ইকবাল হাসানের সাথে পরিচয় হয়েছিল বেশ আগেই, তখন আমার নিউইয়র্কের বাড়িতে প্রায় প্রতি ছুটির দিনেই নাটক আর কবিতা গানের আয়োজন চলত খুব। সেবার পূরবী বসু, জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সাথে স্বস্ত্রীক এসেছিলেন।
কবিতা উৎসব হবে, গানের আয়োজন, বই মেলা, টিভিতে কবিতা বিষয়ক আলোচনা, কাগজের ক্রোড়পত্র বেরুবে, কেউ নতুন কিছু লিখবে, কেউবা লিখতে চেষ্টা করছে এর সকল কিছুতেই তাঁর অসামান্য উৎসাহ উৎসবের পর্যায়ে পড়ে।
তাঁর চারিদিকে আছেন বাংলাদেশের নাম করা সব লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিত্রশিল্পী, নাট্যশিল্পী, সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী, রয়েছেন নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার - আসলে সবার সাথে তার সখ্য।
২০০২ এর আগস্টে কবি শহীদ কাদরীর ৬০তম জন্মদিন উৎসব হবে বোস্টনে। ডেইনা নামে দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যাবার পরে শহীদ ভাই একাই থাকতেন বোস্টনে। কবি বদিউজ্জামান নাসিমের সাথে সকল আয়োজনে রয়েছেন ইকবাল হাসান। নাসিম ভাইয়ের সম্পাদনায় ভিনগোলার্ধের পক্ষে 'দাড়াও, আমি আসছি' শিরোনামে একটি শুভেচ্ছাপত্র বের হচ্ছে। তাতে কবিকে জন্মদিনের বারতা পাঠাবেন নানান জনে। লেখক সাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত , বেলাল চৌধূরী , দাউদ হায়দার, মীজান রহমান, ইকবাল হাসান, সাজেদ কামাল, পূরবী বসু, শিহাব সরকার, আলম খোরশেদ, কাইসার হক, রোজী কামাল ও আরো অনেকে। বেশ বড় রকমের আয়োজন। নর্থ আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে আসবেন কবির শুভানুধ্যায়ীরা।
এই যে এত বড় সব কর্মকাণ্ডে নাসিম ভাইয়ের সাথে হাল ধরে আছেন ইকবাল হাসান। সবাইকে নিমন্ত্রণ জানানো, তাদের থাকার খাওয়ার ব্যবস্থা করা। দৌড়াদৌড়ি, দেখা শোনা সকল কিছুর সাথেই আছেন।
আমিও যেনো নিউইয়র্ক থেকে গিয়ে সেখানে সমবেত সকলের সাথে এই উৎসব উদযাপনে অংশ নেই এ ব্যাপারেও সমান উৎসাহ কবি বন্ধু ইকবাল হাসানের। তিনি কানাডার টরন্টো শহর থেকে অনেক আগেই এসে কবি শহিদ কাদরীর সাথে সাথে আছেন। সাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও পূরবী বসু নিউইয়র্ক থেকে বেরিয়েছেন ঘুরতে, তারা আসবেন রোড আইল্যান্ড থেকে। নিউইয়র্ক থেকে যাবে আশরাফুল হাসান বুলবুল, মাহফুজা। রোড আইল্যান্ড থেকে আসবে তাপস, নিতা ও তাদের সাংস্কৃতিক দল 'আমরা ক’জনা.' ম্যারিল্যান্ড , ওয়াশিংটন , ভার্জিনিয়া সকল এলাকা থেকে লোক আসবেন। বোস্টনের সবাই তো আসবেনই কবির জন্মদিনের উৎসবে। ইকবাল হাসান কল করে জেনে নিলেন ছেলেকে নিয়ে আমি কিভাবে যাচ্ছি। ক্রমাগত সবার খোঁজখবর নিয়ে সব ঠিকঠাক করে রেখেছেন।
পরদিন সিদ্ধার্থকে সাথে নিয়ে যখন বোস্টন বাস টার্মিনালে পৌঁছুলাম, ইকবাল ভাইয়ের পাশে শহীদ কাদরীকে দেখে আনন্দে প্রায় কেঁদে ফেলি আরকি। নাসিম ভাইয়ের বাসায় সবার দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। খাবারের শেষে সবাই বসে গল্প করছেন আর চলছে চায়ের পর্ব।
