ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

এই তাহের সেই তাহের

জাহিদ নেওয়াজ খান, অতিথি কলামিস্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১
এই তাহের সেই তাহের

আবারো পত্রিকায় শিরোনাম আবু তাহের। কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম হত্যাবার্ষিকীর আগের দিন থেকে যে তাহেরকে নিয়ে শিরোনাম তিনি অন্য তাহের, লক্ষ্মীপুরের সমালোচিত-নিন্দিত আবু তাহের।

নাম ছাড়া দুই তাহেরের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়ার আর কিছুই নেই, কোনো তুলনাও চলে না তাদের মধ্যে। শুধু আবু তাহের বীর উত্তম হত্যাবার্ষিকীর দিন এবং আগের দিন লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগের নেতা তাহের শীর্ষ সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন বলেই দুই তাহেরকে নিয়ে আলোচনা। আর আরেকটি কারণ কর্নেল আবু তাহেরের রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা এখন তাঁর আদর্শ ভুলে রাজনৈতিক সহযোগী হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের আবু তাহেরের।

দুঃখজনক এবং লজ্জার আরেকটি বিষয় হলো লক্ষ্মীপুরের তাহেরকে নিয়ে শিরোনামের সঙ্গে চলে এসেছে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছেন সারা জীবন মানুষের পক্ষে থাকা রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। খুনের মামলায় শাস্তি হওয়ার পরও রাষ্ট্রপতির মার্জনায় সবাই বিস্মিত শুধু এই কারণে নয় যে, তিনি ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করেছেন; সবাই বিস্মিত এ কারণেও যে হত্যাকাণ্ডে আপনজন হারানোর কষ্ট অনুভব করা রাষ্ট্রপতি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন তাঁর মতোই আপনজন হারানো একটি পরিবারকে।

তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্লব এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা ইসলাম তাই বলছেন : আপনজন মরলে কেমন কষ্ট, রাষ্ট্রপতি তা নিশ্চয় বোঝেন। তাঁর স্ত্রী আইভি রহমান সন্ত্রাসীদের হাতেই তো খুন হয়েছেন। এখন আইভি রহমানের খুনিরা আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি কি তাদের ক্ষমা করবেন?

শুধু রাষ্ট্রপতি নন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও প্রশ্ন আছে, ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা ইসলামের। তিন মেয়ে ও এক ছেলের নিরাপত্তার কথা ভেবে এলাকা ছেড়ে এখন অনেকটা গোপনে ঢাকায় থাকা রাশিদা ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর বাবার হত্যাকারীর বিচার চাইতে পারেন, আমার ছেলেমেয়েদের কী দোষ? তারা কেন তাদের বাবা-হত্যার বিচার পাবে না? প্রধানমন্ত্রী তবু তাঁর বাবার কবর জিয়ারত করে কিছুটা কষ্ট কমাতে পারেন; আমার সন্তানেরা তো বাবার কবরও পেলো না, লাশটাও দেখলো না।

নুরুল ইসলামের পরিবার তার লাশও দেখতে পারেনি, কারণ তার মরদেহ হত্যার পর মেঘনায় ভাসিয়ে দিয়েছিলো খুনিরা। ২০০০ সালে লক্ষ্মীপুরে তাহেরের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হলে একদিকে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন নুরুল ইসলাম, অন্যদিকে বাংলাদেশে সব সময়ই বিরোধীদলের ওপর দমন-নির্যাতনের যে ইতিহাস তার ধারাবাহিকতায় সে সময় লক্ষ্মীপুরে বিএনপির গ্রেফতার এবং পালিয়ে বেড়ানো নেতা-কর্মীদের আইনি সহায়তা দিচ্ছিলেন তিনি। এই কারণেই ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে অপহরণ করা হয় সে সময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে। পরে হত্যায় জড়িত দুই আসামি আদালতে স্বীকার করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লবের নেতৃত্বে নুরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। লাশ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয় মেঘনা নদীতে।

আবু তাহের এবং তার স্ত্রীও এই মামলায় আসামি ছিলেন। তবে তারা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও মৃত্যুদণ্ড হয় বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির, আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নয়জনের। এক দশক পলাতক থেকে বিপ্লব ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার বাবা আবু তাহের ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন। আর তা মওকুফ করে দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

এভাবে খুনির মৃত্যুদণ্ড মার্জনা করে দেওয়া বাংলাদেশে অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিএনপির প্রবাসী নেতা ঝিন্টুর মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে দিয়েছিলেন অধ্যাপক ডক্টর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। অথচ চুয়াডাঙ্গার পাঁচ বছরের সুমাইয়ার মায়ের জামিনও হয় না।

