পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ নভেম্বর সকালে শহীদ খায়রুল কয়েকজন সহযোগী নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে রাজাকারদের একটি ক্যাম্প দখল করার সিদ্ধান্ত নেন। চরপুমদী বাজার থেকে এক রাজাকার শহরের ডাকবাংলোয় আর্মি ক্যাম্পে এ খবর পৌঁছে দেয়।
রাজাকারের কাছে খবর পেয়ে শত শত পাক আর্মি আর রাজাকার মিলে ঘিরে ফেলে প্যারাভাঙ্গায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট দলটিকে। ভোরবেলায় তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। বিপুলসংখ্যক শত্রুর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা নেই বুঝে খায়রুল মুক্তিযোদ্ধা দলটিকে রক্ষা করার জন্য শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখার লক্ষ্যে মেশিনগান দিয়ে গুলি করতে থাকেন এবং সহযোদ্ধাদের সরে পড়ার সুযোগ করে দেন।
তাঁর এই অসীম সাহসিকতা ও আত্মত্যাগে মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি সেদিন রক্ষা পায়। কিন্তু পাক হানাদার আর রাজাকারদের বৃষ্টির মতো নিক্ষিপ্ত মেশিনগানের গুলিতে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুতর আহত হন। রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ার পূর্ব মুহূর্তে গ্রেনেড চার্জ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আজ ২৬ নভেম্বর শহীদ খায়রুল জাহানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। বিনম্র শ্রদ্ধায় আমরা স্মরণ করি দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ এই বীরসন্তানকে। উচ্চারণ করি: "অরুণবহ্নি জ্বালাও চিত্তমাঝে/মৃত্যুর হোক লয়/ ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়/তোমারি হউক জয়/
তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়/তোমারি হউক জয়"।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমপি/জেডএম