বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কি বিশ্বে নৈতিক, সামাজিক এবং বস্তুগত ভারাসাম্য সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে? আমার মনে হয় না!
বর্তমান ব্যবস্থা অনেকটা ভাবলেশহীন চোষণ যন্ত্রের মতো যেটা জুসের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত অনবরত চুষেই যায়। যতটুকু জুস আপনি চুষতে পারবেন তার চেয়েও অনেক বেশি চুষতে পারবেন এই অর্থনৈতিক পদ্ধতিতে।
কোনো নৈতিক দায়বদ্ধতার জায়গা রেখে এই পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়নি। অন্তত বাস্তবিক ক্ষেত্রে, আর নৈতিক দায়বদ্ধতার আলোচনা তো পরের ব্যাপার। এই যন্ত্র মানুষকে অর্থকেন্দ্রিক রোবোটে পরিণত করেছে।
ব্যবসায়িক সাফল্য নির্ধারণের মাপকাঠি স্টক মার্কেটও নৈতিক দায়বদ্ধতার জায়গায় নেই। নৈতিক বিষয়গুলো কখনোই তাদের রিপোর্টিং টেমপ্লেটে জায়গা পায়নি।
সামাজিক ব্যবসায়
আমি এমন এক ধরনের নতুন ব্যবসায় পদ্ধতির প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন করছি, যেটা নিঃস্বার্থপরতা ও মানবিক দায়বোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই ধরনের ব্যবসায় বিশ্বের শাসক স্বার্থপরতা-চালিত ব্যবসায়ের সমান্তরাল গতিতে চলে।
প্রচলিত ব্যবসায় ব্যক্তিগত লাভনির্ভর ব্যবসায়। নতুন ব্যবসায়, যেটা আমি প্রস্তাব করছি, সেটা ব্যক্তিগত লাভহীন ব্যবসায়। এটা অলাভজনকও।
আমি এটাকে সামাজিক ব্যবসায় বলি---এটা এমন এক অলাভজনক ব্যবসায় পদ্ধতি, যেটা মানুষের সমস্যার সমাধান করে। বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারে, কিন্তু এরপর আর কিছু নেই। বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার পর পুরো লাভই ব্যবসায় থেকে গিয়ে এটাকে উপকারী ও বিশাল করে তোলে। এটার অবস্থান দাতব্য ও প্রচলিত ব্যবসায়ের মাঝখানে।
এই পদ্ধতির নকশা করা হয়েছে উদারতার লক্ষ্য সামনে রেখে এবং পরিচালিত হচ্ছে ব্যবসায়ের নিয়ম-নীতিতেই, তবে ব্যক্তিগত লাভের সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ---
** ইংরেজিতে লিখিত মূল নিবন্ধটি পড়তে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