২০০৬ সালে সুমাইয়ার বাবা রাজ হোসেন খুন হলে অভিযুক্ত হন সুমাইয়ার মা উজালা বেগম। সুমাইয়ার বয়স তখন পাঁচ মাস। মায়ের সঙ্গে শিশুসন্তানও যায় কারাগারে। ২০০৮ সালে উজালা বেগমের ফাঁসির আদেশ হয়। আর সাড়ে চার বছর কারাগারে থেকে গত ২৫ এপ্রিল বাইরের মুক্ত জীবনে এসেছে সুমাইয়া। কিন্তু মুক্ত পৃথিবীর সবকিছুই অজানা তার, মা ছাড়া কোনো স্বজনই স্বজন নন। মা-বাবা দুই দরিদ্র পরিবার সুমাইয়ার ভরণপোষণেও অপারগ। সুমাইয়া তাই মায়ের কাছে কারাগারেই ফিরে যেতে চায় আবার। কিন্তু সেখানে যেতেও আইনের বাধা।

সুমাইয়ার মায়ের ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর দরিদ্র এবং অশিক্ষিত পরিবারটি ভেবেছিল সেখানেই সব শেষ। পরে অবশ্য তারা জানতে পেরেছে হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ আছে। আইনের দীর্ঘ লড়াইয়ে সুমাইয়ার মা উজালা বেগম হয়তো মুক্ত হবেন, অথবা হয়তো তার ফাঁসির আদেশ বহাল থাকবে কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যাই হোক সুমাইয়া তার শৈশব হারাবে, বাবার খুন হওয়া আর মায়ের কারাগারে থাকার কারণে এখনই তার মধ্যে যে অস্বাভাবিকত্ব দেখা যাচ্ছে তাতে হয়তো স্বাভাবিক জীবনও কখনোই পাবে না সুমাইয়া।

আইনের ব্যাখ্যা না জেনেও বলা যায়, এমন ঘটনায় মানবিক বিবেচনায় রাষ্ট্র কাউকে মার্জনা করতে পারে, তা না হলে অন্তত শেষ রায় না হওয়া পর্যন্ত জামিনের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু এই রাষ্ট্রের সংবিধানে যাই থাকুক, রাষ্ট্র সবসময়ই ক্ষমতাবানদের পক্ষেই থাকে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে যাদের।

লক্ষ্মীপুরের আবু তাহেরের ছেলে, যার ডাক নাম বিপ্লব, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান তার মৃত্যুদণ্ড মার্জনা করে সেই প্রমাণই আবার দিয়েছেন। অথচ সন্ত্রাসী ঘটনায় রাষ্ট্রপতি নিজে তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন, ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বোন ছাড়া তার পরিবারের সকলকে। শুধু তাই নয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিম, তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, খায়রুজ্জামান চৌধুরী লিটন এবং জাহিদ আহসান রাসেলসহ ক্ষমতাসীন দলের এমন আরো অনেকে আছেন যাদের বুকজুড়ে বুলেটের আঘাতে রাজনীতিক বাবা হারানোর দীর্ঘশ্বাস।

বিএপির রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিনের ঝিন্টুকে মার্জনা করার মতো তাহেরের ছেলে বিপ্লবকে ক্ষমা করে দেওয়াও রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার এক বড় উদাহরণ। কিন্তু রক্তের সিঁড়ি বেয়ে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগ যখন সেই একই কাজ করে তখন তা অমানবিকও অনেক বেশি। অমানবিক এ কারণে যে, আওয়ামী লীগে স্বজন হারানো নেতাদের তালিকা অনেক দীর্ঘ।

আর রাষ্ট্রপতি এমন একটি পদ যাকে সব বিতর্কের ওপর রাখতে হয়। তবে বিতর্কের ওপরে থাকার জন্য রাষ্ট্রপতিকেও এমন ব্যক্তিত্ব আর ইমেজ রাখতে হবে যাতে তিনি কোনো বিতর্কের বিষয় না হয়ে যান। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ তেমন রাষ্ট্রপতি পায় না। শুধু ঝিন্টুকে ক্ষমা করে দেয়া নয়, আরো অনেক কলঙ্কের জন্ম দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডক্টর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।

একজন মানুষ কীভাবে ধিকৃত রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হতে পারেন তারও প্রমাণ ইয়াজউদ্দিন। বিশাল আলোচনায় না গিয়ে ১৬ বছরের পার্থক্যে একই তারিখের দুটি ঘটনাই তার প্রমাণ।