জ্যাকসন হাইটস থেকে দুই কবির জন্য দুটি লাল পাঞ্জাবি নিয়েছিলাম। ইকবাল হাসানের তা বেশ পছন্দ হলেও জন্মদিনে পরার জন্য কবির তা মোটেও পছন্দ হল না, তিনি একটি সাদা সার্ট পরে রইলেন। ইকবাল ভাই কিন্তু সেই পাঞ্জাবি পরে আনন্দে ঘুরতে থাকলেন।
সময় মত আমরা সবাই রেডি হয়ে পৌছে গেলাম অনুষ্ঠানে। একে একে সবাই কবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চমৎকার সব কথা বললেন। এইবার ডাক পড়ল আমার। আমি কি বলব! আমি তো কবি শহিদ কাদরী সম্পর্কে বলবার মত যোগ্যতাই রাখি না। না আমি কবি, না আমি সাহিত্যিক, না লেখক, না তার বন্ধু। কেবল পাঠক, তাঁর কবিতার পাঠক, আবৃতি করতে ভালো লাগে এই তো আমার দৌড়।
ইকবাল ভাইয়ের মহা উৎসাহে আমার এখানে আসা হয়েছে মাত্র, কিন্তু কবির সাথে আরো আরো কিছু স্মৃতি জমা আছে আমার কাছে, সেই খুলনায় আমার কিশোরীবেলায় এক দুঃখের দিনে তাঁকে একবার দেখেছিলাম, এটুকুই। তো সেই অনুষ্ঠানের শেষে, কবি বদিউজ্জামান নাসিমের বাসায় রাতের খাবারের পরে শুরু হল তুমুল আড্ডা। আড্ডা দীর্ঘ হতে হতে নাসিম ভাইয়ের বাসা থেকে তা বিস্তৃত হল হোটেলে, যেখানে সব অতিথির থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
শহীদ কাদরীর রুমে আমরা সবাই। মধ্যরাত, আড্ডা জমে উঠেছে। ঘুমিয়ে পড়া সিদ্ধার্থকে কোলে নিয়ে ইকবাল হাসান শুইয়ে দিলেন পাশের বিছানায়, তার পাশে পুরবী দি, মঞ্জু দি, আমি খসরু ভাই ইকবাল ভাই, জ্যোতি দা আর্কিটেক্ট ইকবাল হোসেন, বদিউজ্জামান নাসিম ভাই, আমরা সবাই শহীদ কাদরীকে ঘিরে সেই মহা আড্ডায় যোগ দিলাম। সারা রাত সেই গল্প, সেই গলা ছেড়ে আমার আর পূরবী দি'র সাথে সকলের সমবেত রবীন্দ্রসংগীত 'তোমার খোলা হাওয়া '- গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ, পুরানো সেই দিনের কথা, প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকলখানে। শহীদ ভাইও তাঁর মাইকের মত ঠা ঠা গলায় আমাদের সাথে সুরে বেসুরে আওয়াজ তুললেন।
ভোর হয়ে এল। কবি ঝিমিয়ে পড়ছিলেন। তিনি পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লেন। পাশের বিছানায় আমার ছেলে, আমি, আর পুরবী দি। সোফার উপর জ্যোতিদা। অন্যপাশে আর কেউ কেউ। ইকবাল হাসান আর খসরু ভাই গেল খসরু ভাইয়ের রুমে। কিন্তু কণ্ঠে সবার তখনো ভর করে আছেন রবীন্দ্রনাথ। কেটে গেল অমলিন আড্ডার সোনায় মোড়ানো সেইরাত।
বেলা কিছুটা বাড়লে ইকবাল হাসান ভাই পাশের রুম থেকে এসে শুরু করলেন আমাদের হাসানো। তার বরিশালের এক্সেন্টে শুরু করলেন 'অ শহীদ বাই, হায় হায় করলেন্ডা কি, নায়িকার লগে একাত্রে রাত্রি যাপন করলেন!' হো হো হো করে হেসে উঠলেন শহীদ ভাই। জ্যোতি’দার পেছনেও সে লাগল খুব 'দ্যাখলেন কান্ডোডা, জ্যোতিদা আমাগো ভাগাইয়া এইহানে সোফায় ঘুম, পুরবী ছাড়া হে ঘুমাইতে পারে না, দ্যাগবেনানে এট্টু পর পর ডাকবেয়ানে পুর্বি, পুর্বি--- ' আমাদের নিকট সব বন্ধুরা যারা ইকবাল হাসানকে জানেন তারা সবাই তার এই অসাধারণ রসিকতা সম্পর্কে অবগত। সেবার ফিরে আসার সময় দীর্ঘ পথ ড্রাইভ করে ইকবাল ভাই নিউইয়র্কে পৌঁছে দিয়ে গেলো।
