ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় চলুন যাই গভীরে ।। হাসান মামুন

হাসান মামুন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৪
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় চলুন যাই গভীরে ।। হাসান মামুন ছবি: ফাইল ফটো

জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই বোধহয় একটু একমুখি। যখন যেটা সামনে আসে, তা নিয়ে মেতে উঠি।

অন্যটা প্রায় ভুলে যাই। নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা নিশ্চয়ই ভয়াবহ। এর একটা গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হতেই হবে। কিন্তু এ ডামাডোলে আমরা যেন ভুলেই গেছি মাত্র কিছুদিন আগে একই সড়কপথ থেকে এক বিশিষ্ট পরিবেশবাদীর স্বামী (আবু বকর সিদ্দিক) অপহৃত হওয়ার কথা। তাকে ফিরে পাওয়া গিয়েছিল বলেই কি ঘটনাটি ভুলে যেতে হবে? আমরা জানি না চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে এগোচ্ছে কিনা। অপহৃত ব্যক্তির স্ত্রী দেশের ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নন। তা সত্ত্বেও তিনি নীরব। আমরা কেউ জানতে চাইছি না এর কারণ। আপাতত সাত খুনের ঘটনা নিয়ে মেতে আছি।

এটা অবশ্যই সাংঘাতিক ঘটনা। দেশে এ ধরনের আর কোনো অপহরণ ঘটেছে বলে মনে হয় না। টার্গেট নন, এমন ক’জনও ঘটনাচক্রে এর শিকার হয়ে পড়েছেন। এটা আরও দুর্ভাগ্যজনক। অপহরণ ও হত্যাকারীরা প্রশিক্ষিত বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আবু বকরকে যারা ব্যস্ত রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারাও দক্ষ ছিল। দেশের উপর মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল ওই ঘটনায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যথেষ্ট তৎপর হয়ে ওঠে। সে কারণেই কী-না কে জানে, অপহরণকারীরা ছেড়ে দেয় তাকে। কিন্তু ওইসব দুর্বৃত্তকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। আবু বকরের স্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, এটাই যেন হয় অপহরণের শেষ ঘটনা। তা কিন্তু হয়নি। অপহৃত সাতজন নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পরও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি নারায়ণগঞ্জ থেকে।

অপহরণ ও গুম-খুন ঘটছে অনেকদিন ধরেই। সরকার দৃশ্যতই এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। চেনাজানা কেউ গুম না হলে আমরাও খুব একটা বিচলিত হইনি। অথচ শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে অনেকদিন ধরে। মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজধানীর কাছের ওই এলাকাকে হত্যাকারীরা নিরাপদ ভাবছে কেন? ওখানে কি প্রশাসন নেই? যে প্রশ্নটা জোরেশোরে তোলা হয়নি— ওখানে কি স্থানীয় সরকার বলেও কিছু নেই?

seven_murder_smনারায়ণগঞ্জে ভেতরে ভেতরে কী ঘটছিল, তা এখন জানা যাচ্ছে নূর হোসেন নামক এক জনপ্রতিনিধির উত্থানের কাহিনীতে। তাকে বলা হচ্ছে সাত খুনের পরিকল্পনাকারী। নিহত নজরুল ইসলামের মতো তিনিও একজন কাউন্সিলর। প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভয়ে একাধিকবার এলাকা হতে পালিয়ে থেকেও পরে তিনি নির্বাচিত হন। এ ধরনের লোককে ভোটাররা আরও উচ্চ পর্যায়েও জনপ্রতিনিধি বানিয়ে পাঠাই। এটা আমাদের সমস্যা। এ থেকে উত্তরণের পথ বাৎলানো কঠিন। তবে উত্তরণ না ঘটানো গেলে কপালে যে আরও দুর্গতি আছে, সেটা মনে রাখা দরকার।

একমুখি হয়ে থাকাও বিপজ্জনক। আগের ঘটনা বিস্মৃত হয়ে উত্তেজনা প্রকাশ করলে বিষয়টা ঠিক বোঝা যাবে না। আবু বকর সিদ্দিক অপহৃত হওয়ার পর সবাই বললাম, আগের ঘটনাগুলোর বিচার হলে এটি ঘটত না। ‘ঘটত না’ বলা ঠিক নয়; ঘটার প্রবণতা কমত। তাহলে এটাও বলতে হয়, আবু বকরের অপহরণকারীদের ধরা গেলে পরে হয়তো সাতজন অপহৃত হতো না। এমনও তো হতে পারে, একই সড়কপথ থেকে অভিন্ন গ্রুপ তাদের অপহরণ করেছে?


