ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

পৃথিবীর ভাগ্য বদলের অনিশ্চয়তা থেকেই যায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৬
পৃথিবীর ভাগ্য বদলের অনিশ্চয়তা থেকেই যায়

‘মার্কিন নির্বাচন নিয়ে মতামত দিন বাংলানিউজে’ শীর্ষক বিশেষ আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলানিউজের পাঠক রহমান হেনরী মত প্রকাশ করেছেন এভাবে-

গত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি মার্কিন নির্বাচনে সতর্কতার সঙ্গে নজর রেখেছি। নয়ের দশকে সমগ্র পূর্ব ইউরোপ জুড়ে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ক্রমিক পতনের পর, এক মেরু বিশ্ব ব্যবস্থায় মার্কিন নির্বাচন প্রকারান্তরে সারা দুনিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে।

বিশেষত, মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা, তৃতীয় দুনিয়ার দেশগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের সূচনা, এরকম অনেক কিছুই মার্কিন প্রশাসনের অভিরুচি নির্ভর। এসব কারণেই মার্কিন নির্বাচনে নজর রাখা।

এবারের মার্কিন নির্বাচনে দেশটির ৪৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। সর্বশেষ জনমত জরিপে, হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিস্ময়করভাবে প্রায় সমান-সমান। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দুই সপ্তাহ এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহটা আমি মার্কিন মুল্লকের ওয়াশিংটনে ছিলাম। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয়, জর্জ ওয়াশিংটনের জন্মগৃহ ও শৈশবের এলাকা রেডব্রিক সিটিতে (ভার্জিনিয়া, কার্লাইল এলাকায়) ছিলাম। যেটি ওল্ড ওয়াশিংটন সিটি। সেখানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক উভয় দলের কর্মীদের সঙ্গেই আমার একাধিক সন্ধ্যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ হয়েছে।

সাধারণ মার্কিন ভোটাররা অবশ্য খুবই মুখচোরা। পেটে বোমা মারলেও কোনো কথা তারা মুখে প্রকাশ করে না। তাছাড়া অনেক মার্কিন নাগরিকই তাদের রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার ব্যাপারে বাস্তবিকই কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার কথাও জানিয়েছেন। নির্বাচন যখন দোরগোড়ায়। তখন শোনা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ ভালো অবস্থানে আছেন। ক্ষেত্রে বিশেষে হিলারির চেয়েও ট্রাম্প এগিয়ে। কিন্তু এটা শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসবে না। হিলারি ক্লিনটনই হতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।  

মার্কিনিদের দূর থেকে বা বাহির থেকে যতটা নির্লিপ্ত ও উদাসীন মনে হয়। তারা আসলে তেমনটি নন। একুশ শতকের পৃথিবী নানা ধরনের বিরূপ বিশ্ব পরিস্থিতির ইঙ্গিত নিয়ে হাজির হয়েছে। এমনকি, একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথাও বিস্মৃত নন মার্কিনিরা। মার্কিনিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জেনেছি যে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা আর যাই করুক, তাদের জন্য একজন নারী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবার ইতিহাস সৃষ্টিকে বিঘ্নিত করবেন না। কিন্তু প্রবাদ আছে- ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে একজনই থাকেন, তাদের মুখের আদলটাই শুধু বদলায়। ’ এটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতির স্থিতিশীলতাকে বোঝাতেই বলা হয়। তবে গোটা দুনিয়াজুড়ে যে অস্থিরতা, সহিংসতা এমন পরিস্থিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেই হোক কেন, পৃথিবীর ভাগ্য বদলের অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।

রহমান হেনরী
কবি, বিশ্বকবিতার বাঙলায়ন কর্মী
বাংলাদেশ সরকারের মেধাসম্পদ বিভাগে কর্মরত

পাঠকের অন্য আরও মতামত পড়তে...

** ‘হিলারিকেই এগিয়ে রাখতে চাই, কারণ ট্রাম্প বির্তকিত’

** ‘তরুণ আর অভিবাসীদের ভোটই হবে হিলারির ট্রামকার্ড’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
টিআই

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।