ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

একহাত লাল কাপড়ের মূল্য ও ছয়টি তাজা প্রাণ!

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত, সেন্ট মার্টিন্সে বেঁচে যাওয়া ছাত্রদের একজন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
একহাত লাল কাপড়ের মূল্য ও ছয়টি তাজা প্রাণ!

চৌদ্দ এপ্রিল, ২০১৪। সেন্টমার্টিন্সে সমুদ্র।

স্বচ্ছ নীল জল। নিহত হল  সদ্য ইঞ্জিনিয়ার উপাধি পাওয়া চারজন যুবক। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আরও দুইজন। অর্থাৎ ছয় মেধাবী যুবককে হারালো বাংলাদেশ  ঠিক সেই সময়ে, যখন তাদের সর্ব্বোচ্চ সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশকে। একজন  প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সহজেই বলে দেওয়া যায়, এই ছয় মেধাবী যুবকের এইভাবে চলে যাওয়ার কথা ছিল না। তাদের চলে যাওয়া নিছক দুর্ঘটনা নয়। তাদের চলে যাওয়ার পেছনে দায়ী প্রশাসনের চরম গাফিলতি, আমাদের পর্যটনশিল্পের অনিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটকদের প্রতি চরম অবহেলা ।  
 
সেন্টমার্টিন্সে উত্তর বিচ নামের যে জায়গাটায় আমার বন্ধুরা পানিতে ডুবে মারা যায় সেই স্থানটি  এক ভয়াবহ বিপজ্জনক খাদ।   কোমরসমান পানি।   অথচ মাত্র এক পা সামনে এগোলেই অতল গভীর খাত। অফিসিয়ালি জানা যায়, গত ১৫ বছরে স্রোতের টানে অন্তত ১৪ জন মারা গেছেন। কিন্তু স্থানীয় অনেক জেলের  মৃত্যুর খবর রয়ে যায় বরাবরের মতোই অজানা। স্থানীয়দের মতে গত তিন বছরে ঠিক একই জায়গায় মারা যায় প্রায় ১৩ জন (নিখোঁজ দুইজনকে বাদ দিয়ে)।  

এতোটা বিপদসংকুল স্থান অথচ আশেপাশে নেই একটি লাল পতাকা। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া নিজ মুখে স্বীকার করেন, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপসহ টেকনাফ উপকূলের মোট ৬০ কিলোমিটার সৈকতের কোথাও পর্যটকদের জন্য সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড বা লাল নিশানা নেই।   অথচ  সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায় - ২০০২ সালে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন্স নৌপথে সি-ট্রাক নামে একটি জাহাজ চলাচল শুরু করলেও বর্তমানে এ রুটে সাতটি জাহাজের পাশাপাশি অর্ধশতাধিক ট্রলার চলাচল করে আসছে। এতে করে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পযর্টক দ্বীপে ভ্রমণ করছেন। লক্ষ্য করুন, প্রতিদিন   ৮ থেকে ১০ হাজার পযর্টককে সেখানকার প্রশাসন জেনে শুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কোনো প্রকার সতর্কতামূলক নির্দেশনা ছাড়াই!  এতগুলো মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা দেয়া কি একধরনের অপরাধ নয় ? 

কিন্তু  বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্সকে ঘিরে রমরমা ব্যবসা কিন্তু থেকে নেই।   প্রতিদিন  লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা হচ্ছে পর্যটকদের ঘিরে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে "সেফটি "সেটিই অনুপস্থিত ।   
 
প্রিয় মুখগুলো ডুবে যাচ্ছে, ভাটার টানে গভীর খাদের আরও ভিতরে  চলে যাচ্ছে ছেলেগুলো । বাঁচার জন্য তাদের  সুতীব্র আকুতি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মী ছাড়া তাদের ঐ স্থান থেকে  উদ্ধার করা অসম্ভব। আমরা পাগলের মতো তাদের উদ্ধারের জন্য আশেপাশে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করে যাচ্ছি। ছুটছি এদিক , ওদিক। কোথাও কেউ নেই। আশেপাশে নেই একজনও লাইফগার্ড। নেই  উদ্ধার করবার মতো কোনো প্রকার রেস্কিউ টিউব, লাইফ জ্যাকেট, দড়ি বা কোনো কিছু।   

আমরা ছিলাম সম্পূর্ণ অসহায়। বেশ কিছুক্ষণ পর  স্থানীয় কিছু মানুষের সহায়তায় উদ্ধার করা হল আমাদের কয়েকজন বন্ধুকে। তাদের ভিতর  থেকে ঐ সময়ই মারা গেল দুইজন। ইভান এবং অংকুর। নিখোঁজ  ছিল আরও চারজন। যাদের ভিতর দুইজনকে  ঘটনার  দুদিন পর সমুদ্র থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।   নোমান এবং বাপ্পি।   এখনো নিখোঁজ আরও দুইজন। সাব্বির, উদয়।  