একবার কানাডায় যাব। সদ্য আমার গ্রিন কার্ড এপ্রুভ হয়েছে। ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্যে আবেদন করে তা পেয়েছি হাতে। বাংলাদেশ থেকে এসেছি সে অনেক কাল হল। কোথাও একটু যাবার জন্যে আমার আকুল অন্তর ছটফটিয়ে মরছে। ইকবাল ভাই মহা উৎসাহে প্ল্যান বানিয়ে অটোয়াতে বন্ধু লুৎফর রহমান রিটনকে খবর দিয়ে আনিয়ে ফেলেছে। কথা হল রাতের বাসে সিদ্ধার্থকে নিয়ে আমিও রওয়ানা হব নিউইয়র্ক থেকে। গোছগাছ করে নিয়ে রওয়ানা দিলাম। শেষ রাতে নায়াগ্রার জলপ্রপাত ছুঁয়ে আমেরিকা কানাডার বর্ডারে পৌঁছেছি। সারা পথেই সবার সাথে কথা হচ্ছে। একবার রিটন একবার ইকবাল ভাই নানা রকম গল্প কথা হাসি ঠাট্টা চলছে।
আমি যাবার পরেই শুরু হবে লাগাতার আড্ডা। ওখানে বাংলা রিপোর্টারস নামে পত্রিকাটির দায়িত্বে আছেন আমার রাজশাহী ও ঢাকা রেডিও নিউজ পড়া জীবনের বন্ধু, বড় ভাই সুমন রহমান, আর তার স্ত্রী বন্যা আপা, আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের রুমমেট ছিলেন। ওরা জার্মানিতে ডয়েচেভেল এ দীর্ঘদিন কাজ করে এখন এসেছে কানাডার টরন্টো শহরে। রয়েছে দেশ থেকে সদ্য আসা তরুণ স্বনামধন্য সাংবাদিক মাসুম রহমান, কবি দেলোয়ার এলাহি আরো অনেকে। সবাইকে নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনায় ইকবাল হাসানের লিস্ট ঠাঁসা।
সারা রাতের জার্নির ক্লান্তিতে চোখ যখন ঘুমে জড়িয়ে আসছে তখন নেমে ইমিগ্রেশনে দাঁড়াতে হল সবার সাথে। আমার ভিসা লাগবে। গ্রিন কার্ড থাকলে ভিসা লাগে না, কিন্তু যেহেতু ট্র্যাভেল ডকুমেন্টে যাচ্ছি, তাই ভিসা প্রয়োজন। একথা আগে জানা ছিল না। ওরা ইমিগ্রেশন থেকে বুঝিয়ে বলল, ওপারেই ভিসা অফিস আছে। কাল সকালে গিয়ে ভিসা নিয়ে আবার এসো। একটা কালো লিমুজিন ট্যাক্সি ডেকে আবার আমাদের দুজনকে ব্যাগট্যাগসহ উঠিয়ে দিল।
রিটন দেশ থেকে এসেছে কিছুদিন হল। বাংলা কীবোর্ড এর জন্যে ওর লিখালিখির বিঘ্ন হচ্ছে জেনে নিউইয়র্কের মুক্তধারার বিশ্বজিতের কাছ থেকে বিজয়ের কীবোর্ড কিনেছিলাম। আর আসার আগে তিন দিন ধরে ঘন করে দুধ জ্বাল করে, হালকা ঘিয়ে ভাজা মিহিকুচি লাউ মিশিয়ে দুধলাউ করে এনেছি বিশাল বাটি ভরে। অন্যান্য খাবার দাবার উপহারের সাথে ফিরে চলেছে দুধলাউ, ফিরে চলেছে কীবোর্ড। সেই কষ্ট ভুলতে পারছি না। নিজের বোকামির কথা ভেবে মাথার চুল টেনে ছিড়তে ইচ্ছে করছে।
