ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

খালেদা জিয়ার কালো টাকা...

কান টানলে মাথা আসবে!

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১
কান টানলে মাথা আসবে!

টাকা খেয়ে বা ঘুষের বিনিময় রায় দেবার যে অভিযোগ খালেদা জিয়া দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এনেছেন তাতে যেন গুরুত্ব দেয় সরকার তথা রাষ্ট্র। সরকার যদি এ ব্যাপারে গাইগুই করে তাহলে হাইকোর্ট যেন সুয়োমটোর আকারে গুরুতর অভিযোগটিকে আমলে নেন।

কারণ খালেদা জিয়া দেশের এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের প্রধান এবং দেশের ছায়া-প্রধানমন্ত্রী। নিজে তিনি দুর্নীতি করেন না অথবা দুর্নীতি পছন্দ করেন না বলেই দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

দেশের এমনিতেতো দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত আর কোনো প্রতিষ্ঠান নেই! যা একটু ছিটেফোটা আস্থা বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আছে, তা রক্ষার জন্যেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।  একই সঙ্গে অভিযোগকারীর স্বচ্ছতাও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদান গ্রহণ যদি কোনও বিচারপতির দুর্নীতি হয়, তাহলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এমন টাকা-পয়সা তিনি কোনও কোন রায় নিজের মতো নেবার জন্য দিয়েছিলেন, তা জনগণকে জানাতে হবে।

তার আয়-রোজগার আর জীবনযাপনের সমুদয় ব্যয়ের উৎসও জানাতে হবে জনগণকে। কেন তাকে কালো টাকা সাদা করতে হয়েছিল, ওইসব টাকার উৎসও জানাতে হবে দেশের মানুষকে। তার যে দুই ছেলে বিলাতে এবং সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল ভিলাবাড়ি আর ফ্ল্যাটে থেকেছে বা থাকছে, চাকরি বা ব্যবসা কোন পথে কিভাবে বিদেশে তাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের পড়াশুনাসহ রাহাখরচ চলছে তা জানাতে হবে জনগণকে। সরকার যদি তা না করে বা ঘাঁটাঘাটিতে যেতে না চায় তাহলে আদালত এ ব্যাপারে সরকারকে বাধ্য করতে পারে।

আর আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে, সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে বিচারপতি খায়রুল হকের সম্ভাবনা নস্যাতের ‘বদ মতলবে’ খালেদা তাকে  ইচ্ছাকৃত বদনাম-কুৎসা দিয়ে থাকেন, সেটিও স্পষ্ট করতে হবে জনগণের কাছে।

উল্লেখ্য, এর আগে খালেদার আমলে এরশাদের সঙ্গে `ক্যাসেট কেলেঙ্কারি` ফাঁস হলে একজন বিচারপতিকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়। বাগেরহাট বিএনপির সাবেক সভাপতি ওই বিচারক পদত্যাগ করে চলে গেলেও কেলেঙ্কারির শরিক এরশাদের বিচার ছাড়াই মামলাটি হিমাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারবিভাগের দুর্নীতির নতুন অভিযোগ যখন বেগম জিয়া তুললেনই, একই সঙ্গে সেই ক্যাসেট কেলেঙ্কারির বিচারের কী হলো তাও একই জনগণকে জানানো বিচার বিভাগের ফরজ দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিরোধীদলের নেত্রী তার সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে রায় দেবার অভিযোগ তোলেন। টাকার অংক খালেদা জিয়া না বললেও বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি আলো করা একমাত্র সংখ্যালঘু নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দশ লক্ষ টাকা! যা কিনা খালেদা জিয়ার মাত্র পাঁচ মাসের বাড়িভাড়ার সমান! পঞ্চম সংশোধনী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, সেনানিবাসে বাড়ি, ছেলেদের দুর্নীতির মামলা সহ নানা কারণে বিচারপতি খায়রুল হকের ওপর মহা ক্ষিপ্ত খালেদা জিয়া! সেটি যে কারণে হোক, পুরো বিষয়টি দুর্নীতি কিনা, দুর্নীতি হয়ে থাকলে এর প্রতিকার বিচার বিভাগকেই নিশ্চিত করতে হবে।

বিচারপতি খায়রুল হক ছাড়াও এর আগে কখন কোন বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য কত টাকা নিয়েছেন, সে ফিরিস্তি উপস্থাপন করা হয়েছে সংসদীয় কমিটিতে। এর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে আমাদের বিচারপতিদের অসহায়ত্ব। আর্থিক দৈন্য! আমাদের এখানকার কেউ সরকারে থাকলে তাঁর শাড়ি-কাপড়, পরিচ্ছদ থেকে চিকিৎসার সমুদয় দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এই লোকজন আবার সারাদিন জনগণের উদ্দেশে বাকোয়াজি করলে নিজেদের চিকিৎসা বা মেডিক্যাল চেকআপ করান বিদেশে!

