অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করেই দেশে সকল উৎসব উদযাপন হয়। তেমনি সারা দেশে বরাবরের মতোই প্রবল উৎসাহ, ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রেখে এবং পরিজনদের সঙ্গে একাত্ন হয়ে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন হয়েছে।
রমজান মাসে আমাদের দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচী তেমন থাকে না। যদি অবশ্য পালনীয় কোন দিবস থাকে সেসব যথাযথভাবে পালন করা হয়। কর্মসূচী অনুযায়ী এবার রমজানের আগে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশন ৮ জুলাই শেষ হয়ে যায়।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামে পবিত্র রমজান মাসেও হরতাল সহিংসতা করে এবং অতীতেও করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদের রায় ঘোষণা করায় ২০১৩-এর জুলাইয়ের ১৫ থকে ১৮ তারিখ রমজানে টানা চারদিন হরতাল দিয়ে তাণ্ডব চালায় জামায়াতে ইসলামী। সেসময় সারাদেশে ৯ জন নিহত হয় এবং ২৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। চার দিনের হরতালে শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পিকেটাররা।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, কোন প্রকার সহিংসতা ইসলাম সমর্থন করে না। কিন্তু বিচার কার্য ব্যাহত করতে রায় প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলাম সেসময় সারাদেশে তাণ্ডব চালায়। বিএনপির মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে। মুখে ইসলামের কথা বললেও কাজ-কর্মে তারা ইসলামের আদর্শকে ধারণ করে না। এবারও এর প্রমাণ দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। রমজান মাসে তিনি বিভিন্ন ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থেকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে, এবং মিথ্যাচার করে খালেদা জিয়া এও বলেছেন— ‘মক্কা শরীফে আমাদের জন্য প্রতিদিন দোয়া হচ্ছে। সরকারের পতন কামনা করে দোয়া হচ্ছে। কারও না কারও দোয়া কবুল হবে’ (সুত্র : একটি জাতীয় দৈনিক, ৩০ জুন ২০১৫)।
যতোগুলো ইফতারে তিনি অংশ নিয়েছেন প্রতিটিতেই সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ইফতারে অংশ নিয়েছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের আত্নীয়-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যা নিয়ে নিজ দলেই সমালোচনা রয়েছে। সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের সঙ্গে ইফতারে তিনি মাগরিবের আযানের পরও তার বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন যা গণমাধ্যমে এসেছে। উনার এই ইফতার পার্টিতে রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, রোজা রেখে ইসলাম ধর্মমতে যেসব কাজ অনুচিত, তিনি সেসব অবলীলায় করেছেন, পাশাপাশি সরকারকে নানা হুমকি দিয়েছেন।
এখানে লক্ষ্যণীয়, যখনই বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের মূল্যায়ন করল বাংলাদেশের অর্থনীতি এক বছরের ব্যবধানে ৫৮তম স্থান থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৪তম অবস্থানে পেঁৗছেছে। ২০১৫ সালে দেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৩ সালে ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাশাপাশি, ক্রয়ক্ষমতার সমতা ভিত্তিতে বাংলাদেশ ২০১৩ সালের ৩৬তম অবস্থান থেকে তিন ধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে ৩৩তম অবস্থানে এসেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ আরো জানায়, জোরালো ও টেকসই প্রবৃদ্ধির সুবাদে ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলা বর্তমান জিডিপি অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তি পাচ্ছে (সুত্র : একটি জাতীয় দৈনিক, ১০ জুন ২০১৫)।
বাংলাদেশের জন্য এসব সুসংবাদ যেন বিএনপি নেত্রী ও তার দল মেনে নিতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে গিয়ে খালেদা জিয়া বললেন, দেশ চলছে না, দেশ অচল, মানুষ ক্ষুধার্ত (সুত্র : একটি জাতীয় দৈনিক, ৬.৭.২০১৫)। শুরু করলেন দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং পবিত্র রমজান মাসকেই তিনি বেছে নিলেন। তার যেসব নেতাকর্মীরা এতদিন স্বেচ্চায় গোপনে ছিল তারা সবাই ইফতারের অনুষ্ঠানে সরব হলেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিলেন। যদিও তাদের কথা শুধু বক্তৃতা বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ। মনে করিয়ে দিতে চাই ২০১৪ সালেই রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানেও খালেদা জিয়া একই ধরনের সরকার বিরোধী কথা বলেছিলেন। সেসময়ের বক্তব্য আর ২০১৫ এর রমজানের বক্তব্যের সারমর্ম প্রায় এক। সেসময় বলেছিলেন ঈদের পর দুর্বার আন্দোলন করবেন, দল গোছাবেন, এবার একই কথা বলেছেন দল পুনর্গঠনের পর সরকার বিরোধী আন্দোলন করবেন। এবার ঈদের পর এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমন বক্তব্য খালেদা জিয়া বহুবার দিয়েছেন যা পরে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। এমনকি তার দলের নেতাকর্মীরা তার ডাকা কর্মসূচীতেও অংশ নেয়নি।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ অনেক দিন ধরেই দল গোছানোর কথা বলছেন যা তারা শুরুই করতে পারেননি। এবং তাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ফোনালাপ থেকে জানা যায়, তাদের মধ্যে কতটা হতাশা বিরাজ করছে যা তৃণমূল পর্যন্ত। মানুষ পুড়িয়ে মারার হুকুম বাস্তবায়ন করে আজ ভিতরে ভিতরে হয়ত বিবেকের তাড়নায় তারা আত্নশ্লাঘায় নিমজ্জিত। এর জন্য যতোই খালেদা জিয়া বলে বেড়ান যে অবরোধে তারা মানুষ পুড়িয়ে মারেনি, তা মিথ্যাচার। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমাসহ যারা ধরা পড়েছে তারা বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী, বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীর ধরা পড়েছে, গণপিটুনী খেয়েছে এবং নিজেদের বোমায় নিজেরাই নিহত হয়েছে। বিএনপি নেত্রী যতোই অস্বীকার করুক, এতে সত্য মিথ্যা হয়ে যায় না বরং সত্য আর বেশি শক্তিশালী হয়। দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি বিএনপি জামায়াত সংঘবব্ধ হয়ে করেছে, সেজন্যই মানুষ খালেদা জিয়া ও বিএনপির উপর বীতশ্রদ্ধ।
