ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

প্রকৃতির আলো

মুকিত মজুমদার বাবু, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
প্রকৃতির আলো

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুবাদে যুদ্ধের বীভৎসতা দেখেছি। দেখেছি নিরীহ মানুষের করুণ মৃত্যু।

দেখেছি প্রকৃতি ধ্বংসের মহাযজ্ঞ। গোলামী, বন্দিত্ব, গ্লানি, রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ সবকিছুর অবসান হয়ে স্বাধীনতা আসে ১৯৭১ সালে। দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন হয় দেশের মানুষ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। প্রকৃতির গায়ে ক্ষতের চিহ্ন তখন স্পষ্ট। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই প্রকৃতির গায়ে লেগেছে দানবীয় শক্তির বিষাক্ত আঁচড়। কোথাও ব্রিজ ভেঙে নদীর চলার পথে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। কোথাও বিস্ফোরণে ঝলসে গেছে বৃক্ষরাজি। আবার কোথাও কৃষকের ফসলি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনাবাদি পড়ে আছে। আগুনে পোড়া গ্রামের সাথে পুড়ে গেছে মানুষের স্বপ্ন-সাধের বাগ-বাগিচা। ফুল আর রঙবাহারি গাছে লেগেছে মলিনতার ছোপ। পাখির গান হারিয়ে গেছে রাইফেলের গুলি, গ্রেনেড আর বোমার আওয়াজে। মানুষের পাশাপাশি প্রকৃতিও হয়েছে নিঃসঙ্গ। পাকিস্তানি দানবেরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে দেশের মাটিসহ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।

স্বজন হারা শোকে মূহ্যমান মানুষগুলো আবার বুনতে শুরু করেছে আশার রঙিন স্বপ্ন। দেশ গড়ার কাজ চলছে। যে যেভাবে পারছে এগিয়ে আসছে। পোড়া মাটিতে ফসল ফলানোর দৃঢ়তা তাদের মনে। গাছে গাছে আবার ফুল ফোটানোর প্রয়াস। পাখির গলায় যাতে আবার সুর ফিরে আসে তার নিরন্তর চেষ্টা। পুড়ে ছারখার হওয়া বাংলাকে আবার সোনার বাংলায় রূপ দিতে হবে, রূপসী বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে।

১৯৭২ সালে আমি নটরডেম কলেজে ভর্তি হই। বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশ আর ভেতরের পরিবেশের মধ্যে তখন অনেকটা তফাৎ। নটরডেম কলেজ ক্যাম্পাস মানেই গাঢ় সবুজের চাদরে মোড়ানো একখণ্ড আপন বাড়ির আঙিনা। একেবারে নিরিবিলি, চুপচাপ। জীবনপাঠের সাথে প্রকৃতিপাঠ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পায়ের নিচে সবুজ দূর্বাঘাসের গালিচা, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পরিকল্পিতভাবে রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। বিচিত্র ফুলের রঙবাহারি রূপ। ফলদ, বনজ, ওষুধি সব প্রজাতির গাছই আছে। আরো আছে ফুলে ফুলে প্রজাপতির ডানা মেলে ওড়াউড়ি। ভ্রমরের মধুর গুঞ্জন। মৌমাছির মধু সংগ্রহের তাড়া। প্রকৃতির নীরবতা ভাঙছে পাখির কূজনে। কতো নাম না জানা পাখির আশ্রয় হয়েছে নটরডেমের সবুজ ক্যাম্পাসে।

১৯৬৪ সালে নটরডেমের ক্যাম্পাসটাকে সবুজে সবুজে ভরিয়ে তুলতে মূখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন দ্বিজেন শর্মা ও ফাদার বেনাস। ছাত্রদের ব্যবহারিক ক্লাশ নিতে তিনি প্রথম গাছ লাগানো শুরু করেছিলেন। তাদের চাওয়া ছিল ছাত্ররা প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রকৃতির সাথে লেখাপড়া শিখে প্রকৃতিপ্রেমী হবে এবং প্রকৃতি সুরক্ষায় অবদান রাখবে। সে দিন থেকেই ক্যাম্পাস সাজতে শুরু করে নববধূর সাজে। সবুজ শাড়িতে। সে-ই শুরু।

