ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আহমেদ

জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে কতো কথা হচ্ছে। তাকে নিয়ে আমি কিছু লিখতে চাই, কিন্তু কী লিখব। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসার রোগে ভোগার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে হিসেবে তার মৃত্যুর পাঁচ বৎসর হয়ে গেলো। দেখা যাক, এলোমেলো ভাবনা থেকে তাকে নিয়ে কিছু লিখতে পারি কিনা।

হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৮২ সাল থেকে। এর আগে থেকেই তার নাম শুনেছি, কিন্তু সাহিত্যকর্ম খুব একটা পড়া হয়নি।

তখন আমি দি এইডেড স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মূসা ভাই-ভাবির পুরাতন মেডিকেল কলোনির বাসায় মা, তাহেরা আপাসহ থাকতাম। বাসার পাশেই পাবলিক পাঠাগার। পাঠাগারের আবার আমি নিয়মিত পাঠক। তাছাড়া তখন মেডিকেল কলোনির বয়েজ ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকায় কলোনির কিছু ছোটভাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দলবেঁধে পাঠাগারে যেতাম।  

দৈনিক বাংলা পত্রিকায় তখন হুমায়ূন আহমেদের ‘দূরে কোথায়’ উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। যা পড়তে ভালো লাগত। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর পাঠাগারে গিয়ে মজা করে তা পড়তাম। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘দূরে কোথায়’ বই আকারে বের হয়। উপন্যাসটি এতোই জনপ্রিয়তা পায় যে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত এর দ্বাদশ মুদ্রণ হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ অনেক পরিশ্রমী লেখক ছিলেন, তাইতো বইয়ের কাহিনী দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত কাহিনীর চেয়ে অনেকখানিই পরিবর্তন করেছেন এবং অনেক অংশই নতুন করে লিখেছেন।

তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিচয় হওয়ার সুযোগ কখনও ঘটেনি। দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন মাঝে মধ্যে টেলিভিশনে হুমায়ূন আহমেদ রচিত নাটক দেখতাম। তার নাটক তখন দর্শক জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। সেই থেকে আমি তার নাটক, সিনেমা, সাহিত্যের ভক্ত।  

মূসা ভাই পড়ালেখার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করতেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখার বেলায় কিছুটা ছাড় পাওয়া যেতো। ভাই খুবই ব্যস্ত মানুষ, পেশায় চিকিৎসক। তাই নিজে নাটক দেখার সময়, সুযোগ খুব একটা পেতেন না। সেজ ভাবিসহ আমরা নাটক দেখার সুযোগ পেতাম। ভাই অবশ্য মাঝে মধ্যে চেম্বার থেকে রোগী দেখা শেষ করে বাসায় এসে নাটকে আমরা কী মজা পাই জানতে চাইতেন। ভাবির কাছ থেকে নাটকের অনেক বিষয় জেনে খুশি হতেন।

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন এমনকি এখনও তিনি আমার প্রিয় লেখক। সাহিত্যের জগতে বলতে গেলে তিনি এক বিপ্লব সাধন করেন। একসময় কলকাতাকেন্দ্রিক লেখকদের যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ ছিলো, তাতে দৃশ্যমানভাবেই আঘাত হানতে সক্ষম হন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি তার সাহিত্যকর্ম দিয়ে এ আঘাত হানেন। স্বতন্ত্রধারা বজায় রেখে পাঠক হৃদয় তিনি জয় করেন। তার বই দেশে-বিদেশে সাড়া জাগায়। তিনি তার সাহিত্য, নাটক, সিনেমার জন্য পেলেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। আমরাও পেলাম দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনকারী এক অন্যন্য সাহিত্যিককে। এক সময় লেখালেখি নিয়ে তার ব্যস্ততা এতো বেড়ে যায় যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা একমাত্র তার বেলায়ই ঘটেছে।

তাকে দু’একবার খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণবিরোধী আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে স্বপরিবারে অবস্থান নেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশের বন্ধু লিটন, ছোটবোন শাপলার সঙ্গে আমিও সেখানে কিছুটা সময় ছিলাম। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তাকে দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায়। চুনি স্কুলে শিক্ষকতার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমাদের সঙ্গে আসতে পারেনি। তখন অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের পাশে ছিলেন গুলতেকিন আহমেদ।

