্যাণকামী নেতৃত্ব তুলে আনতে এই নির্বাচন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করা আমাদের সাংবিধানিক নির্দেশনা। অথচ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও বাংলাদেশে স্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
সৎ, যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, জনপ্রতিনিধিদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অবসানে উদ্যোগ গ্রহণ, স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্থানীয় প্রকৃত দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং তৃণমূলের মানুষের জীবন-জীবিকায় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পরিষদগুলোকে গতিশীল এবং কার্যকর করতে পারি আমরা।
সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়া সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার অন্যতম শর্ত। জনগণ যাতে প্রার্থী সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোট দিয়ে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ পায়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হতে হবে।
শুধু সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা নয়, তথ্যভিত্তিক ভোটার ক্ষমতায়নেও নির্বাচন কমিশনকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কোনো তথ্য ভোটারদের সময় মতো না পৌঁছানো তথ্যঅধিকার আইনেরও লঙ্ঘন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নাগরিকরাই দেশের মালিক। নাগরিকদের সক্রিয়তা এবং সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি।
নাগরিকরা দেখে-শুনে-বুঝে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রতিনিধি নির্বাচন করেই জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেন।
হলফনামা আকারে প্রার্থীদের দেয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, আয় ও সম্পদের তথ্যগুলোকে সন্নিবেশিত করে প্রার্থীদের আয়, সম্পদের তুলনামূলক চিত্র প্রস্তুত করে নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা গেলে ভোটাররা একদিকে যেমন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রার্থী মনোনয়নে অসৎ এবং অযোগ্যদের নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে রাখতে বাধ্য হবে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে ‘ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান’-এর আয়োজন করা যেতে পারে। প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবেন এবং ভোটারদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
ভোটাররাও জেনে নিতে পারবেন তাদের কল্যাণের লক্ষ্যে কোন প্রার্থীর কী পরিকল্পনা এবং প্রার্থীর দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। জনস্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে প্রার্থীরা লিখিত অঙ্গীকারও ব্যক্ত করতে পারেন।
বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে মূলত প্রবাসী শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক এবং দেশের মেহনতি কৃষক, শ্রমিক। জনগণ নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট। তারা দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ এবং আইনের শাসন চায়। তাই, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর সপক্ষে জনমত দিন দিন বাড়ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি এবং দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ইতিবাচক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি এবারের নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন এবং কারো কারো বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে। সম্প্রতি, দুদক আইনের সংশোধনী হয়েছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়াই এখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে দুদক।
জনগণ তথ্যভিত্তিক এ ক্ষমতায়ন পদ্ধতিকে পছন্দ করছেন, উৎসাহিত করছেন। তাই, রাজনৈতিক দলগুলোও সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়নে উৎসাহিত হচ্ছে। দলীয় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছেন দলীয়ভাবে দুর্নীতিবাজদের পক্ষ না নেওয়ার।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নিয়মিতভাবেই প্রত্যেক নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আয় এবং সম্পদের তথ্য সংক্রান্ত ফিচার, রিপোর্টিং ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে। জাতীয় পত্রিকাগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের হলফনামার বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
উপজেলাকে কার্যকর করতে হলে উপজেলা পরিষদ এবং সংসদ সদস্যর মধ্যে একটি কার্যকরী ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন। অন্যদিকে, স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ভার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
তাই, সংসদ সদস্যর কাজ হবে, স্থানীয় নেতৃত্বের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা; যাতে স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়ন কার্যক্রম এগুতে পারে স্থানীয় নেতৃত্বে।
উপজেলাকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা, অর্থ বরাদ্দ এবং দায়-দায়িত্ব দিয়ে উপজেলা পরিষদকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।
উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের পরিবর্তে সহায়ক সম্পর্কের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন, সরকারের নীতি-নির্ধারণে পরিবর্তন এবং বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আমূল পুনর্বিন্যাস। তবে সম্পূর্ণ নতুন আইন প্রণয়নের আগে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য এ আইনের অধীনে থেকেও ইতিবাচক পদক্ষেপ নির্বাহী আদেশে নেওয়া সম্ভব।
পরিষদের বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট পর্যালোচনা সভায় সংসদ সদস্য অর্থাৎ পরিষদের উপদেষ্টার অংশগ্রহণের একটি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে পরিষদের নির্বাহী কার্যক্রমে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের সব রকমের অন্তর্ভুক্তি রহিত করতে হবে। বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেট সভায় উপদেষ্টাকে প্রধান অতিথি এবং চেয়ারম্যান ওই সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন।
এ মর্মে একটি বিধান প্রজ্ঞাপন, বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ সভা উপদেষ্টা কর্তৃক প্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি অর্থ সম্পদ উপজেলা পরিষদের পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয়ের সহায়ক হতে পারে।
পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সদস্যের মধ্যে সহযোগিতার একটি সেতুবন্ধন রচনায়ও এ সভা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। জাতীয় সংসদ সদস্যদের অনুকূলে যে সম্পদ (নগদ অর্থ বা চাল-গম ইত্যাদি) বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যয় করতে বিধান জারি করতে হবে।
প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে উপজেলার বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার খসড়া নিয়ে একটি মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা হতে পারে। সে সভায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলাকার সব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান/ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ার, ধর্মীয় নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ সবার অংশগ্রহণ থাকতে পারে। ওই সভায় উপদেষ্টা (একাধিক এমপি ও কোনো কোনো উপজেলায় থাকতে পারে) প্রধান অতিথি এবং চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন। ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় বিষয়টিকে যুক্ত করা যায়।
সরকার ও দল নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল এ বাস্তব অবস্থা যত দ্রুত উপলব্ধি করবে, ততই মঙ্গল। দল গঠন, দেশ গঠন ও জাতি গঠন এই তিনটি কাজকে একই সূত্রে গেঁথে নতুন সম্ভাবনার পথ সৃষ্টি করতে নেতৃত্ব দেবেন সম্মানীত রাজনীতিবিদেরা, এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
সাইফ উদ্দিন আহমেদ; সিনিয়র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর (গভর্ন্যান্স), দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ,
ইমেইল:[email protected]