খালেদা জিয়া যতোই সরকার পতনেই হুমকি দেন না কেন, এ আন্দোলনে উনার নেতাকর্মীরা পাশে নেই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, জনগণ বিএনপির অক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত এবং তাদের হিংস্ররূপকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। খালেদা জিয়া রাজপথে ব্যর্থ হয়ে ইফতারের অনুষ্ঠানে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন, যা নিষ্ফলা হুংকার ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ হরতাল অবরোধ দিয়েও কোন প্রকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়েও অবরোধ থেকে সরে এসেছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট। খালেদা জিয়া বা ২০ দলের নেতৃবৃন্দ অবরোধ প্রত্যাহার করা নিয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়ে নিজেদের অক্ষমতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের হুংকার দিয়ে ঈদের পর অন্য সুরে কথা বলছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য তাদের অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে সরে আসতে চাইছে কিন্তু আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন ব্যবস্থা নেই বা এক কোন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।
আমাদের সংবিধানে স্বাভাবিকভাবে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়টি একটি ‘শর্তের সঙ্গে যুক্ত। সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতাও স্বেচ্ছাধীন নয়। এটিও ‘দুটি শর্তের সঙ্গে যুক্ত’। এর একটি হলো, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা হারিয়েছেন এবং অন্যটি আর কোনো সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন এ দুটি শর্তে। এছাড়া মেয়াদ অবসানের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৭ (২) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শ দান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবেন। একমাত্র ৫৭ (২) অনুচ্ছেদ ছাড়া আর কোনো অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই।
বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হারানো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার লিখিত অনুরোধ জানাতে পারবেন না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়। কেননা রাষ্ট্র পরিচালনার বিধান কারো ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। প্রধানমন্ত্রী কোন কারণে যদি পদত্যাগ করেন, তাহলেও রাষ্ট্রপতির সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সংসদে অন্য কোনো সদস্য বা দল সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন কী-না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে (ক) উপ-দফায় উল্লেখ রয়েছে ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। ’ তবে এ ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না। ’ সংবিধানের এই বিধানের কারণে নির্বাচনের আগে সংসদ বাতিলের সুযোগ নেই। কেননা বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখেই জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বর্তমান সংবিধান যে রূপ ধারণ করেছে তাতে সংবিধান সংশোধন ছাড়া কোনভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন সম্ভব নয়। সংবিধানের ৫৫(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে। ’ ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) উপ-অনুচ্ছেদের শর্তাংশে বলা হয়েছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে তাহার সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং অনধিক এক দশমাংশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন। ’
৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যে সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হইবেন, রাষ্ট্রপতি তাহাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করিবেন। ’ ৫৬ অনুচ্ছেদের (৪) উপ-অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া এবং সংসদ সদস্যদের অব্যাহতি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের (২) (প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত ) বা (৩) দফার অধীনে (প্রধানমন্ত্রী) নিয়োগদানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার অব্যাহতিপূর্বে যাহারা সংসদ সদস্য ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্যসাধনকল্পে তাহারা সদস্যরূপে বহাল রহিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। ’ সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে যদি (ক) তিনি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন; অথবা (খ) তিনি সংসদ সদস্য না থাকেন।
সংবিধানের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ অনুচ্ছেদ একত্রে ব্যাখ্যা করলে এই দাঁড়ায় যে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা আছে যদি না তারা পদত্যাগ করেন তাহলে তাদের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি কোনো কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন বা সংসদের আস্থা হারান তাহলেও সংবিধানের ৫৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্দলীয় কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। (সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান)
উপরের সংবিধানের ধারা থেকে বোঝা যায় বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচন কিংবা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী যুক্তিযুক্ত নয়। বিএনপি নেত্রীর বক্তব্য তাই নিষ্ফল হুংকার। উন্নয়নের যে সড়ক ধরে বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে অযৌক্তিক কোন দাবী উত্থাপন করে জনগণকে পাশে পাওয়া দুরুহ কাজ। মানুষ উন্নয়নের স্রোতে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানো, বাসে-ট্রাকে-রেলে আগুন, অর্থনীতির ক্ষতি জনগণ প্রত্যাশা করে না সেই উপলব্ধি বিএনপির জন্ম নেয়া জরুরী।
লেখক : পরিচালক, সিআরআই এবং রাজনৈতিক কর্মী
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ৩০ জুলাই ২০১৫