তার নামাজে জানাজা সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
মরহুমের জামাতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদউদ্দীন আহামদ তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছিলেন এবং আমরা জিইসি-এর একটি হাসপাতালে তার খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম।
প্রফেসর ফজলি হোসেন ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকদের একজন। তার হাতে গড়ে উঠেছে গণিত বিভাগ। বহু ছাত্র ও শিক্ষকের জন্ম হয়েছে তার হাত দিয়ে। শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান স্মরণীয়।
মুক্তিযুদ্ধেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং শিক্ষাসৈনিক। আজীবন তিনি মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করেছেন। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপস করেন নি।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের এই কৃতি শিক্ষাবিদ তার অমায়িক ব্যবহার ও মধুর আচরণের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার-পরিজনের কাছে ছিলেন শ্রদ্ধেয়। তার মৃত্যুতে চবি একজন অভিভাবকতুল্য স্বজনকে হারালো। তার আত্মার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।
তিনি ১৯৩৩ সালের ১৭ নভেম্বর মিয়ানমারের প্রোম শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নেরর হোসেনপুর গ্রাম।
ড. মাহফুজ পারভেজ: কবি-গল্পকার-গবেষক, প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭/আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা
বিএসকে/জেডএম