তা না হলেও আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনা সরকারের জন্য হওয়া উচিত ছিল ‘ওয়েক-আপ কল’। তার স্ত্রীর আন্তর্জাতিক পরিচিতির কারণে সেটি হয়ে উঠেছিল বড় খবর এবং সরকারের জন্য বিব্রতকর। ভাগ্য ভালো যে, ভদ্রলোক অক্ষত দেহে ফিরে এসেছেন। তিনি মারা পড়ে গেলে কী হতো?

দেশে এমনটি আগেও দেখা গেছে যে, একের পর এক উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটলেও সরকার গা করছে না বা সেটা অস্বীকারও করছে। কিন্তু ওই ধারায় সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেলে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সরকার। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে জঙ্গি উত্থানের ক্ষেত্রে আমরা এটি দেখতে পেয়েছিলাম। দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার পর সরকার বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়েছিল। শুরু হয়েছিল জঙ্গিবিরোধী অভিযান। এতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

র‌্যাব গঠিত হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই, ২০০৪ সালে। ‘এলিট ফোর্স’ হিসেবেই গড়ে তোলা হয় এটিকে। আইনের আওতায় বিশেষ বেতন-ভাতা ও প্রশিক্ষণে গড়ে ওঠে র‌্যাব। অপরাধ দমনে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে তারা বিতর্কিতও হন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আগেও ছিল। কার্যক্রম শুরুর পর র‌্যাবও জড়িয়ে পড়ে এতে। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো বেশি করে আলোচিত হয়।

দেশে অপহরণ ও গুম-খুনের ঘটনায়ও র‌্যাব বেশি আলোচিত হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আমরা একমুখিতার পরিচয় দিচ্ছি বলতে হবে। কেননা একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। কিন্তু র‌্যাব নিয়ে আলোচনার সময় আমরা অনেকে পুলিশের কথা বলছিই না। পুলিশ যেন ঠিক পথে আছে! পুলিশ থেকেও র‌্যাবে লোক নেয়া হচ্ছে। এ বাহিনীতে থেকে অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য যারা সাজা পেয়েছে, তাদের মধ্যে পুলিশের লোক কম নেই। তথাকথিত ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায়ও পুলিশ অনেক সময় ছাড়িয়ে যাচ্ছে র‌্যাবকে। এ নিয়ে মাঝে কথা উঠেছিল যে, তারা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত কিনা!

যাহোক, র‌্যাবের একটি টিমের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে অপহৃত হয়ে নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রের পরিবার থেকে। একেবারে টাকা-পয়সার অঙ্কও উল্লেখ করা হয়েছে। র‌্যাব এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে নিজেরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বলেছে, তারা সত্য উদ্ঘাটনে দ্বিধা করবেন না। নিজ সদস্যদের অপরাধ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য র‌্যাবে একটি ‘সেল’ রয়েছে। পুলিশে এ ধরনের স্থায়ী ব্যবস্থা আছে কী? তবে একথা ঠিক, নিজ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত র‌্যাব করলে (সুষ্ঠুভাবে এগোলেও) তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। বিশেষত গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে এমন তদন্ত অকার্যকর। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশই যথার্থ যে, তদন্ত কমিটিতে র‌্যাবের কাউকে রাখা যাবে না। কীভাবে, কাদের নিয়ে কমিটি গঠিত হবে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।

এক্ষেত্রে সরকারেরই উচিত ছিল নিজে থেকে একটা বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ব্যবস্থা করা। এটা করছেন না বা করতে পারছেন না বোধহয় এজন্য যে, ঘটনার গুরুত্ব বা ভয়াবহতা বুঝে উঠতে তারা ব্যর্থ। জনপ্রতিক্রিয়াও হয়তো বুঝতে পারছে না সরকার। এর কারণ কি তাকে বেষ্টন করে থাকা তোষামোদকারীরা? তারা কি সরকারকে ‘গুড হিউমারে’ রাখছেন? সব কিছুরই একটা মনগড়া ব্যাখ্যা হাজির করে কি বলছেন যে, সরকার ‘রাইট ট্র্যাকে’ রয়েছে? তাহলে কিন্তু মুশকিল।

নারায়ণগঞ্জে যারা অমন নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন আর যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা কমবেশি একই দল বা পক্ষভুক্ত। সে কারণে বিষয়টি আরও ভয়ঙ্করভাবে মানুষের সামনে এসে হাজির হয়েছে। এর গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক চেহারাও কারও কাছে ধরা দিচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় র‌্যাবের কিছু সদস্য জড়িত বলে শুরু থেকে যেমনটি মনে করা হচ্ছিল, পরে সে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। তবে প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেটা সন্দেহই। এ ধরনের ঘটনায় আমরা অবশ্য বেশিদিন সন্দেহ নিয়ে থাকতে চাই না। নিশ্চয়ই চাইব, হাইকোর্ট নির্দেশিত তদন্তে অভিযোগের সত্যাসত্য বেরিয়ে আসুক।