সিদ্ধার্থ পথের ক্লান্তিতে ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার কোলের উপরে। খুব সামান্য দূরেই আমেরিকান ইমিগ্রেশনের সামনে নামিয়ে দিয়ে ট্যাক্সি উধাও। যা হোক করে সেটা পার হয়ে এসে আবার এক ট্যাক্সি নিয়ে বাফেলো শহরে হোটেল খুঁজছি। সিদ্ধার্থ বায়না ধরল, ভাল হোটেল ছাড়া সে কিছুতেই থাকবে না। ছেলের খুশির জন্যে শেরাটনের চমৎকার একটি রুমে ওঠা হল যাতে সে হোটেল রুমে বসে রুম সার্ভিস কল করে খাবার অর্ডার করতে পারে। আপাতত রুম সার্ভিস ডেকে দুধলাউয়ের বাটি ডিপ ফ্রিজারে রাখার একটা ব্যবস্থা করা হল। রিটন আর ইকবাল ভাইও না ঘুমিয়ে জেগে আছে! ঘন ঘন কথা হচ্ছে। যদিও তবু আমার এই বিড়ম্বনা ওদেরকেও অস্বস্তিতে রেখেছে। রিটন তবু তামাশা করে বলল দোস্ত, চিন্তা কইর না, সকালে জলপ্রপাতের এইপারে আমরা দাড়ামু আর ঐপারে তুমি। হা হা হা হাসিতে ভরে গেল গুমোট বাতাস। ভারী মাথাটা যখন বালিশে রাখলাম বাইরে তখন পূরবী রাগে ভোরের আলো আড়মোড়া ভাঙছে।
ভিসা ওখান থেকেও হল না। পরের রাতে ফিরে এলাম নিউইয়র্কে। ভিসা নিয়ে তিনদিন পরে আবার যখন গেলাম তখন রিটন ফিরে যাচ্ছে অটোয়ার পথে। দেখা হল না ওর সাথে তবু পথের বাঁধা অতিক্রমের একটি আনন্দ, যুদ্ধ জয়ের একটি অহং আমাকে ঘিরে ঘিরে তা তা থৈ থৈ করতে থাকলো।
সেই দুধলাউ তাসলিমা ভাবী আর ইকবাল ভাইয়ের বাসায় দারুণ সুন্দর এক আয়োজনে সবাই মিলে খাওয়া হল। আর রিটনের বাংলা কি বোর্ড, সেটাও রইল ইকবাল ভাইয়ের কাছে তোলা ওর জন্যে। ইকবাল ভাইয়ের প্রিয় দুধলাউয়ের এই হেন বিড়ম্বনা নিয়ে বরিশালের আঞ্চলিক টোনে তাঁর রসিকতা ভোলার নয়।
সেবার নিউইয়র্কের বই মেলাতে এলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজি, ইকবাল ভাই সাথে। মেলা চলছে, আমাদের আড্ডাও চলছে রোজ। আড্ডা, গান, গল্প প্রিয় মানুষ ইকবাল হাসান। আমার বাসায় মহা উৎসাহে আড্ডা হল সিরাজি ভাইকে নিয়ে। গানে কবিতায় আড্ডা খাওয়া কিছুই বাদ গেল না সেই আনন্দ ভরা আড্ডায়। আর ইকবাল হাসান হয়ে রইলেন তার মধ্যমণি।
কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক থেকে আবদুল্লার মিষ্টি, থানকুনি পাতা, সজনে ডাটা, চানাচুর আর মুড়ি নিয়ে গিয়ে বেড়িয়ে এলাম প্রকৃতির কোলে এক অপূর্ব সুন্দর জায়গা থাণ্ডার বে তে। ইকবাল হাসানের সাম্প্রতিক কর্মস্থল। পরিচিত এক সংগীত প্রিয় পরিবারের সাথে থেকে আর ইকবাল ভাইয়ের অসাধারণ রান্না খেয়ে, বেড়িয়ে ঘুরে ক'টা দিন কি যে আনন্দে কেটেছে।
ইকবাল ভাইয়ের একটি বিষয় আমাকে সব সময় খুব অবাক করে, তাঁর মত এত ক্লান্তিহীন উচ্ছ্বাস, এই যে সবুজ ধানের খেতের মত অনাবিল তারুণ্য, এইযে এমন এক পথের পাগল - আমি আর দেখিনি।
কবি ইকবাল হাসান। মূলত কবি। শুরু এবং শেষ পর্যন্ত কবি। কিন্তু গল্প উপন্যাসের পৃথিবী তাকে আলিঙ্গন করে আছে মমতায়। এক যাদু আছে তাঁর লেখায়, কখনো কখনো ঠিক যাদুকরের মত ওনার গল্প, উপন্যাসকে খেলিয়েছেন। ওনার ছোট গল্প গুলো আশ্চর্য এক ভাবনার কপাট খুলে দেয়। তবুও কবি এবং শেষ পর্যন্ত কবি, ইকবাল হাসানের জন্যে আজ তাঁর শুভ জন্মদিনে আমার প্রার্থণা, সুস্থ সুন্দর তারুণ্য ভরা দীর্ঘ জীবন হোক তাঁর। শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি ইকবাল হাসান। ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
জেডএম/