হুমায়ূন আহমেদের অনেক বইয়ের মধ্যে ‘নন্দিত নরকে’, ‘আমার ছেলেবেলা’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘দেয়াল’ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমার ছেলেবেলায় বর্ণিত মাথামোটা শংকর ও পারুল আপার কথা তিনি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে আমার খুব মজা লেগেছে। শংকর লেখকের ছেলেবেলার বন্ধু, কিশোরীমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়তেন। পারুল আপা লেখকের সিনিয়র। কিশোরীমোহন স্কুলের কথা উঠতেই আমার মন আবেগে নেচে ওঠে। কারণ, এই স্কুলে আমি ১৯৭৬ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমরা তখন পাঁচ ভাই মিলে যতরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম। তখনকার সময় বন্ধুদের মধ্যে আমিন, টিটু ছাড়া আমার আর কোনো বন্ধুর নাম মনে নেই। আমিন এখন খলিল গার্মেন্টসের পরিচালক। ঢাকার ধানমন্ডিতে পরিবারসহ বসবাস করে। আর টিটু আমেরিকা প্রবাসী। সে আমেরিকার মিশিগানে পরিবারসহ থাকে।  

ব্যক্তিগতভাবে আমি লেখকের বন্ধু শংকরকে চিনতাম। কারণ, তিনি সিলেটের বন্দর বাজারে পত্রিকা বিক্রি করতেন। তবে হুমায়ূন আহমেদের বন্ধু হিসেবে গর্ববোধ করতেন। লেখক তাকে প্রকাশ্যে বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ‘আমার ছেলেবেলা’ বইতে পারুল আপা প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ বেশ মজার কথা বলেছেন। লেখক বলেন, ‘পারুল আপা ছিলেন যাবতীয় নিষিদ্ধ বিষয়ে তার জ্ঞানদাত্রী। পুরুষ এবং রমণীর ভেতর বাহ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও যে অন্য একধরনের সম্পর্ক আছে তা প্রথম জানলাম তার কাছে’। পারুল আপা অবশ্য লেখককে খুব স্নেহ করতেন!

লেখালেখির জগতে হুমায়ূন আহমেদের আত্মপ্রকাশ ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মাধ্যমে। তরুণ হুমায়ূন আহমেদের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা তখনই টের পেয়েছিলেন প্রখ্যাত লেখক-সমালোচক আহমদ শরীফ, কবি শামসুর রহমান। হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অনেক। পাঠকপ্রিয়তার কারণে তার অনেক বই একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা প্রায় তিন শতাধিক বইয়ের মধ্যে হিমু সংক্রান্ত বই রয়েছে ২৯টি, মিসির আলি সংক্রান্ত বই রয়েছে ২২টি এবং আত্মজীবনীমূলক বই রয়েছে ১৯টি। তার চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে শ্রাবণ মেঘের দিন, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী, চন্দ্র কথা, আমার আছে জল বেশ সুনাম অর্জন করেছে। হুমায়ূন আহমেদের আলোচিত অন্য বইগুলোর মধ্যে বসন্ত বিলাপ বইটিতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত রাজনীতি ও সমাজ, আত্মস্মৃতি, ক্রিকেট, ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব, ঈদের নাটক, নিজের চলচ্চিত্র, মৃত্যুচিন্তা এসব বিষয়ে ২৫টি রচনা, দু’টি গল্প এবং আটটি সাক্ষাৎকার রয়েছে।  

হুমায়ূন আহমেদ ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে ‘দেয়াল’ উপন্যাস লেখা শুরু করেন। বেশ কিছুদিন বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রে তার ক্যানসার চিকিৎসা চলাকালে তিনি নতুন করে ‘দেয়াল’ রচনায় মনোনিবেশ করেন। নানা ঘটনার ঘনঘটায় ঢাকা পড়েনি জীবন সৌন্দর্য আর জীবন সত্যের সন্ধান। ইতিহাসের সত্য আর লেখকের সৃজনী ভাবনা দু’য়ে মিলে ‘দেয়াল’ পরিণত হয়েছে একটি হৃদয়গ্রাহী উপখ্যানে।  

