‘২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বৈঠক বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমি হত্যার হুমকি পেয়েছিলাম। যদি আমার কিছু হতো (বৈঠকে যাওয়ার পথে), তবে আমাদের বিরোধীরা তার জন্য জামায়াতকে দায়ী করার পরিকল্পনা করেছিল।
‘…আমার যেকোনো কিছু ঘটতে পারত, আর এর পুরো দায় গিয়ে পড়ত জামায়াতের ওপর এবং আমাদের বিরোধী পক্ষের এটাই ছিল পরিকল্পনা, যা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এবং সে কারণে বৈঠক বাতিল করা হয়েছিল। আজ আমি আপনাকে প্রকৃত বিষয়টি জানালাম। ’
প্রায় দু’বছর পর তিনি বললেন/জানালেন ‘প্রকৃত বিষয়টি’। তিনি মানে বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া। এতোদিন তার দল বা তিনি এই ‘প্রকৃত বিষয়’ নিয়ে টু-শব্দটি করেননি। এখন বললেন তো বললেন, তা-ও আবার দেশের কাউকে বা দেশের কোনো মিডিয়াকে নয়; বরং বিদেশি মিডিয়াকে। আর সে মিডিয়াও ভারতের---বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সাংবাদিক এম জে আকবর সম্পাদিত ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘দ্য সানডে গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সাংবাদিক সৌরভ স্যান্যালকে। খালেদা জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ‘না পারার কারণ’ ব্যাখ্যা করেন এভাবে(উপরের দুটি উদ্ধৃতাংশে)। ৭ জুন সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে তার দফতরে একটি একান্ত সাক্ষাৎকারটি নেন সৌরভ। সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা ও বৈঠক করে আসার পরপরই। অথচ এটি ছাপা হয়েছে –এতোদিন পর—রোববার ১৪ জুন, ২০১৫।
এখন খালেদার বক্তব্যের কিছু দিক খতিয়ে দেখা যাক। ২০১৩ সালে কারা একের পর এক হরতাল-অবরোধ ডেকেছিল? জবাব সবার জানা—বিএনপি-জামায়াত ও তাদের ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। সরকারবিরোধী আন্দোলনে এদের সব কর্মসূচি ছিল এক ও অভিন্ন। আন্দোলন মানেই—পুরো ২০১৩ সাল জুড়ে নৈরাজ্যের ষোলকলা—‘যাহা বিএনপির তাহাই জামায়াতের’ এবং তাহাই ২০ দলীয় জোটের। হ্যাঁ, একথা সবারই মনে থাকার কথা ভারত-রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সফরের সময় হরতাল তো বিএনপি-জামায়াতই ডেকেছিল! অথচ ভারতীয় রাষ্ট্রপতির অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও ওই দিনটাতেই হরতাল ডেকে বসেন খালেদা ও তার মিত্ররা। নিজেদের ডাকা হঠকারী হরতালেই কিনা খালেদা জিয়া দেখলেন নিজের নিরাপত্তাহীনতার ভয়। মানে দুইয়ে দুইয়ে চার---নিজেদের ডাকা হরতালে নিজেরাই নিরাপত্তাহীন; আর সেই ‘নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত’ দেখিয়ে ভারত-রাষ্ট্রপতির সাথে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাৎ কর্মসূচি বাতিলের মহা মেলোড্রামা!
সেই হরতাল প্রত্যাহারের জন্যে নানা মহল থেকে অনুরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কান দেননি বিএনপি ও তার মিত্রদের ভাষায় ‘আপসহীন নেত্রী’ খালেদা। কিন্তু আপস তো তিনি করেইছিলেন সেদিন জামায়াতের চাপে! হরতাল প্রত্যাহার তিনি যেন না করেন সেজন্য তার ওপর প্রচণ্ড চাপ তো জামায়াতের তরফ থেকেই ছিল। ভারতের রাষ্ট্রপতির মর্যাদা ও সম্মানের চেয়ে, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক স্বার্থ না দেখে খালেদা জিয়া সেদিন বড় করে দেখেছিলেন তার রাজনৈতিক মিত্র ও দোসর একাত্তুরে ঘাতকদের দল জামায়াতের চাপ ও অন্যায় আব্দারকে।
আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার দেখা করতে না যাওয়াকে দেশে বা বিদেশে কেউ ভালোভাবে নেয়নি। বিশেষ করে ভারতের সব রাজনৈতিক দল ও মিডিয়া খালেদার এহেন আচরণকে অবমাননাকর ঘটনা হিসেবেই দেখেছে। সেসময় এসবের আঁচও পাওয়া গেছে ভারতের মিডিয়ায় কলামে-প্রতিবেদনে।
আর সানডে গার্ডিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, তাকে নাকি প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছিল! তাই তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাননি! কিন্তু প্রশ্ন হলো, খালেদার প্রাণনাশের হুমকি কে দিতে পারেেএখন প্রশ্ন হলো, প্রাণনাশের হুমকির মতো গুরুতর সহিংসতা ও ভায়োলেন্সের হুমকি এদেশে কারা দেয় বা দিয়ে থাকে? ধর্মান্ধ জঙ্গীরা এবং জামায়াত-শিবির নাকি অন্য কেউ? আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা কি তাহলে? হত্যা-নৈরাজ্য হুমকি এসব এরা ছাড়া আর কে বা কারা দেয় এদেশে! এদের পায়ের তলার মাটি আর মাথার উপর ছায়া-আশ্রয় বলতে তো বিএনপিকেই বোঝায়! সেখানে তারা দেবে খালেদাকে হত্যার হুমকি? এ-যুক্তি কতোটা ধোপে টেকে!
