এই ভুল থেকে বাদ পড়েনি দেশের বৃহত্তম উপজেলা 'ফটিকছড়ি' এর নাম। বাংলায় শুদ্ধ করে লিখতে পারলেও ইংরেজিতে ঘটে যত ঝামেলা।
ব্যক্তিত্ববিহীন অনেক ব্যক্তিরই দাবি- নামের বানানে ভুল নেই; অথচ নাম বিভিন্ন ভাষার শব্দভাণ্ডারেরই অংশ এবং প্রতিটি শব্দেরই একটি করে শুদ্ধ বানান আছে। ভুল বানানে নাম লিখে 'নামের বানানে ভুল নেই' বলে ওই ভুলকে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস নিজের নিরেট মুর্খতাকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা মাত্র।
ব্যাকরণবিদরা Fatikchhari বানানটিকে শুদ্ধ বলে মত দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবেও শেষোক্ত বানানটি ব্যবহৃত হচ্ছে। পাসপোর্ট-সার্টিফিকেটসহ যাবতীয় সরকারি ওয়েবসাইট ও নথিপত্রে শুদ্ধভাবে ফটিকছড়ি লেখা হচ্ছে। তাই আসুন, আজ থেকে আমরা সকলে 'ফটিকছড়ি'র ইংরেজি বানান শুদ্ধ করে (Fatikchhari) লিখি।
রূপচর্চার মতো বানানও একটি চর্চা বিশেষ। আমরা প্রতিদিন যেভাবে ত্বকের যত্ন নিই; যেদিন যে বানানগুলো নিয়ে সন্দেহ জাগে, সেদিন সেভাবে সে বানানগুলো বাংলা একাডেমির অভিধান থেকে দেখে নিলে শেখাটা হয়ে যায়। শেখায় অগৌরব নেই, অগৌরব আছে ভুল বানানে নির্লজ্জভাবে লেখার ভেতরে। ভুল বানানে লিখলে কেউ মরে যায় না, শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না; ক্ষতিটা হয় অদৃশ্য মেরুদণ্ডের। ভুল বানানে লিখতে লিখতে মেরুদণ্ডটা ক্রমশ ক্ষয়ে যায়, হয়ে যেতে হয় কেঁচোর মতো অমেরুদণ্ডী।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
জেডএম/