নটরডেমের শিক্ষকরা ছিলেন দ্বিজেন স্যারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। একজন মানুষ যে সন্তানের আদর-স্নেহে প্রকৃতিকে লালন-পালন করতে পারেন তার বড় উদাহরণ ছিলেন দ্বিজেন শর্মা। প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পারলে বোধকরি মানুষ হয়ে ওঠে অন্য এক মানুষ। তার জগৎ হয়ে ওঠে আলাদা এক জগৎ। তার ভেতরে কোনো লোভ থাকে না, লালসা বাসা বাঁধে না। থাকে না বিত্ত-বৈভবের মোহ। প্রকৃতি মানুষকে শেখায় তার এই উদারতা। আমরা সবাই প্রকৃতি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারি না। পারি না প্রকৃতিকে ভালোবাসতে। তাই সবার কাছে প্রকৃতি ধরা দেয় না। তাকে পেতে হলে মন থাকতে হয়। ভেতরে ভালোবাসা থাকতে হয়। ভালোবাসার পরশ প্রকৃতি খুব ভালো করে বুঝতে পারে। বুঝতে পারে তার মন্দ আচরণও। প্রকৃতির যে প্রাণ আছে, গাছের ফুল ছিঁড়লে গাছ যে কষ্ট পায় সেটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেন দ্বিজেন শর্মা। পাতায় পোকা লাগলে তিনি তাদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করতেন। পানি দিতেন নিজের হাতে। প্রকৃতিকে কীভাবে আপন করে নিতে হয় তা তিনি সবাইকে শেখাতেন।

ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষা সফরে যেতেন দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে। সেখানে গাছ দেখিয়ে চিনিয়ে দিতেন কোন গাছের কী নাম। প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখা, ভালোবাসা, তার সুখ-দুঃখ অনুভব করার এক অপূর্ব সুযোগ ছাত্রদের তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।

১৯৭৪ সালে দ্বিজেন স্যার সোভিয়েত প্রকাশনা সংস্থা প্রগতি প্রকাশনের অনুবাদকের চাকরি নিয়ে চলে যান মস্কো। নটরডেম কলেজের প্রকৃতি হারায় তাদের পিতাকে। কিন্তু ছাত্রদের ভেতরে প্রকৃতিকে ভালোবাসার যে বীজ তিনি রোপণ করেছিলেন তাদের ভেতর পিতার ছায়াকে দেখতে পেয়ে প্রকৃতিও আশ্বস্ত হয়। স্যার চলে যাওয়ার পর প্রকৃতির সাথে ছাত্রদের বন্ধনের শিথিলতা কখনো আমার চোখে পড়েনি।



প্রকৃতির প্রতি দরদ থাকলেও প্রকৃতি নিয়ে যে কাজ করব; একথা তখনো আমার মাথায় আসেনি। ২০০৪ সালে ‘চ্যানেল আই পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ নামে একটি অনুষ্ঠানের শুরু হয় সংযুক্ত আরব-আমিরাতে। ২০০৫ সাল থেকে অনুষ্ঠানটির মূল দায়িত্ব ছিল আমার কাঁধে।

‘চ্যানেল আই পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’-এ ভিন্নমাত্রা আনতে এর সাথে যোগ করা হয় ‘রোড টু শারজা’ নামে একটি অনুষ্ঠান। ২০০৮ সালে তুলে ধরা হয় সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বায়োডাইভারসিটি ও ইকোসিস্টেমের বিষয়টি। সে অনুষ্ঠানে আমরা তুলে ধরি—মরুভূমির একটি দেশে ওয়াটারবডি তৈরি করে, বিভিন্ন দেশ থেকে পশুপাখি এনে, গাছ লাগিয়ে মরুভূমিকে সবুজ করা এবং তার বুকে ফুল ফোটানোর জন্য তাদের নিরন্তর চেষ্টাকে। কাজটা করতে গিয়ে মনে মনে একটা হোঁচট খাই। মরুভূমির বুকে ওরা কোটি কোটি ডলার খরচ করে ইকোসিস্টেম ব্যালেন্সের চেষ্টা করছে। অথচ আমাদের দেশের প্রকৃতিকে আমরা কীভাবে ধ্বংস করছি! একটি দেশে গাছ-পালা, পশু-পাখি, নদ-নদী, হাওর-বাঁওড়, পাহাড়-অরণ্য যত ধরনের জীববৈচিত্র্য থাকা দরকার তার প্রায় সবই আছে আমাদের দেশে। অথচ সচেতনতার অভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার না করে তা শুধু ধ্বংস করছি আমরা। প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদভাণ্ডার রক্ষায় সচেতনতা ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের চিন্তা থেকেই প্রকৃতি ও জীবন অনুষ্ঠানের পথচলা শুরু। সালটা ছিল ২০০৯। প্রথমে পরিকল্পনার কাজ। তারপর কঠিন এই বিষয়বস্তুকে সজহভাবে দর্শক শ্রোতাদের কাছে উপস্থাপনের চিন্তা-ভাবনা। ২০০৯ এর ডিসেম্বরে জন্ম হয় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের। ‘প্রকৃতি ও জীবন’ প্রামাণ্য অনুষ্ঠানটি প্রথম প্রচারিত হয় ২০১০ সালের ১ আগস্ট। শুরু হয় প্রকৃতিবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে পথচলা। প্রকৃতি সংরক্ষণ, মানুষকে সচেতন করে তোলার যাত্রা শুরু হলো সেদিন থেকে।

