ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সাংবাদিকতায় আমার আত্মবিশ্বাসের অধ্যায় ‘কলেজিয়েট’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
সাংবাদিকতায় আমার আত্মবিশ্বাসের অধ্যায় ‘কলেজিয়েট’ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল

আমার সাংবাদিকতার দীক্ষাগুরু ও ফিলোসোফার তিনি। চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই নগরীর গুরুত্ব তুলে ধরার যাত্রা শুরু করেছিলেন ১৯৯২ সালে দৈনিক ভোরের কাগজের মাধ্যমে।

আমার সাংবাদিকতার দীক্ষাগুরু ও ফিলোসোফার তিনি। চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই নগরীর গুরুত্ব তুলে ধরার যাত্রা শুরু করেছিলেন ১৯৯২ সালে দৈনিক ভোরের কাগজের মাধ্যমে।

এর তিন বছর পর এই জাতীয় দৈনিক ‘চলমান চট্টগ্রাম’ নামে চার পৃষ্ঠার বিশেষ সাপ্লিমেন্ট প্রকাশ করতো প্রতি সপ্তাহে। তখন থেকেই ভোরের কাগজের দ্রুত উত্থান। এই কাগজের দেখাদেখি অন্যরাও শুরু করলো চট্টগ্রামকে গুরত্ব দেয়া। এতে সংবাদ কর্মীদেরও মর্যাদা বাড়তে থাকলো।

ভোরের কাগজে তখন সম্পাদক ছিলেন বর্তমান প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি আসবেন চট্টগ্রামে, অফিস করা হবে, সংবাদকর্মী নেয়া হবে ভোরের কাগজের জন্য। মিটিং হবে আমার গুরুর কাজীর দেউড়ির বাসায়। এর আগের দিন তিনি আমার বাসায় গিয়ে, আড্ডার জায়গায় খুঁজে আমাকে না পেয়ে  খবর দিয়ে গেলেন যাতে মিটিংয়ে যোগ দেই।

আমার দীক্ষাগুরু আর কেউ নন। তিনি বিখ্যাত সাংবাদিক, কবি ও কলামিস্ট আবুল মোমেন।

আমার বাবা সামান্য বেসরকারি চাকরিজীবী। কলেজে আমাকে বই কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিলো না বাবার। পাঠালেন আমারই এক শিক্ষকের কাছে। সেই শিক্ষক বিভিন্ন লেখকের বই সৌজন্য হিসেবে পেতেন। এসব পাঠ্যবই আমাকে বিনা পয়সায় দিয়ে দিলেন পড়তে। সেই থেকে তিনিও আমার এক প্রিয় শিক্ষক। আমার প্রথম জীবনের খেলাধুলা বিষয়ক রিপোর্টিংয়েরও গুরু ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল
 
এই গুরু হলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, চট্টগ্রামের কমার্স কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর শায়েস্তা খান।

আর আমার এই দুইজন গুরুই হলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। আমি নিজেও ১৯৮৪ সালে বিখ্যাত ও নামকরা এই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করি।

এই স্কুলের বয়স এখন ১৮০ বছর। ভাবতেই মনটা অন্যরকম এক ভালোলাগায় ভরে যায়। মনে পড়ে ১৯৭৯ সালে প্রথম যখন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম সেই দিনটির কথা।   কঠিন ছিল সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শেষে বাবা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভর্তি হতে পারবে তো? আমি দ্বিধা সংশয় আর আতংক নিয়ে বলেছিলাম, হয়তো পারবো। বাবার কঠিন শাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই আমার এই অসহায় জবাব। পরদিন প্রশ্নপত্র হিসেব করে দেখি আমি ১০০ নম্বরের মধ্যে বড় জোর ৩৭ নম্বর পাব। পেয়েছিলামও তাই। সেবার ভর্তি হওয়ার সর্বশেষ নম্বরও ছিল ৩৭! তাই আমিও পেয়ে গেলাম ভর্তির সুযোগ।

