উৎসব মুখরিত বাংলাদেশ শত বিরূপতা ও বেদনাকে পরাজিত করেই জেগে রয়েছে। এবার ঈদের আগে আগে রথ উৎসবও এসেছে।
একদিকে রথ উৎসব আর অন্যদিকে ঈদ। দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে দুটি উৎসবের ভিন্ন তাৎপর্য ও মর্যাদা আছে। দুটি দিন একেবারেই অন্যরকম দিন। উৎসবময়তার পরশে অনন্য।
ঈদ উৎসব বর্ণিল ও রঙিন। ধনী-গরিব আর শ্রেণী বৈষম্যের কথা ভুলে গিয়ে আমরা সবাই হাসি আনন্দে গা ভাসাই। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মানুষ মিলিত হবে ময়দানে, ঈদগাহে। আনন্দ বেদনা ভুলে বুকে বুকে, হৃদয়ে হৃদয়ে একাকার হবে সর্বস্তরের, সব বয়সের মানুষ।
এবার ঈদ উৎসবে বেশকিছু দুঃখগাঁথা যুক্ত হয়েছে। যথারীতি পথ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা গেছে। তাদের আর ঈদ করা হলো না। তাদের পরিবার-পরিজনও বেদনাহত।
ঈদের কিছুদিন আগে পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলে 'মোরা'-এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। একইভাবে হাওরের কান্না আমাদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে অনেকখানি। ঈদ পালনে সেইসব পরিবার যারা স্বজন হারিয়েছেন; যাদের হাসি মিলিয়েছে হাওরের গভীর পানিতে, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে, পাহাড়ের আড়ালে, তাদের কষ্টের সঙ্গী যেন আমরা হই। আমরা যেন নিজের আনন্দ ভাগাভাগি করি দু:খী মানুষের সঙ্গে। আনন্দ ও উৎসবকে যেন ছড়িয়ে দিই সকলের মাঝে।
যারা বাড়ি ফিরছেন পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করতে তাদের রয়েছে নানা ঝক্কি। তবুও আসে উৎসব। আসে হাসি-খুশি-আনন্দ। শুভ কামনা সকলের প্রতি। উৎসব-আনন্দ শেষে সবাই যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে স্ব স্ব কর্মস্থলে পৌঁছুতে পারেন, এই প্রত্যাশা করি। সুখী সুন্দর জীবনের অনাবিল ঝলকে আলোকিত ও উৎসব মুখর হোক সকলের জীবন। ঈদ মোবারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
জেডএম/