আমরা স্বচক্ষে দেখেছি সেন্টমার্টিন্স প্রসাশনের  চরম দুর্বলতা। মনে হচ্ছিল তারা যেন মৃত্যুর সমস্ত আয়োজন সাজিয়ে রাখেছে আগত পর্যটকদের জন্য। কেউ জীবিত ফিরে আসতে পারলে সেটা নিতান্ত তার ভাগ্য। সবচেয়ে কষ্ট লাগে, মৃত্যুবরণকারী মানুষটি মরে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগেও টের পাবে না সে মৃত্যুর একদম হাঁ-এর ভেতর চলে এসেছে। তাকে টেনে নিয়ে এসেছে সেন্টমার্টিন্সের অনিরাপদ-নাজুক-দুর্বল প্রসাশন ।   
 
এইভাবে হারিয়ে গেল প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী কিছু প্রাণ । যতবার তাদের পরিবারের সামনে উপস্থিত হতে হয়  মাথানত হয়ে আসে। মাথা নত হয়ে আসে  বাংলাদেশের। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা আমাদের অধিকার, কারও করুণা নয়। অথচ সেই অধিকার থেকে আমরা বহু যোজন দূরে ।

আমি জবাব চাই মাত্র একহাত লাল কাপড়ের মূল্য কতো ? আমি জবাব চাই কুইক রেস্কিউ টিম কেন এমন বিপজ্জনক এরিয়ায় সার্বক্ষণিক তৈরি থাকে না ?  জানতে চাই কেন হোটেল ব্যবসায়ীগণ তাদের টুরিস্টদের সাবধান করে দেয় না ?  প্রতি রাস্তায় একটা বিপদসংকেত মূলক সাইনবোর্ড কেন লাগানো হয় না ?  ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ইউনিটের নিশ্চয়তা আমরা কেন পাবো না ?  কেন ?  

এই বহু ‘কেন’-র উত্তর আমাদের জানা নেই। উত্তর পাবো সেই আশা করাও হয়তো বোকামি। এই দেশে খুব সহজে "কেন" তৈরি করা যায়, অথচ উত্তর কখনো মেলে না।

তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার তাগিদে  এরই মধ্যে  গত ১৯ এপ্রিল, শনিবার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি  স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে  নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র চাই: পর্যটন এলাকাতে অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।  

https://www.facebook.com/events/1520124054881471/?ref_notif_type=like&source=1


বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে আমাদের সেই শান্তিপূর্ণ  মানববন্ধন  আমরা তুলে ধরেছিলাম নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র বাস্তবায়নের তাগিদে ১২ দফা দাবি। পর্যটন মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করতে আমরা এই দাবিসমূহ পেশ করি। আমাদের দাবীগুলো হচ্ছে:
 
১) প্রতি পর্যটনকারীদলের সাথে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত “পর্যটক গাইড” নিয়োগের বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু করতে হবে।
 
২) পর্যাপ্ত সংখ্যক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি পর্যটন এলাকায় নিশ্চিত করতে হবে। সমুদ্রের জন্য কুইক “ লাইফ গার্ডের” সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
 
৩) বিপজ্জনক পর্যটন এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক সাইন ব্যবহার করতে হবে।
 
৪) স্থানীয় জনগণ যেন উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে পারে তার জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
 
৫) প্রতি পর্যটন এলাকার জন্য একটি করে আলাদা পর্যটক গাইড বই এর ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে ওই এলাকার সমস্ত বিবরণ চিত্রসহ বর্ণিত থাকবে।
 
৬) পর্যটন এলাকায় ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ইউনিট স্থাপন করতে হবে।
 
৭) বিপজ্জনক স্থানসমূহ ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে এবং জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। বিষয়টি তদারক করতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
 
৮) পর্যটন এলাকার সর্বত্র দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য “ উদ্ধারকারী বুথ ” স্থাপন করতে হবে।
 
৯) “ওয়াচ টাওয়ার” সহ প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে “ সচেতনামূলক সাইনবোর্ড “ স্থাপন করতে হবে।
 
১০) প্রত্যেক পর্যটন এলাকায় যেকোন প্রয়োজনের স্বার্থে একটি বিশেষ ইমারজেন্সি মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।
 
১১) প্রতিটি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্বন্ধীয় জ্ঞানলাভের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ।
 
১২) পর্যটন এলাকার প্রতিটি হোটেল ব্যবসায়ীকে উক্ত এলাকা সম্পর্কে পর্যটকদের বিস্তারিত ধারণা দিতে হবে এবং প্রতি রুমে বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত করণসহ একটি গাইড ম্যাপ সরবরাহ করতে হবে।  
 
আমরা বলছি না  এই ১২ দফা দাবি পূরণ হলেই মৃত্যুঝুঁকি কমে আসবেই; হয়তো আরও বেশ কিছু  দাবি এর সাথে যুক্ত হতে পারে। তবে  বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাথমিকভাবে আমরা এই ১২ দফা দাবি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সামনে তুলে ধরেছি। কেবল সেন্টমার্টিন্সের নয়,  বাংলাদেশের সকল পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।  
 