আমি যখন মিডিয়াতে প্রকৃতিবিষয়ক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান শুরু করি তার অনেক আগেই দ্বিজেন স্যার বিদেশের পাঠ চুকিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জন্মলগ্ন থেকেই উপদেষ্টা হিসেবে তিনি আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে সব সময় তাঁকে পাশে পাই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসসহ বিভিন্ন প্রকৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি দেশের প্রকৃতি সংরক্ষণে এখনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্যারের পাথারিয়া পাহাড় নিয়ে স্মৃতিচারণ শুনি মুগ্ধ হয়ে—পাথারিয়া পাহাড়ের বড় বড় গাছ, বাঁশঝাড়, অজস্র জাতের লতা, ঢাউস পাতার বুনো রামকলার ঝোঁপের কথা মনে করে তিনি আক্ষেপ করেন। অশোক, দেবকাঞ্চন, কনকচাঁপা, পারুল, জংলীজুঁই, লুটকি, নীললতা, টালি, ল্যডিস আম্ব্রেলা, ডুলিচাঁপা, ম্যাগনোলিয়ার কথা ভেবে ভেবে মনটা খারাপ হয়ে যায় তাঁর। বিভিন্ন রকমের শাক, কচু, লতি, বাঁশের খোড়ল, লেবু, ডেউয়া, লুকলুকি, ক্ষুদিজাম, চালতা, জাম, বহেড়া, হরীতকী, বুনো আম, কাঁঠাল, আমলকি, গোলাপজাম, সাতকরা লেবু, তৈকর, আশফল, গুঙ্গাআলুসহ নানা জাতের পাহাড়ি ফলমূলের ছবি আজো মনের উঠোনে ভিড় জমায়। পাথারিয়া পাহাড়ে দেখা জংলী হাতি, বানর, হনুমান, বাগডাস, মেছোবাঘ, বনরুই, হরিণ, বনমোরগ, শকুন, ঈগল, তিতির, শ্যামা, ভিমরাজ, খরগোস, অজগর সাপ এখনো তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় পাথারিয়া পাহাড়ে।

শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি বলেন, “আমাদের গ্রামটি সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকায়, পাহাড়ঘেঁষা অন্য দশটি গ্রামের মতোই, আকারে ছোট, টিলাটালা ও গাছগাছালিতে ভরা, ছোট একটি স্রোতস্বিনী, সচ্ছল-অসচ্ছল জনগোষ্ঠী, সমসংখ্যক হিন্দু-মুসলমান, আমার ছেলেবেলার স্বপ্নরাজ্য। পূর্ব কিনারে আসাম-বেঙ্গল রেলপথ, একটি স্টেশন ও সামান্য দূরে ঘণ্টাঘর আর ওখানেই আমাদের পাঠশালা। প্রথম পাঠশালা-যাত্রা, মনে আছে, কাকার কোলে উঠে স্কুলে যেতাম। আমাদের স্কুলটা ছিল একটিই টিনের ঘর, লম্বা বারান্দা, সামনে রাস্তা, তারপর একসার আম গাছ, পেছনে উঠোন, এক পাশে একটি কাঁঠাল গাছ, অন্য পাশে নাগেশ্বর, শেষ মাথায় বাঁশ ও গাছগাছালির জঙ্গল। পুরো ঘরে একটিই শ্রেণি, প্রধান শিক্ষক নীরদচন্দ্র শর্মা, সর্বদাই অগ্নিশর্মা, সহকারী আছদ্দর আলী একেবারেই উল্টো, সর্বদাই স্নেহসিক্ত। ‘বেত নেই তো ছেলে নষ্ট’র আদর্শনির্ভর সেকালের পাঠশালাগুলো ছিল কিশোরদের জন্য আনন্দহীন অকুস্থল। এভাবে পড়াশোনার হাত ধরেই প্রকৃতির প্রেমে পড়ি। ভোরের আলোয় কাঁপতো কচিপাতার সবুজ বাতাস, উতলা হতাম ফুলের মধুগন্ধে। সেইসব আশ্চর্য দিনে পৃথিবীর সব কিশোরের মতো আমিও প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। কৈশোরের একটি দিনের কথা না বললেই নয়, ‘সরস্বতী পূজার সময় ফুল খুঁজতে গিয়ে ভিন্ন গাঁয়ে এক বৈষ্ণবীর আখড়ায় গাঁদা ফুলের একটি আশ্চর্য বাগান দেখেছিলাম। সারা উঠোনে ফুলের সে কী সমারোহ: হলুদ, কমলা, গাঢ় লাল, যেন রঙের বিস্ফোরণ। তার গোপালসেবার জন্য মানতি বলে বৈষ্ণবী আমাকে একটি ফুলও তুলতে দেননি। সেদিন বাড়ি ফেরার সময় পথ হারিয়ে এক বিলের কাছে পৌঁছে যে দৃশ্য দেখেছিলাম, আজো তা মনে আছে। আদিগন্ত দূর্বাশ্যামল মাঠ, মাঝে মাঝে হিজলবন, ছড়ানো-ছিটানো বনগোলাপ আর পুষ্পিত ভূঁইওকরার ঝোঁপ, বিলের স্বচ্ছ জলে রঙ-বেরঙের হাঁস, যেন এক স্বপ্নের দেশ। অনেকক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে ফুল না পাওয়ার দুঃখটাই ভুলে গিয়েছিলাম। তবে মাটির বন্ধন মুক্তির ব্যর্থ আর্তিতে অরণ্য যেন মাথা কুটতো। জল মর্মরের মতো সেই গোঙানি কিছুতেই শেষ হতো না। পুষ্পিত বনজুঁই কেঁপে কেঁপে ফুল ঝরাত আর আমি নির্বাক বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে তা দেখতাম। এভাবেই অরণ্যের মাঝে কেটে যায় আমার শৈশবের আনন্দময় দিনগুলো। ”



কী সুন্দর করে কথাগুলো উপস্থাপন করেন তিনি! কথাগুলো বলার সময় মনে হয় আবার ফিরে গেছেন পেছনের সেই দূরন্ত সময়ের স্রোতে। সবকিছু যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। প্রকৃতির প্রতি অন্তরে দরদের কোনো কমতি নেই। ভালোবাসার কোনো ঘাটতি নেই। প্রকৃতির ভাষা তিনি বোঝেন। প্রকৃতিও বোঝে তার ভাষা। প্রকৃতিকে মানুষ যে এতোটা আপন করে নিতে পারে একমাত্র দ্বিজেন শর্মাকে দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তাঁর মতো করে যদি দেশের সবাই প্রকৃতি নিয়ে ভাবতো তাহলে আমাদের প্রকৃতির আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হতো না।

জীবনে অনেকটা পথ পেরিয়ে দ্বিজেন শর্মা আমাদের কাছে জীবন্ত কিংবদন্তী, প্রকৃতির বরপুত্র। প্রকৃতিকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে তার কথা বুঝতে হয় তা তিনি এখানো ছড়িয়ে দিচ্ছেন মানুষের মাঝে। প্রকৃতি রাজ্যের পথপ্রদর্শক চিরতরুণ এই মানুষটির আজো প্রকৃতির প্রতি অফুরান প্রেম-ভালোবাসা সত্যি সবাইকে মুগ্ধ করে। তাঁর শিক্ষা, তাঁর দীক্ষা আমাদের চলার পথের পাথেয়। অন্ধকারে আলোর দ্যুতি ছড়ানো এই মানুষটি বেঁচে থাকুক আমাদের মাঝে অনন্তকাল।

লেখক: চেয়ারম্যান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।