ভর্তি হয়ে স্টেডিয়ামের কাছের বাসা থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর। ভর্তি পরীক্ষার মতোই টেনে-টুনে পাশ করেছি সব ক্লাসেই। আমার আতংকের সাবজেক্টের নাম ছিল আরবি। ক্লাস সিক্স থেকে এইট পর্যন্ত ছিল এই সাবজেক্ট। তিন বছরে নয়টি পরীক্ষায় এই আরবিতে পাশ করেছি মাত্র একবার! এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায়ও ফেল আমি। বাবা গিয়ে শিক্ষকদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করালেন। এসএসসি পাশ করলাম বাণিজ্য বিভাগ থেকে সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে।

স্কুলের স্মৃতি বলতে স্যারদের কথাই বেশি মনে পড়ে। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখা, ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার কথাও ভুলি কীভাবে? আমাদের স্যারদের একেক জনের একেক রকম বৈশিষ্ট্য ছিল। বিভিন্ন নামও তাদের আমরা দিয়েছিলাম। শিক্ষকদের এসব নাম নিয়ে এখনো বন্ধুদের মাঝে হাস্যরস হয়। তবে আমরা আমাদের শিক্ষকদের শ্রদ্ধাই বেশি করতাম। আর এখেনা করি।

কলেজিয়েটের শিক্ষকরা যেমন অংক, ইংরেজি, বাংলায়, বিজ্ঞানে খ্যাতিমান ও দক্ষ ছিলেন, তেমনি ছাত্ররাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন । যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেট অধ্যায়ের অন্যতম আলোচিত নাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার বড় ভাই নুরুল আবেদীন নোবেল, ফজলে বারি খান রুবেল-এরা সবাই জাতীয় দলে খেলেছেন। বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক আশিষ ভদ্রও কলেজিয়েটের। মঈনুল আলম কিং ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের দুর্দান্ত অ্যাথলেট। পাকিস্তান আমলের অ্যাথলেট ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক শাহেদ আজগর চৌধুরীও ছিলেন কলেজিয়েটের। এইসব নিয়ে আমাদের অনেক গর্ব আর অহংকার।

শিক্ষাজীবন শেষে যখন কর্মক্ষেত্রে ঢুকেছি অনেক কলেজিয়েটের দেখা মিলেছে।

তখন দৈনিক প্রথম আলোতে, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার। আবুল মোমেন তখন আবাসিক সম্পাদক। বিশ্বজিৎ চৌধুরী সহযোগী সম্পাদক। আর আমি। প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিসের তখনকার আটজন সংবাদ কর্মীর মধ্যে আমরা এই তিনজন সাবেক কলেজিয়েট।

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যোগাযোগ করতে হতো বিভিন্নজনের সঙ্গে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যেত তিনি প্রাক্তন কলেজিয়েট। আমি যখন ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার। শিপিং বিষয়ক রিপোর্টের জন্য হঠাৎ যোগাযোগ হলো কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপাঠি আহসান ইকবাল চৌধুরী আবিরের সঙ্গে, বাংলাদেশের শিপিং ব্যবসার প্রায় ২০ শতাংশ তার একক নিয়ন্ত্রণে-যা একক কোনো কম্পানি হিসেবে শীর্ষে। অনেক বছর পর আমরা একসাথে মিলিত হতে পেরে বেশ আনন্দিত ও আবেগ আপ্লুত। সাথে আমার প্রাইমারি স্কুলের সহপাঠি ও সাবেক কলেজিয়েট শহিরও ছিল। সেই আড্ডায় অনেক স্মৃতিকথা আমাদের। একটু বদলায়নি কেউ। যেন কলেজিয়েটেরই সেই পুরনো দিনে আমরা।