গত কিছুদিন ধরে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও  অনলাইন মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিন্সের দুর্বল নিরাপত্তার জন্য বলি হওয়া ছয় শিক্ষার্থীর জন্য বহু শোকবার্তা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আসলেই আর ক’দিন আমরা এই বিষয়টি  স্মরণে রাখবো। প্রতিনিয়ত ইস্যু পরিবর্তন হওয়া এই দেশ খুব বেশি সময় একটি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো হয় না। শিফট ডিলিট হয়ে যায় প্রতিটি ইস্যু কয়েক ঘণ্টা পরেই। আমরা ভুলে যাই মৃত্যু। জানি কিছুদিনের মধ্যেই কালো ফেসবুক আবার রঙিন হয়ে যাবে। মিডিয়া আর জানতে চাইবে না " কিভাবে কি কেন "। নেটওয়ার্কের বহু দূরে হারিয়ে যাওয়া ছয়টি নাম আর আমাদের বুকে চিন চিন কাঁপন ধরাবে না। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমাদের কি-বোর্ডের খট খট আওয়াজ আর চোখ ভেজাবে না। হতে পারে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতি হয়তো চায় না হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ চোখ লেপ্টে রাখুন সর্বক্ষণ। সময় পরিবর্তন ঘটাতে পারে সব কিছুর। সময়ের ক্ষমতা অসীম।
 
আমিও মনেপ্রাণে চাই-- রঙিন ফেসবুক আর যেন কোনোদিন কালো করতে না হয়। তার জন্যই খুব ছোট পরিসর থেকে ডাক দিয়েছিলাম নিরাপদ বাংলাদেশের। ‘নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র চাই’ ব্যানারে আমাদের এই প্রচেষ্টায় আমাদের শক্তি যুগিয়েছে সেই হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখগুলো।
 
সেন্ট মার্টিন্স ট্র্যাজিডিতে নিহত হওয়া আমাদের এক বন্ধু তার মাকে কথা দিয়েছিল, সে নববর্ষের চার দিনের মধ্যে ফিরে যাবে বাসায়। সন্তান মাকে দেওয়া কথা রাখতে পারেনি। তাকে রাখতে দেওয়া হয়নি। আমাদের লড়াই ছিল প্রতিটি সন্তান যেন তার মাকে দেওয়া কথা রাখতে পারে। বোনের অনাগত সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যৎ মামার স্বপ্ন যেন আর নষ্ট না হয় আমাদের সংগ্রাম ছিল তার জন্য। সংগ্রাম ছিল বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষার। ভালোবাসার মানুষটির কাছে ফিরে আসার।
 
বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ১০টি পর্যটন মার্কেটের একটি হিসেবে ভাবা হয়। পর্যটন করপোরেশনের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে ২০০৮ সালে মোট পর্যটক আসেন চার লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৩২ জন, এদের কাছ থেকে আয় হয় ৬১২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। ২০০৯ সালে পর্যটক আসেন দুই লক্ষ ৬৭ হাজার ১০৭ জন; তাদের কাছ থেকে ৫৭৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ও ২০১০ সালে তিন লক্ষ তিন হাজার ৩৮৬ জনের কাছ থেকে ৫৫৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা আয় হয়। ২০১১ সালে তিন লক্ষ ২৭ হাজার ৮৬৬ জনের কাছ থেকে ৫৮৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা আয় হয়। ২০১২ সালে দেশে ৪ লাখ ৬৭ হাজার পর্যটক বিনোদন ও ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ওই বছর পর্যটন খাতে আয় হয়েছে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা। অনেকেরই মত, এটাকে ৬শ’ বিলিয়নে নেয়া সম্ভব যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
 
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ধরা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবে এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজার ধরতে পারে, তাহলে পর্যটনের হাত ধরে বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি। এসবই  সম্ভব যদি সবার আগে নিশ্চিত করা হয় “ নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র ’’ 

" নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র চাই " ব্যানারে  আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি সেটি আমার জন্য,আপনার জন্য, আমাদের জন্য। আগামীর বাংলাদেশের জন্য। একে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন সবার। বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসমাজ এখন যেভাবে এগিয়ে আসচ্ছে , সামনে আরও আসবে। এগিয়ে আসবে প্রতিটি সাধারণ মানুষ।   প্রতিটি বাংলাদেশি নিজের অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসবে। নন-পলিটিক্যাল একদল সাধারণ ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে "নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্রের ' যে দাবি আজ বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে আমরাই পারি।
 জ্বি আমরাই পারি বদলে দিতে। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পরিবর্তন ঘটবেই। ঐ তো আলো দেখতে পাচ্ছি। আর একটু পথ।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।