দেশে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড বা স্কয়ার হাসপাতালের নিচে নামেন না। আর বিচারপতি বা তাদের স্ত্রী সন্তানেরা অসুখে পড়লে নীরবে গোপনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পাতেন! এখন প্রধানমন্ত্রী টাকা তার কল্যাণ তহবিল না ত্রাণ তহবিল থেকে দেন বা দিয়েছেন, তা আবেদনকারী জানবেন কী করে! এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং দলটির ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে পদচ্যুত পূর্তমন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের একজন প্রধান বিচারপতি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে চার নম্বর ব্যক্তি হয়ে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা নেবার মতো দু:স্থ ব্যক্তি কিনা তা তদন্ত করে বলতে হবে।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বক্তব্য কোর্ট আমলে নিতে পারে। তাহলে সরকার এবং রাজনীতিবিদের কোর্টে দাঁড়িয়ে সাফ সাফ কথা বলতে হবে। বা আদালত তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারে। তারা রাজনৈতিক নেতা, এমপি-মন্ত্রী বা সামরিক-বেসামরিক আমলারা ওষুখে পড়লে চিকিৎসার টাকা বা সিএমএইচসহ নানা ব্যবস্থার অভাব হয় না, শুধু বিচারপতিদের কেন হয়? বিচারপতিদের কেন শরমে লুকিয়ে হাত পাততে হয় রাষ্ট্রের কাছে, রাষ্ট্র তা মঞ্জুর করলে পরে কথা শুনতে হয়, কেনই বা তাদের সারাজীবনের কষ্টে সততার ভাবমূর্তিতে এক কথায় কালিমা লেপে দেবে রাজনীতিকরা!

এরপর তা তারা ভবিষ্যতে নেবেন কিনা বা নেওয়া উচিত কিনা, অসুখে পড়লে নিজের টাকা নেই বলে বিনা চিকিৎসায় নীরবে মরে যাবেন, এসব বিষয় রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা, রাজনীতিকদের ডেকে বিচারবিভাগ তা জানার চেষ্টা করতে পারে।

অথবা আমিকাস কিউরি নিয়োগ করেও কোর্ট এসব বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে পারে। এই সুযোগে কোর্ট রাষ্ট্র আর এসব আইনপ্রণেতা রাজনীতিকদের কাছে শুধু তাদের নিজেদের কথা না, এদের কাছে বাংলাদেশের জিম্মি জনগণের অবস্থার কথাও জানতে চাইতে পারে। সংবিধানে আছে নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের। আইন প্রণেতারা এসব মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার করে শপথ নেন। তা তারা পালন করেন কী, না এসবকিছুর নামে গলাকাটা সব ব্যবসা বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, এসব বিষয়েও সাফ বক্তব্য-নির্দেশনা দরকার।

অষ্ট্রেলিয়ার সংবিধানেও একই ব্যবস্থাগুলো থাকাতে এখানে এদেশের নাগরিকদের চিকিৎসার টাকার চিন্তায় মরে যেতে হয় না। কারণ এখানে সে উদ্বেগের দায়িত্ব সরকারের। ক্যান্সারসহ সব জটিল ব্যয়বহুল চিকিৎসার সমুদয় ব্যয় এদেশের সরকার যোগায়। চিকিৎসার টাকাপয়সার প্রসঙ্গ যখন উঠেছে তখন এই সুযোগে রাষ্ট্র, সরকার, আইন প্রণেতা রাজনীতিকদের এসব বিষয়ে জবাবদিহির সুযোগটাও যেন নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার বক্তবে বিএনপির কেউ কেউ উপরের দিকে থু থু ছোঁড়ার পরিণাম নিয়েও  আতঙ্কিত। কারণ এভাবে থু থু ছোঁড়াটা নাকি এক ধরনের মানসিক রোগ! মানুষ স্বাভাবিকভাবে না, রাগের মাথায় অথবা একটু আওলাইয়া গেলেই নাকি তা করে! আবার এভাবে থু থু ছুঁড়ে মারতে গেলে যে তা উল্টো নিজেরই ওপর পড়তে পারে তা ভাবে না বা রাগের মাথায় তা ভাবতে পারে না!

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক টাকা খেয়ে তথা ঘুষ খেয়ে রায় দিয়েছেন, তাদের দলনেত্রীর এমন একটি দায়িত্ব কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যকে তাদের অনেকে শোনা যাচ্ছে সেভাবে দেখছেন। এখন তার এই বেফাঁস কথাটি ঢাকতে গিয়ে দলটির এক নেতা এক ধরনের কথার মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন আসলে তারা যে বিষয়টি নিয়ে কত ঝামেলা-বিশৃংখলার মধ্যে আছেন!