তিনি নানা বিষয়কে সামনে নিয়ে তার সাহিত্য কর্ম রচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে। সারাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া তিনি খুব ভালো বুঝতেন। মানুষের জীবনের বাস্তব চিত্র তার সৃষ্টিতে খুঁজে পাওয়া যায়। সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট শহরকে তিনি খুব পছন্দ করতেন। ছোটবেলায় পিতার চাকরির সুবাদে সিলেটে অবস্থান করায় এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন। হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় সিলেটকে তার প্রিয় শহর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সাহিত্য সংসদে তার যাতায়াত ছিলো। প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে ছোট ভাই প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বোন শেফুকে নিয়ে আসতেন প্রাচীন এই সাহিত্য সংসদ পাঠাগারে।

হুমায়ূন আহমেদ শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি তার বিশাল সাহিত্য কর্মের পাশাপাশি নিজ এলাকা নেত্রকোণায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্কুলে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৬৫ জন অংশ নিয়ে ২৫ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করে।

প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে জন্ম নেন এবং ১৯ জুলাই ২০১২ সালে মৃত্যু হয়। দেশের প্রতি ছিলো তার গভীর টান ও মমত্ববোধ। তাই মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে দেশে এসে ঘুরে যান। তার প্রিয় নুহাশপল্লীও ভালোভাবে দেখে যান।  

লেখকের মৃত্যুর পর খুব মন খারাপ হয়। তবে একটি সান্ত্বনার জায়গা খুঁজে পাই, শাবিপ্রবিতে বড় আকারে একটি শোকসভা আয়োজন করা হয়। এতে লেখকের মা বেগম আয়েশা ফয়েজসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। লেখক কন্যা শীলার বক্তব্য শুনে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

প্রিয় লেখকের প্রতি ভালোবাসার টানে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বপরিবারে কক্সবাজার ভ্রমণের সময় সেন্টমার্টিনে ‘সমুদ্র বিলাস’ দেখে আসি। এই বাড়িটি ঘিরে লেখকের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।  

ডা. মামুন ভাই ও ইলোরা ভাবির সৌজন্যে ২০১৭ সালের ১১ ও ১২ মে কুলাউড়ার গোবিন্দপুর, কাজলধারা সিআরপি গেস্ট হাউসের ১নং বাংলোতে থাকার সুযোগ হয়। সাড়ে তের একরের বিশাল গেস্ট হাউস এলাকায় এসে আমাদের খুব ভালো লাগে। এখানে আসার পর ১২ মে আমরা জানতে পারি যে, ২০০৭ সালে সিআরপি’র এই গেস্ট হাউসে লেখক ১১০ জন সদস্য নিয়ে ১৮ দিন ছিলেন। তখন এখানে ‘আমার আছে জল’ ছবির শুটিং হয়। ছবির শুটিংয়ের সময় ১নং বাংলোতে হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন থাকেন। এই বাংলোতে নায়ক ফেরদৌস ও জাহিদ হাসানও ছিলেন। এসব জেনে ডা. হাফিজ দুলাভাই, নমু আপা, নুজহাতসহ আমরা সবাই মনের আনন্দে পুরো এলাকা ভালোভাবে ঘুরে দেখি। বাবুর্চি মিজান ও আয়া পেয়ারা বেগম হুমায়ূন আহমেদের অনেক প্রশংসা করেন। বাবুর্চি মিজানের রান্না খুবই প্রশংসার দাবিদার।  

তাহেরা আপা, চুনি, মাহনাজ, নাবিহাসহ আমরা সকলে সিআরপি’র পুকুরের পাশে গিয়ে ছবির নায়িকা মীমের আত্মহত্যার দৃশ্য চিত্রায়ণের অবস্থানও দেখে আসি। লেখক হুমায়ূন আহমেদ এখানে অবস্থান করে গেছেন এ সংবাদ পেয়ে আমাদের ভ্রমণের আনন্দমাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায়। গেস্ট হাউসের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভালো, তবে অধ্যাপক ডা. হাফিজ দুলাভাইয়ের বিবেচনায়, এতো সুন্দর পরিবেশ এখানে থাকায় গেস্ট হাউসটি আরও উন্নত ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। গেস্ট হাউসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মারুফ হাসান বয়সে তরুণ ও চমৎকার মানুষ। তিনি আমাদের সার্বক্ষণিক খুশি রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। সিলেট এসে লেখকের প্রতি ভালোবাসার টানে ‘আমার আছে জল’ বইটি কিনে পড়ি।

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে বাংলার সাহিত্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি মৃত্যুর পরও ভালো থাকুন আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ।

সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির
অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলঅই ২৩, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।