কেউ কেউ খালেদার এই বক্তব্যকে বিএনপির ধারাবাহিক অভ্যাসেরই সাম্প্রতিকতম সংযোজন বলে দাবি করছেন। বিশেষ করে তার রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা বলছে, খালেদা সত্য বলেননি।
বিএনপির বিরুদ্ধে তীর ছোড়ার সুযোগ কিন্তু বিএনপিই করে দিয়েছে/দিচ্ছে---নানান স্ববিরোধিতা ও হঠকারিতার মধ্য দিয়ে। এরকম বহু কাঁচা কাজ করেছে বিএনপি। সাম্প্রতিককালে এরকম দুটি কাঁচা কাজ বিএনপিকে রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। একটি হচ্ছে, ভারতের বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন মর্মে বিএনপির কিছু অতিউৎসাহী নেতার অসত্য প্রচার। আরেকটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে মর্মে মার্কিন সিনেটরদের নাম জড়িয়ে অসত্য প্রচার। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ‘ছোট হয়ে আসা’ পৃথিবীর সব কিছু আজ সবার হাতের মুঠোয়। কোনো সত্য বা অসত্য বেশিদিন চাপা দিয়ে রাখার যো নেই এই-প্রযুক্তিবান্ধব যুগে। ফলে যা হবার তা-ই হয়েছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়েছে। ওই সিনেটর/সিনেটরদের তরফ থেকে বিএনপির প্রচারকে অসত্য বলে বিবৃতি দেবার পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। দেশে ও বিদেশে হাসির পাত্র হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর এবার প্রণব-সন্দর্শনে না যাওয়ার পক্ষে খালেদা জিয়া যে যুক্তি দিলেন, তার ভিত খুব মজবুত এমনটা পাঁড় বিএনপিঘেঁষা লোকেরাও বলবে না। কারণ যুক্তিটা খুব মজবুত নয়। সেকথায়ই আসছি।
সমস্যাটা আসলে বিএনপির কূটনৈতিক শিষ্টাচারহীনতার মধ্যে। নিরাপত্তাহীনতার যে যুক্তি দেখিয়ে খালেদা ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে যাননি, সেই তিনিই কিন্তু অন্য একটি দেশের সামান্য এক মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে হরতাল-অবরোধ শিথিল করে সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলেন। এই কর্মকর্তা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। এরকম আরো অনেকের সাথেই হরতাল-অবরোধের মধ্যেও সাক্ষাৎ-বৈঠক করেছেন খালেদা। তখন তার মনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ভীতি বা শঙ্কা কাজ করেনি। কেন করেনি? এই প্রশ্নের জবাব কেবল খালেদা জিয়া ও তার দলের কাছেই আছে! আছে কি আদৌ?