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ডাক্তার মিলন শহীদ হলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন স্বৈরশাসক এরশাদ। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দফায় দফায় জরুরি অবস্থা ভেঙ্গে মিছিল করে। বিকেলে মিছিলে শিক্ষকরাও যোগ দেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। দোয়েল চত্বরে পুলিশের টিয়ারগ্যাসে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। সেদিন ছাত্ররাই তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে তাকে শুশ্রূষা করে।

এর ঠিক ১৬ বছর পর আরেক ২৮ নভেম্বর। ইয়াজউদ্দিন তখন রাষ্ট্রপতি কাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান। বিএনপিকে আবারো ক্ষমতায় আনার স্বপ্নে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। আর আন্দোলনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল। নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ছিলো সেদিন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিনেরও একটি কর্মসূচি ছিলো সে সময়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যার নাম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ’৯০-র ২৮ নভেম্বর টিয়ারগ্যাস খেয়েছিলেন ইয়াজউদ্দিন, বিপরীতে ২০০৬-র ২৮ নভেম্বর ইয়াজউদ্দিনের রাস্তা নিরাপদ করতে টিয়ারগ্যাস খেতে হয় হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ কর্মীকে।

যাদের স্বার্থে সেদিন আওয়ামী লীগ কর্মীদের তিনি লাঠিচার্জ এবং টিয়ারগ্যাস উপহার দিয়েছিলেন, তাদের স্বার্থও অবশ্য পরে রক্ষা করতে পারেননি ইয়াজউদ্দিন। অবস্থা তিনি এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করে তাকে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিতে হয়। এক ঘৃণিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিদায় নিতে হয় ইয়াজউদ্দিনকে। তবে সেদিন যারা তাকে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে মানুষের বাহবা পেয়েছিলেন পরে দেখা যায় ক্ষমতার লোভ তাদেরও কম নয়। শেষ পর্যন্ত রক্ষা ইয়াজউদ্দিনের সিংহাসনে মইনউদ্দিন বসতে পারেননি।

এই না বসতে পারার পেছনে জনমত গঠনে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জিল্লুর রহমানের অবদান কম নয়। কোটি মানুষের শুভকামনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। তবে মানুষের সেই শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত কতোটুকু থাকবে তা নির্ভর করছে তাঁরই ওপর। লক্ষ্মীপুরের তাহেরের ছেলের মৃত্যুদণ্ড মার্জনা করার মতো ঘটনার জন্ম দিয়ে সেই সর্বজনীন সম্মান তিনি রাখতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রাষ্ট্রপতির সম্মান রাখার দায়িত্ব তার দল আওয়ামী লীগেরও কম নয়, যে দলের জন্য তিনি তার পুরো জীবনই উৎসর্গ করেছেন। আওয়ামী লীগ যদি জিল্লুর রহমানকে দিয়ে ঝিন্টু-বিপ্লবের মতো ঘটনা আরো ঘটায় তাহলে সেই জিল্লুর রহমানকে সবাই হারাবে যে জিল্লুর রহমানকে চেনে বাংলাদেশ।

২.
আওয়ামী লীগের যা খুশি তাই করার মানসিকতা থেকে উঠে আসছে সেই আবু তাহের বীর উত্তমের কথা, যে বীর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি পা হারিয়েছেন। উঠে আসছে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরিদের কথাও। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করেই কর্নেল তাহের এবং তাঁর জাসদের উত্থান। তবে কর্নেল তাহেরই সেই মানুষ, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মেজর জিয়াউদ্দিনের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে, যিনি রেডিও স্টেশনে এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সামনে নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল, বঙ্গবন্ধু নন।

কিন্তু আজ তাঁর উত্তরসূরি হাসানুল হক ইনু এবং মইনুদ্দিন খান বাদলরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমনভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছেন যে সেখানে কর্নেল তাহেরের আদর্শের অনেক কিছুই আর থাকছে না।

কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের হত্যাবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে তাই বলতেই হচ্ছে অনেক দিক দিয়েই দ‍ুর্ভাগা তিনি। যে জিয়াউর রহমানকে তিনি উদ্ধার করেছিলেন সেই জিয়াই তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। আর যে রাজনীতির উত্তরাধিকার তিনি রেখে গেছেন তারা হতাশা বা অন্য যে কারণেই হোক, আজ কর্নেল তাহেরের আদর্শ ধরে রাখার চেয়ে লক্ষ্মীপুরের তাহেরদের দল আওয়ামী লীগের কাছে আত্মসমর্পণ করাতেই রাজনৈতিক স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল আই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।