কার পরিকল্পনায় এমন লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটাও স্পষ্ট হতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় মূল অভিযুক্ত যে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তা এখন সবার কাছে পরিষ্কার। লোকটিকে প্রশাসন আগেও আইন-কানুন প্রয়োগে আটকাতে পারেনি। এটা কেবল সুশাসনের সমস্যা নয়; রাজনীতিরও সমস্যা। আওয়ামী লীগের মতো গণভিত্তিক দলের নেতৃত্বও মনে করে, প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় এ ধরনের লোক থাকা প্রয়োজন।

এ ধরনের লোক নিয়ে আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-পরবর্তী শাসনামলেও সমস্যা তীব্র হয়ে উঠেছিল। তা থেকে দলটি কোনো শিক্ষা নিয়েছে বলে মনে হয় না। ওয়ান-ইলেভেন থেকেও শিক্ষা নেয়নি। নিলে কেবল ‘উন্নয়ন’ নিয়ে মেতে থাকত না; সুশাসনেও দৃষ্টি দিত। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সুশাসনের ঘাটতি তীব্রভাবে চোখে পড়ছে। এটা নিয়ে তীর্যক ভাষায় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে বিরোধী দল। মানবাধিকার কর্মীরাও স্বভাবতই সোচ্চার হচ্ছেন।

তারা এমনটিও বলছেন যে, র‌্যাব গুটিয়ে ফেলা হোক। বিরোধী দলে যারা থাকেন, নিজেদের অতীত ভুলে তারা বরাবরই বলেন র‌্যাব-পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কথা। বলেন, এটা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নতুন করে কথাটা বললেন নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র‌্যাব আলোচনায় আসার পর।

Nur_hossenনষ্ট এমন মাত্রায় হয়েছে যে, র‌্যাব-পুলিশের মধ্যে নাকি ক্রিমিনাল গ্রুপ তৈরি হয়ে গেছে। কেবল রাজনৈতিক নয়, গোষ্ঠী ও ব্যক্তিগত বিরোধে গুম-খুনে নাকি ব্যবহৃত হচ্ছে তারা অর্থের বিনিময়ে।

এটি যদি হয়েই থাকে, তবে দৃশ্যত তা দানা বেঁধে উঠেছে বর্তমান সরকারের শাসনামলে। গুম-খুন আগেও ছিল; তবে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী বিশেষত গত ক’বছরে ধারাবাহিকভাবে ঘটছে এগুলো। একটা সময় পর্যন্ত এ নিয়ে কেবল বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনকে সোচ্চার দেখা গেছে। এখন আতঙ্ক এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, নাগরিক মাত্রই এ প্রশ্নে সোচ্চার।

যাদের কাছে মানুষ আশ্রয় বা প্রতিকারের জন্য যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় লোকে আরও বেশি আতঙ্কিত। দেশের এত মানুষ গুম-খুন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে জননিরাপত্তার বোধটাই বরবাদ হয়ে যায়। পরিণতিতে দুর্বল হয়ে পড়ে রাষ্ট্র।

এখন সরকার কি পারবে অপহরণ ও গুম-খুনের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠন করতে? সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেই যখন অভিযোগ, তখন এ ধরনের কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প বোধহয় নেই। কিন্তু সরকার এতটা করবে বলে মনে হচ্ছে না।
র‌্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তিও কি করবে না সরকার? অভিযোগ সত্য হলে আইনের মধ্যে কঠিনতম ব্যবস্থা নিক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। গোটা র‌্যাব তো আর অপরাধ করেনি। জঙ্গি দমনের জন্য এ বাহিনীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। শীর্ষ সন্ত্রাসী দমনে তারা যে ভূমিকা রেখেছেন, এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে র‌্যাব এখনও জনপ্রিয়।

‘এলিট ফোর্স’ অন্য অনেক দেশেই রয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিশেষ প্রয়োজনেই তাদের ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশেও সেটি নিশ্চিত করা হোক র‌্যাবকে সুনিয়ন্ত্রণে এনে। তাদের জবাবদিহিতায় যদি ঘাটতি হয়ে থাকে, সেজন্য তো বিরোধী পক্ষকে দায়ী করা যাবে না।

পুলিশেও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। আর র‌্যাবের তুলনায় তাদের দক্ষতায় ঘাটতি অনেক বেশি। র‌্যাবে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পর সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় সংঘবদ্ধ অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার, সেক্ষেত্রে কিন্তু র‌্যাবের ওপরই বেশি ভরসা করতে হবে।

 

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।