আর খালেদা যখন বলেন ‘...আমার যেকোনো কিছু ঘটতে পারত, আর এর পুরো দায় গিয়ে পড়ত জামায়াতের ওপর এবং আমাদের বিরোধী পক্ষের এটাই ছিল পরিকল্পনা, যা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এবং সে কারণে বৈঠক বাতিল করা হয়েছিল। আজ আমি আপনাকে প্রকৃত বিষয়টি জানালাম’, তখন তিনি দুটো বিষয় স্পষ্ট করেন। একটা হচ্ছে, খালেদা তার বিরোধী পক্ষকে (প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগকে) ভয়ঙ্কর পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করলেন আর জামায়াতকে প্রতিপন্ন করতে চাইলেন সেই পরিকল্পনার টার্গেট -----অতি নিরীহ এক দল হিসেবে। কিন্তু তার এভাবে দেখাটাও বাংলাদেশের রাজনীতির একচোখা বাস্তবতাকেই তুলে ধরে। কিন্তু তার এই মনোভাব ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’---এই আপ্তবাক্যকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। জামায়াত নামের উগ্র ধর্মান্ধ দলটির গায়ে যতোই তিনি মেষ শাবকের পোশাক চাপান না কেন, তাদের উগ্র করাল-ভয়াল কদর্য চেহারাটিকে ঢাকতে তিনি পারবেন না।
সাক্ষাৎকারে সৌরভ স্যান্যালের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি কেন ভারত বিরোধী হতে যাব? দেখুন, এই বিষয়টিই আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী, হিন্দুবিরোধী রং লাগানোর জন্য সমবেতভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে’! তার দাবি ও বাস্তবতার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক সেটা বিরাট পরিহাস হয়ে কানে বাজে। মানুষ ভুলে যায় নি কতোটা হিন্দুবিদ্বেষী আর কতোটা ভারত-বিদ্বেষী তার দল বিএনপি, তাদের প্রাণের দোসর জামায়াত-শিবির ও তথাকথিত ইসলামী দলগুলো।
প্রতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় খালেদা যেসব ভাষণ-বক্তৃতা দেন সেসব কি মানুষ ভুলে গেছে? ‘আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তারা দেশ বিক্রি করে দেবে। ভারতের হাতে তুলে দেবে। মেয়েদের শাঁখা-সিঁদুর পরতে হবে! মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি শোনা যাবে’ –এই কথাগুলো খালেদা তার নির্বাচনী জনসভাগুলোতে বলে আসছেন আজ দু’দশকের বেশি সময় ধরে! তাহলে এবার কি করে নিজেকে ও নিজের দলের পক্ষে সাফাই গাইলেন খালেদা? প্রযুক্তির কল্যাণে মিডিয়ার কাছে তার দেওয়া ভাষণের ভিডিও ক্লিপ যে আছে সেটা বোধহয় তিনি ভুলেই গেছেন।
বিএনপি এভাবেই একের পর এক স্ববিরোধিতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। একটা ভুল থেকে আরেক ভুলের দিকে ছুটছে কেবল।
ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকা মোদির সঙ্গে খালেদার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে একটা প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম: ‘নিজে যেচে মোদীর সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা’। এমন শিরোনাম লেখে বুঝতে দেরি হয় না ভারতীয়দের কাছে খালেদা ও তার দলের গুরুত্ব কমতে কমতে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এমন অনেক কিছুই লেখা হয়েছে যা খালেদা ও তার দলের নেতিবাচক ভাবমূর্তিই তুলে ধরেছে। সে সুযোগটা বিএনপিই করে দিয়েছে নিজেদের কূটনৈতিক প্রজ্ঞার দৈন্য ও গোঁয়ার্তুমির কারণে। নইলে আনন্দবাজার কী করে এমন কথা লিখতে পারে:
‘...সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিএনপি নেতাদের একাংশও মনে করছেন— মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছেন খালেদা জিয়া, এবং এর জন্য তাঁর একগুঁয়ে মনোভাবই দায়ী। গত সাধারণ নির্বাচনে দলকে অংশগ্রহণ করতে না-দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এখন কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বিএনপি। সংসদে কোনও প্রতিনিধি না-থাকায় সফরে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বিএনপি ও তাঁর নেত্রী খালেদা জিয়ার কূটনৈতিক গুরুত্ব তলানিতে ঠেকেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেই অসহায় অবস্থাটিই হাটে হাঁড়ি ভাঙা হয়ে গিয়েছে মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে। প্রোটোকল মেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদার আগে সময় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ, জাসদ-এর হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। রওশন সংসদে বিরোধী নেত্রী, ইনু ও মেনন হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের শরিক হিসেবে সংসদে তাঁদের বেশ কয়েক জন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। তাই খালেদাকে বসিয়ে রেখে তাঁর সামনেই ইনু-মেননদের ডাক পড়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনার জন্য। সবার শেষে খালেদার জন্য তখন মিনিট দশেক সময় হাতে ছিল মোদীর। ’
সবকিছু মিলিয়ে বলতেই হয়, দল হিসেবে বিএনপি ধুঁকছে—নিজেদের তৈরি করা ব্যাধিঘোরে। তাহলে এসব নেতিবাচকতা থেকে বের হতে, মুক্ত হতে নিজেদের পথের সন্ধান বিএনপিকেই করতে হবে। দল হিসেবে মিথ্যাচার, স্ববিরোধিতা, আর ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা বন্ধ করার’ বদভ্যাস থেকে সরে আসতে হবে বিএনপিকে। সঠিক দূরদৃষ্টি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতির বড় রাস্তায় পা মেলাতে না পারলে ভবিষ্যতে আর পথ খুঁজে পাবে না বিএনপি। সেটা বিএনপি ও বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। ইতিবাচক মনোভাব, দূরদৃষ্টি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি যদি নেতিবাচক রাজনৈতিক অভ্যাস বদলে ফেলে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় নামে, তাহলে দেশের রাজনীতিও ইতিবাচক দিকেই মোড় নেবে। বিএনপিকেই এখন ঠিক করতে হবে আসলে তারা কি চায়!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
জেএম/
মুক্তমত
প্রণবের সঙ্গে দেখা না করা
বিএনপি: ভুলেরে করিয়া দিতে দূর…!
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।