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নেওয়াসহ পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি করলেও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন আর দলের সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছন অন্যকথা।

রাজনৈতিক ওই বক্তব্য আদালতের আমলে না নিতে তারা অনুরোধ করেছেন।

কারন তারা তাদের ম্যাডামকে জানেন। কোন কথার প্রতিক্রিয়ার কেচোঁ খুঁড়তে কোন সাপ বেরিয়ে যেতে পারে সে আশঙ্কা তাদের মনে। গত আড়াই বছর ধরে তারা শুধু এই ম্যাডামকেই সামাল দিচ্ছেন! তার বাড়ি, ছেলেদের দুর্নীতি, বাড়ি হারিয়ে হাউমাউ কান্না এসবই সামাল দিচ্ছেন! বিএনপির এই নেতার আরেক যৌক্তিক উদ্বেগ হচ্ছে, খালেদার স্বামী তথা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তার রাজনৈতিক শত্রুরাও কিন্তু কোনওদিন টাকা-পয়সার অভিযোগ আনতে পারেনি। কিন্তু খালেদা জিয়া বা তার ছেলেদের ব্যাপারে সে গৌরবটি নেই।

তাই এই নেতারা জানেন বিষয়টি আদালত পর্যায়ে গড়ালে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। এর মাঝে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার অভিযোগে খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। বক্তব্য প্রত্যাহার আর অপরাধের ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করেছে কমিটি। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদও বলেছেন বক্তব্যটির মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছেন  বিরোধীদলের নেত্রী।

ওয়াকিবহালরা জানেন, এখন বিষয়টি আদালতে গড়ালে উপরের দিকে ছোঁড়া থু থু সমগ্র কোথায় কার গায়ে গিয়ে পড়বে! নানান নথি চলে আসবে কোর্টে। চলে আসবে আগের খালেদার সঙ্গে আজকের খালেদার ফারাক! কর্নেল তাহেরের জীবনভিত্তিক ‘ক্র্যাচের কর্নেল’ বইতেও মিসেস তাহেরের জবানিতে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী খালেদার জীবন বর্ণনা করা আছে। তখন কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসা থেকে ঢাকায় চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বেগম জিয়া। লুৎফা তাহেরের কাছে তিনি জানতে চাইছিলেন, ঢাকায় কোন মার্কেটে গেলে সংসারের বাজার-সদাই কম দামে করা যাবে। সোয়ারিঘাট থেকে মাছ কিনলে তা দামে কেমন সস্তা পড়বে ইত্যাদি!

জিয়া মারা যাবার পর ফজলে লোহানির সঙ্গে টিভি সাক্ষাৎকারে খালেদা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি স্বামী তাকে সংসার খরচের জন্যে মাসে ২ হাজার টাকা দিতেন। সেই টাকায় অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন তিনি! জিয়া মারা যাবার পর জানানো হয় কপর্দকশূন্য খালেদা জিয়া! স্বামী তার জন্যে কিছুই রেখে যাননি। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠক করে দ্রুত পরিবারের জন্য এককালীন নগদ ও মাসিক টাকা-পয়সা, বাড়ি, ছেলেদের পড়াশুনার জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়।

সেই খালেদা জিয়া এখন মাসিক ২ লাখ টাকার ভাড়া বাড়িতে থাকেন! তার দুই ছেলে পরিবার নিয়ে বিলাত-সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় থাকলেও তারা সেখানে কোন চাকরি করেন না। বা বিদেশে চাকরির উপযুক্তও তারা নন। দু’জনেই আবার অসুস্থ। বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের মানুষও এখনও কত ভালো এবং সহনশীল যে আজ পর্যন্ত তাদের প্রবাসজীবনের খরচাপাতি নিয়ে কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি!

এখন বিচারপতিদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়টি আদালতে গেলে কান টানলে মাথা চলে আসার মতো খালেদা জিয়ার দুইছেলের চিকিৎসা-সংসার খরচের উৎস নিয়ে প্রশ্নও কলকল করে চলে আসতে পারে। উল্লেখ্য বেগম জিয়ার বড়ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবার পর তার চিকিৎসার টাকা তোলার উদ্যোগের কথা বলেছিল যুক্তরাজ্য বিএনপি। কিন্তু পরে জানা গেল খালেদা তাতে নিষেধ করে বলেছেন, টাকা তিনি পাঠাবেন।

এরপর থেকে খালেদা তার দুই ছেলের চিকিৎসা আর পরিবার দুটির ভরণপোষণের খরচাপাতি দেশ থেকে না অন্য দেশ থেকে পাঠাচ্ছেন, তা কেউ জানেননা। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও চার সদস্যের একটি পরিবারের খুব গরিবি হালে চললেও মাসে কমপক্ষে চার হাজার ডলার লাগে। আর তারেক-কোকোতো আর গরিব কেউ না! তাদের দু’জনের নামেই সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে থাকা টাকা জব্দ হয়েছে! কিন্তু এরপরেও তারা কখনও টাকার সমস্যায় পড়েছেন এমন শোনা যায়নি।

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসীসাংবাদি

বাংলাদেশ সময় ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।