আমার ব্যাচমেটদের মধ্যে আবিরের নেতৃত্বগুণ অসাধারণ। সহজ সরল অথচ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, একইসঙ্গে কৌশলীও। তার নেতৃত্বেই আমরা সংগঠিত হলাম ১৯৮৪ সালের ব্যাচ। এই ব্যাচ একটু ব্যতিক্রম। প্রথমবারের মতো নিজেদের টাকায় স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছে ছাত্রদের জন্য। বানিয়েছে শহীদ মিনারও। বানাতে চায় আরো অনেক কিছু। অনেক পরিকল্পনা, অনেক সৃজনশীল চিন্তা এই গ্রুপের। স্কুলের মেইনগেট দিয়ে ঢুকে খালি ধূলাবালিযুক্ত জায়গাটা নিজেদের খরচে পাকা করে দিতে চায় তারা। শুনেছি আমাদের ব্যাচের মতো ১৯৮৬ সালের ব্যাচও এই ধরনের কাজে এগিয়ে এসেছে।

স্বাগত জানাই তাদের। অভিনন্দনের উৎসবও করা যেতে পারে তাদের কল্যাণকর এসব কাজের জন্য। কারণ একটাই। এটি একটি সরকারি স্কুল। সরকারের কাছে ধর্ণা ধরে না থেকে নিজের স্কুলের উন্নয়ন অগ্রগতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার এক অন্যরকম যাত্রা। আশা করি তাদের মতো আরো অনেকেই এগিয়ে  আসবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ। সরকারের সীমিত সম্পদ আর সামর্থ্য। সব সরকার করবে এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার নজির তৈরি করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে কেবল। আমাদের দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
    
পেশাগত জীবনে এসে কলেজিয়েটের এমনসব প্রাক্তনদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটলো যারা আমার কর্মদক্ষতার জগতকে ব্যাপ্তিময় করে তুলতে সাহায্য করেছেন। আমার আত্মবিশ্বাসের জগতকে আলোকিত করেছেন।

দৈনিক আজাদীর সম্পাদক জনাব এম এ মালেকের কথা বলতে চাই। ৭৬ বছর বয়েসী এই সম্পাদকের এমনসব গুণ রয়েছে, যা আমাকে সারক্ষণই অনুপ্রাণিত করে। তার সঙ্গও বেশ আনন্দদায়ক। তার সঙ্গে আমি ইউরোপ ট্যুরে গিয়েছিলাম সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে মনে হয়েছে তিনি এখন চট্টগ্রামের জীবন্ত কিংবদন্তী। এম এ মালেক একজন প্রাক্তন কলেজিয়েট।

দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ। সে গ্রুপের ডিএমডি আবু সাঈদ চৌধুরী বাবলু আর পরিচালক শাহ শফিকুল ইসলাম লাভলু। এরা দুই ভাই। তুলনামূলকভাবে বয়স কম হলেও শিল্প-বাণিজ্যের জগতে অনেক দক্ষ তারা। এই সংক্রান্ত অনেক তথ্য তাদের কাছে। বিনয়ী যেমন, তেমনি সংবেদনশীলও। এরাও পাশ করেছেন কলেজিয়েট থেকে।

দেশের অন্যতম আরেক শিল্প প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপ। ৩৮ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারি তাদের। সেই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান। পোশাকে, কথায়, আচরণে আধুনিক মানুষের প্রতিচ্ছবি। শুধু মানুষের নয়, করপোরেট দুনিয়ার আধুনিক ম্যানেজমেন্টের প্রতিচ্ছবিও তিনি। ভারতে পড়তে যাওয়ার আগে তিনিও ছিলেন এই কলেজিয়েটের ছাত্র।

পিএইচপি গ্রুপ। সাত ভাই পরিচালক। সাতজনের চারজনই পড়েছেন কলেজিয়েটে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী। কর্পোরেট প্রজ্ঞা, বুদ্ধি আর সাবলীল কথা বলায় তার জুড়ি মেলা ভার। তার বড় ভাই মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী-তার বড় মনের সুনাম রয়েছে। আলী হোসেন সোহাগ দেখেন পিএইচপির ফিন্যান্স। উপরে তিনি কঠিন মানুষের ভাবমূর্তি ধারণ করলেও ভেতরে ভেতরে সহজ-সাধারণ-মানবিক।

কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের কথা বাদ দিই কীভাবে? তার অফিসে গেলে তিনি তার ছেলেদের ডেকে এনে পরিচয় করিয়ে দেন-‘ইনি আমার স্কুল কলেজিয়েটের ছাত্র’। মোহাম্মদ শাহজাহানের মতো মানুষ আমি আর একটিও খুঁজে পাইনি আমার সাংবাদিকতা জীবনে। তিনি অন্তর্মুখী স্বভাবের, কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক, আবার সফল ব্যবসায়ীর ইমেজও রয়েছে। বড় ব্যবসা করেন, শিল্প সামলান কিন্তু করপোরেট দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু পাবলিক রিলেশনকে ব্যক্তিগতভাবে একেবারেই পাত্তা দিতে চান না। মানুষের  কাছাকাছিও খুব বেশি আসেন না। তার যতো ব্যতিক্রম আর আবেগ শুধু কলেজিয়েটের ক্ষেত্রে। ভীষণ ধর্মপ্রাণও তিনি।
 
এদের কথা এই কারণেই বললাম যে, দেশ-বিদেশের ব্যবসা বাণিজ্য আর অর্থনীতির জগতে এদের ভাবনা-চিন্তা যে কাউকেই আন্দোলিত করবে, আলোড়িত করবে। ফলে সংবাদকর্মী হিসেবে এইসব সফল মানুষের সান্নিধ্য, সাহচর্য আমাকে অন্যরকম করে ভাবতে শিখিয়েছে। তাদের কারণেই আমার সাংবাদিকতার কল্পনাশক্তিও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইতিবাচক বা পজিটিভ পথে হাঁটতে শুরু করে।

এবার একটু অন্যরকম গল্প বলি। কয়েক মাস আগে ঢাকার মহাখালীতে বিএনপি আমলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খানের অফিসে আমরা। আমরা মানে আমি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবুল মোমেন, দৈনিক সুপ্রভাতের সম্পাদক রুশো মাহমুদসহ আরো একজন। কথায়-গল্পে, হাস্য-রসে, তথ্যে-তত্ত্বে জানা গেল এই পাঁচজনই কলেজিয়েটস। আবুল মোমেন আমাকে সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন একেবারে হাতে-কলমে। সৃজনশীল চিন্তা-মানবিক মূল্যবোধ আর নিরহংকারের প্রতীক তিনি। তার সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্কের মতো। তার ছায়ায়-আদরে-মায়ায়-পশ্রয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। তিনি আমার জীবনে পথ চলার ফিলোসফার। এম মোর্শেদ খানের রসবোধের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। কথায় কথায় উপমা- শ্লোক- জোকস বলতে পারেন অনবদ্যভাবে। আড্ডার মধ্যমণির নিয়ন্ত্রণ আপনাআপনিভাবে চলে যায় তার দখলে।
   
‘কলেজিয়েট স্কুল’ আমার অর্থাৎ রফিকুল বাহারের ২৬ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের সাথে মিশে আছে অবিচ্ছেদ্য হয়ে। আত্মবিশ্বাসের অবিস্মরণীয় এক অধ্যায় এই কলেজিয়েট। কলেজিয়েট, কিংবা কলেজিয়েটের এই মানুষগুলোর কারণেই
চেতনায় জাগ্রত হয়েছে মানবিকবোধ। যা হয়ে থাকবে সারা জীবনের পাথেয়। সাংবাদিক রফিকুল বাহার
 
রফিকুল বাহার: আবাসিক সম্পাদক, একুশে টেলিভিশন, চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিস।

বাংলাদেশ সময় ০৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।